দেশের বেশিরভাগ নাগরিকদের চিন্তার অন্যতম কারণ হল তেলের দাম বা Cooking Oil Price ও রান্নার গ্যাসের দাম। কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যে ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কিছু দারুণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এক পরিসংখ্যান অনুসারে আমাদের দেশে প্রতি বছর ২৫০ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্য তেলের প্রয়োজন পরে, কিন্তু আমাদের দেশে এর উৎপাদন হয় মাত্র ১১২ লাখ মেট্রিক টন। প্রায় ১৪০ লক্ষ মেট্রিক টন তেল আমাদেরকে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কিনতে হয় এবং এই কারণের জন্য দেশে ভোজ্য তেলের দাম কখনো আকাশ ছোঁয়া হয়ে যায়।
Cooking Oil Price Drop A Few Months Later.
বিগত কিছু মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে এই ভোজ্য তেলের দাম (Cooking Oil Price) অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের দেশের মার্কেটে এই দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই দাম যত বৃদ্ধি পাচ্ছে ততই মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে সকলের পকেটে টান পরতে শুরু করেছে। কিন্তু বছর পেরলেই ২০২৪ এর লোকসভা ভোট, আর এই কারণে সরকারের ওপরে এই দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চাপ বাড়ছিল।
ইতি মধেই Cooking Oil Price নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের তরফে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে। সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের আমদানির ওপরে আমদানি শুল্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরই সঙ্গে এই দুই তেল যাতে আমাদের দেশে আরও বেশি পরিমাণে উৎপাদন করা যায় সেই নিয়ে চিন্তা ভাবনাও শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
মূলত TRQ (Tariff Rate Quota) অনুসারে আমাদের দেশে সকল প্রকার আমদানি শুল্ক ঠিক করা হয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারমন ও কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গয়েল এই Cooking Oil Price নিয়ে জানিয়েছেন সকল প্রকার খাদ্যদ্রবের দাম কম রাখার জন্য সরকার বদ্ধ পরিকর। এই সিদ্ধান্তের পরেই সকলে মনে করছে কিছু দিনের মধ্যেই সকল প্রকারের রান্নার ভোজ্য তেলের দাম কমতে চলেছে।
Summer Vacation 2023 – গরমের ছুটির মধ্যে পড়ুয়াদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
সূর্যমুখী ও সয়াবিন তেল মূলত ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকেই আমদানি করা হত, কিছু এই দুই দেশ একে ওপরের সাথে যুদ্ধ করছে। এর ফলে সমগ্র বিশ্বে Cooking Oil Price বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু ভারত সরকারের তরফে শুল্ক কম করে এই দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। এবার আর কিছু দিন বাদে আমরা সকলে জানতে পারব ঠিক কতটা দাম কম হল।