Public Provident Fund ১৯৬৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের অধিনস্ত অর্থমন্ত্রকের উদ্যোগে চালু করা হয়। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল দেশের সকল কর্মজীবী মানুষদের অবসর জীবন সুরক্ষিত করা। অনেকের ধারণা যে, শুধুমাত্র সরকারি চাকরিজীবী মানুষেরাই এই স্কিমের লাভ নিতে পারবেন। কিন্তু এটা ভুল ধারণা, আমাদের দেশের সকল কর্মজীবী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী শ্রেণী সকলেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে পারবে।
Public Provident Fund স্কিমে আবেদনের পদ্ধতি।
Public Provident Fund স্কিমের মাধ্যমে ১৫ বছর থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত টাকা জমা রাখা যেতে পারে। কোন ব্যাক্তি যদি ২৫ বছরের জন্য প্রতিবছরে ১.৫ লক্ষ টাকা করে জমা করে। তাহলে বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত ৭.১০% সুদের হার হিসাবে সে এককালীন ১ কোটি টাকা রিটার্ন পাবে। আর এই রিটার্ন সম্পূর্ণ ট্যাক্স ফ্রী হবে। এই সুবিধা শুধুমাত্র এই স্কিমের মাধ্যমেই পাওয়া যাবে। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এই স্কিমে আবেদনের পদ্ধতি, নথি, সুদ ও রিটার্ন সম্পর্কে জেনে নেব।
KYC নিয়ে দেশের সকল ব্যাংকগুলিকে নতুন নির্দেশ দিলো RBI, এই নতুন নির্দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
Public Provident Fund স্কিমে আবেদনের যোগ্যতাঃ-
১) মূলরূপে ভারতীয় নাগরিকরা এই স্কিমে আবেদন করতে পারবে।
২) বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, স্বনির্ভর শ্রেণীর মানুষেরা এই স্কিমে আবেদন করতে পারবেন।
৩) দেশের যে কোন সরকারি ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে এই স্কিমের অ্যাকাউণ্ট খুলতে পারবেন।
৪) ১৮ বছরের ওপরে সকলে এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে।
৫) কেন্দ্রীয় সরকারের অধিনস্ত প্রকল্প হওয়ার জন্য এটি সম্পূর্ণ ঝুঁকি মুক্ত প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম।
Public Provident Fund স্কিমে আবেদনের নথিপত্রঃ-
১) আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।
২) এছাড়াও ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড লাগবে।
৩) রঙিন পাসপোর্ট সাইজ এর ফটো লাগবে।
Public Provident Fund প্রকল্পের সুবিধাঃ-
১) নুন্যতম ১৫ বছরের জন্য আপনাকে এই প্রকল্পে টাকা জমা করতে হবে।
২) এর পরে আরও পাঁচ বছর করে দুই বার অর্থাৎ ২৫ বছরের জন্য এই প্রকল্পে টাকা জমা করতে পারবেন।
৩) ৫০০ টাকা দিয়ে আপনি এই স্কিমে নিজের অ্যাকাউণ্ট খুলতে পারবেন।
৪) এক বছরে ১.৫ লক্ষ টাকার বেশি জমা করা যাবে না।
৫) আপনার জমা টাকার ওপরে বর্তমানে ৭.১০% হারে সুদ প্রদান করা হবে। সময় অনুসারে এই সুদের হার পরিবর্তন হতে পারে।
৬) এই প্রকল্পে লোণের সুবিধাও পাওয়া যেতে পারে।
৭) এই স্কিমে ৮০ সি অনুসারে ট্যাক্সে ছাড় পাবে।
৮) প্রতিবছর সুদের হারে পরিবর্তন করা হয়। সেই জন্য রিটার্নের সময় টাকার অঙ্কের কিছু পরিবর্তন হতে পারে।
Public Provident Fund আবেদনের পদ্ধতিঃ-
১) আপনার নিকটের যে কোন ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারবেন।
২) সকল KYC ডকুমেন্ট অর্থাৎ আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও ভোটার কার্ড লাগবে।
৩) অ্যাকাউণ্ট খোলা হয়ে গেলে আপনাকে পাসবই, নাম্বার দিয়ে দেওয়া হবে।
LIC Child Plan – সন্তানের নাম করে মাত্র 150 টাকা করে জমিয়ে পান 7 লক্ষ টাকা, এই সুযোগ আর পাবেন না।
এই জনহিতকর সরকারি প্রকল্প নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবস ক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন সবার আগে এই ধরণের খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য।