এক দেশ, এক শিক্ষানীতি এই উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে National Education Policy অর্থাৎ জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আসা হয়েছে। আজ থেকে কিছু দিন আগে পশ্চিমবঙ্গে শেষ হয়েছে শিক্ষার্থী জীবনের দুই সবচেয়ে বড় ও কঠিন পরীক্ষা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এবং এরই সঙ্গে শোনা যাচ্ছিল এবার থেকে শিক্ষার্থীদের আর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে হবে না। এই ধরণের খবর অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। ভারতীয় সংবিধান অনুসারে শিক্ষা হল কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যুগ্ম তালিকার অন্তর্ভুক্ত। এই বিষয় নিয়ে কোন পক্ষই নিজে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। কিন্তু এবারে শুধু মাধ্যমিক এর পড়ুয়ারাই নয়, প্রাথমিক বিভাগের পড়ুয়াদের জন্যও জাতীয় শিক্ষানীতিতে নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
National Education Policy নিয়ে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জারি করা এই National Education Policy তে মাধ্যমিক পরীক্ষা তুলে দিয়ে একেবারে সরাসরি দ্বাদশ শ্রেণীতে গিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এইবারে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে জাতীয় পাঠক্রম কমিটির তরফে একটি খসড়া প্রকাশিত করা হয়েছে এবং এই খসড়াতে বলা হয়েছে এই National Education Policy কার্যকর হলে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত বাচ্চাদের আর লিখিত পরীক্ষায় বসতে হবে না।
৬২৮ পাতার এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ফলে রাজ্যের সকল শিক্ষাবিদেরা বলছেন – উচ্চ শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে দেশের প্রাথমিক শিক্ষারও পরিবর্তন আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার National Education Policy এর মাধ্যমে। এই শিক্ষানীতির মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনা হচ্ছে!!! এই খসড়া প্রস্তাবে জানানো হয়েছে – পড়ুয়াদের ওপরে কোন ধরণের চাপ দেওয়া হবে না এবং সকলে যাতে নিজের ইচ্ছায় ও খুশিতে পড়াশুনা করতে পারে, সেই কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
National Education Policy এর তরফে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে WBBPE – West Bengal Board Of Primary Education অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে জিজ্ঞাসা করা হলে তার বক্তব্য – রাজ্য সরকারের তরফে কোন মন্তব্য করা হয়নি এই বিষয়ে, সেই জন্য আমি কিছু বলতে চাই না। ভবিষ্যতে দেখা যাবে ঠিক কি হতে চলেছে। আমরা সকলেই চাইবো শিক্ষার ক্ষেত্রে দেশ ও রাজ্য মিলে আগে এগিয়ে যাক। জাতীয় শিক্ষানীতিতে আর কি কি পরিবর্তন করা হয়েছে।
National Education Policy তে কি কি নিয়মের পরিবর্তন হতে চলেছেঃ-
১) এবার থেকে নার্সারিতে ভর্তি হওয়ার জন্য ৪ বছর বয়স হতে হবে।
২) পশ্চিমবঙ্গের নিয়ম অনুসারে এখন প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হতে ৬ বছর বয়স হতে হয়। কিন্তু এই নতুন নিয়ম অনুসারে ৭ বছরের আগে ভর্তি করা যাবে না।
৩) পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার জন্য ১১ বছর বয়স হতে হবে।
৪) দশম শ্রেণী অর্থাৎ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।
৫) দ্বাদশ শ্রেণীতে বোর্ডের পরীক্ষা দিতে হবে।
৬) এই সকল নিয়মের সঙ্গে এবারে প্রাথমিকে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
National Education Policy এর মাধ্যমে আর কি কি পরিবর্তন হতে পারে?
৭) এছাড়াও আরও বিস্তর পরিবর্তন আসতে ছলেছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্তায়।
৮) জেনে রাখা ভালো এটি একটি খসড়া প্রস্তাব, এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হবে কিনা সেটা ভবিষ্যতে জানা যাবে।
৯) রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার যুগ্মভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই National Education Policy লাগু হয়ে গেলে স্বাধীনতার পর দেশে এক দেশ এক শিক্ষানীতি চালু হলে এটি একটি অন্য মাত্রা পেতে চলেছে। এই নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ।
Heat Wave – বাংলায় তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা, স্কুলে মর্নিং ক্লাস বা গরমের ছুটি এগিয়ে আসতে পারে।