পশ্চিমবঙ্গের সকল Primary TET 2014 উত্তীর্ণ চাকরিরত প্রায় ৪৩০০০ প্রাথমিক শিক্ষকদের কার্যত ফের আরেকবার ভাগ্য পরীক্ষা হতে চলেছে। অর্থাৎ ২০১৬ সালের পর যেসমস্ত শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন পুরো প্যানেল ধরে এবার নথি জমা পড়লো CBI দপ্তরে। গত বছর নভেম্বর মাসে যে সমস্ত শিক্ষকের নথি চাওয়া হয়েছিলো, তাদের পুরো জেলাভিত্তিক ফাইল গতকাল থেকে CBI দপ্তরে Primary TET 2014 এর লিস্ট এক্সেল ফরম্যাটে জমা পড়া শুরু হয়েছে। আর এবার প্রত্যেক শিক্ষকের তথ্য ধরে ধরে যাচাই হবে।
শিক্ষক মহলের আশংকা, এবার আসল নকল ধরা পড়বে। যারা প্রকৃত পক্ষে পাশ করে চাকরি পেয়েছে, আর কাদের চাকরি দুর্নীতির আশ্রয়ে হয়েছে, সেটা অনেকটাই পরিষ্কার হবে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের কথা মাথায় আসলেই সর্বপ্রথম দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ এর বিষয়টি উঠে আসে। কিন্তু কিছু দিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে কিছু নিয়ম মানতে বলা হয়েছিল এবং মূলত অধিকাংশ নিয়ম শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারেই ছিল।
Primary TET 2014 Recruitment New Update By WBBPE.
এবারে সেই নিয়ম মেনেই Primary TET 2014 নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পর্ষদ। এই নতুন বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৬শে এপ্রিল থেকে ২২ শে মে পর্যন্ত একেক দিন একেক জেলার সমস্ত Primary TET 2014 ফাইল সফট কপিতে এক্সেল ফরম্যাটে জমা নেওয়া হবে। সকল টেট উত্তীর্ণরা এবং B.ed – Bachelor Of Education এই সকল চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বিগত ২৫ শে নভেম্বর ২০২২ এর মামলা ও ৬ ই ডিসেম্বর ২০২২ এর নির্দেশ অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ এই এক মাসের মধ্যেই পরিষ্কার হবে, ২০১৬ সালের Primary TET 2014 পরীক্ষায় ২০১৭ সাল থেকে যেসমস্ত প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি পেয়েছেন, তাদের নিয়ে যে মামলা হয়েছে, এবং দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের নথি একবার যাচাই হয়েছে। সেই নথি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE) যে রিপোর্ট দিয়েছে, সেই ফাইল এর যাচাই করবে COI & ED এর অফিসারেরা। এতে কাদের নিয়ম না মেনে চাকরি হয়েছে সেটা জানা যাবে।
ব্যাংক একাউন্ট থেকে 436 টাকা কাটবে, ব্যালান্স না থাকলে টাকা জমা করুন, জরুরী নির্দেশ।
কাদের চাকরি সঙ্কটে?
যেসমস্ত প্রার্থীরা Primary TET 2014 পরীক্ষা পাশ করেন নি, বা আদৌ পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, কিম্বা ভাইভা না দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, কিম্বা সাদা খাতা জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগ এসেছে, সেটা যাচাই হবে। ইতিমধ্যেই CBI ও ED আশংকা করছেন এই প্যানেলে দুর্নীতির সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার এর কাছাকাছি। এবং বিচারপতি ও পাহাড় প্রমান দুর্নীতির আশংকা করেছেন। এবার এটাই দেখার আদৌ ১৫০০০ শিক্ষকের নাম আসে কিনা!
কাদের ভয় পাওয়ার কারন নেই?
যে সমস্ত Primary TET 2014 প্রার্থীরা নিজে পরীক্ষা দিয়েছেন। এবং সর্ব প্রথম SMS ও email এ পাশ করার মেসেজ পেয়েছেন। এবং পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ইন্টারভিউ এর আবেদন অনলাইনে করেছেন, এবং DPSC এর মেইল পেয়ে ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করেছেন। এবং আবার মেইল পেয়ে ভেরিফিকেশন করে লাইন দিয়ে স্কুল বাছাই এর কাউন্সেলিং এ অংশগ্রহণ করে নিয়োগপত্র পেয়েছেন, এবং SI অফিস এবং স্কুলে জয়েন করেছেন, তাদের চিন্তার কোনও কারন নেই। বিচারপতি আগেই জানিয়েছেন, একজন ও সৎ ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীর চাকরি যাবেনা।
অর্থাৎ এখানে একটি বিষয় স্পস্ট যে এই নথি জমা পড়ার পর, সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষক দের আরেকবার ডকুমেন্টস যাচাই হবে। তবে আশংকা বেড়েছে, মাননীয় বিচারপতি গাঙ্গুলী কে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা উঠেছে। তাই এই মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্ধিহান অনেকেই। আপনার মন্তব্য নিচে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আপডেট আসছে।