কোনোরকম ঝুঁকি ছাড়াই বিনিয়োগ করতে চান? তাহলে Post Office Scheme এর থেকে ভালো অপশন আর কথাও পাবেন না। অধিকাংশ মানুষই ঝুঁকি ছাড়া বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। সেই জন্য ব্যাংক, LIC এর বিভিন্ন স্কিমগুলিতে বিনিয়োগ করে থাকেন। এর মধ্যে পোস্ট অফিসের যে দুটি স্কিমে বিনিয়োগের প্রসঙ্গে বলা হচ্ছে, তাতে পাওয়া যাবে উচ্চ হারে রিটার্নর সুবিধা। পাশাপাশি পাওয়া যাবে কর ছাড়ের সুবিধাও। আপনিও যদি ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে কর ছাড়ের সুবিধা পেতে চান, তাহলে স্কিমগুলির নাম? প্রতি মাসে বা বছরে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে? বিস্তারিত নিচে জানানো হল।
Post Office Scheme এর মাধ্যমে পেয়ে যান দারুণ রিটার্ন।
প্রথম Post Office Scheme নাম হল ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (NSC):-
বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্ট ওপেন করে থাকেন। তাতে বিনিয়োগে কতটা সুবিধা পাওয়া যায়? জাতীয় সঞ্চয় স্কিম পোস্ট অফিসের একটি জনপ্রিয় স্কিম। তাছাড়া পোস্ট অফিসে সঞ্চয় মানে তা নিরাপদ, একথা গ্রাহকদের বিশ্বাস। এবার সুবিধাগুলি দেখে নেওয়া যাক।
১) বিনিয়োগের মেয়াদ- ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগকারীকে এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে হবে।
২) সুদের হার- এই স্কিমে বিনিয়োগে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ মিলবে। তাও বার্ষিক ৭% সুদে।
৩) বিনিয়োগের পরিমান- ব্যক্তি ১,০০০ টাকা থেকে ১০০ টাকার গুণে যত খুশি বিনিয়োগ করতে পারবেন৷
৪) তাহলে ৫ বছরের জন্য হাজার টাকা বিনিয়োগে পাওয়া যাবে ১৪০৩ টাকা।
৫) আরো বড়ো সুবিধা হল এই স্কিমেও বিনিয়োগে মিলবে আয়কর ধারা ৮০সি অনুযায়ী ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড়। পাওয়া যাবে ঋণের সুবিধাও।
দ্বিতীয় Post Office Scheme টি হল FD বা ফিক্সড ডিপোজিট স্কিম-
Post Office Scheme এর মধ্যে এই এফডি স্কিমটির অন্য একটি নাম হল টাইম ডিপোজিট স্কিম অর্থাৎ পোস্ট অফিস টিডি স্কিম।
এই স্কিমে বিনিয়োগের সুবিধা-
১) বিনিয়োগের মেয়াদ- সেভিংস স্কিমের মতো এখানেও ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগকারীকে বিনিয়োগ করতে হবে।
২) সুদের হার- এই স্কিমে ১ বছরের জন্য বিনিয়োগ করলে ৬.৬% সুদ, ২ বছরের মেয়াদে ৬.৮% ও ৩ বছরের মেয়াদে ৭% সুদের হার পাওয়া যাবে। ৫ বছরের মেয়াদে ৭% সুদের হার মিলবে। সঙ্গে অধিক সুবিধাও পাবেন বিনিয়োগকারীরা।
৩) কারা অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে পারবেন – একটি একক অ্যাকাউন্ট ওপেন করা যাবে। কিংবা দুই বা তিনজনের সঙ্গে যৌথ অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। তাছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুর (১০ বছরের বেশি) জন্য অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে হলে অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে খোলা যাবে।
৪) বিনিয়োগের পরিমান- ব্যক্তি ১,০০০ টাকা থেকে বিনিয়োগ করতে পারবেন৷ সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই।
Post Office Scheme এর আরও কিছু সুবিধা সম্পর্কে জেনে নিন।
৫) এই স্কিমেও বিনিয়োগে মিলবে আয়কর ধারা ৮০সি অনুযায়ী ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড়।
এই দুই Post Office Scheme এর মধ্যে কোন স্কিমে বিনিয়োগে বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে? এমনিতে দুটি স্কিমে বিনিয়োগের নিয়ম অনুসারে, ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে, তবেই বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে। তাছাড়া বিনিয়োগের নূন্যতম পরিমান এবং আয়কর ছাড়ের পরিসীমা একই হলেও, আয়কর স্ল্যাব অনুসারে দুটি স্কিমেই প্রাপ্ত সুদের উপর কর দিতে হবে।অন্যদিকে NSC তে বিনিয়োগে পাওয়া যাবে ঋণের সুবিধা। এছাড়া চক্রবৃদ্ধি হারে সুদও।
Aadhar UIDAI – আধার কার্ড লিংক করানোর সময় আরো 1 বছর বাড়লো, কার্ড লিংক করার 4 টি পদ্ধতি দেখুন।
এই Post Office Scheme নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবস ক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ।