Primary Teacher Cancel List বা প্রাথমিক শিক্ষক বাতিলের তালিকা প্রকাশিত করা হল। কিছু দিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল প্রার্থী যাদের ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ করা হয়েছিল সেই নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে বলে এই ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ৪ মাসের মধ্যে এই সকল পদে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর যেই সকল প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের চাকরি এখনো আছে তাদের সকলকে পুনরায় ইন্টারভিউ দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
Primary Teacher Cancel List Big Update.
WBBPE (West Bengal Board Of Primary Education) বা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে Primary Teacher Cancel List এর সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশিত করা হয়েছে। আপনারা এই ওয়েবসাইটে www.wbbpe.org গিয়ে PDF ফাইল ডাউনলোড করে দেখে নিতে পারবেন। কিন্তু এই বাতিল প্রক্রিয়া নিয়ে পুনরায় পর্ষদের তরফে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়েছে।
প্রাথমিক টেটে নিয়োগের কিছু নিয়ম দেখুনঃ-
১) সকলকে দ্বাদশ শ্রেণী পাশ হতে হবে।
২) স্নাতকস্তরে ৪৫% নম্বর পেতে হবে সকলকে।
৩) B.Ed এর ট্রেনিং নেওয়া বাধ্যতামূলক।
৪) টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
৫) এছাড়াও সকলকে শিক্ষকতার ট্রেনিং নিতে হবে।
কিন্তু ২০১৬ সালের নিয়োগে এই মধ্যে বেশিরভাগ নিয়ম না মেনেই সকলকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে এই ৩৬ হাজার নিয়োগ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে (Primary Teacher Cancel List).
বাতিল শিক্ষকেরা আগামী ৪ মাস বিদ্যালয়ে যেতে পারবেন এবং প্যারা শিক্ষকদের সমতুল্য তাদের বেতন হবে বলে জানানো হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি এই নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এই সকল ৩৬ হাজার বাতিল শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে থাকার কথা বলা হয়েছে।
Calcutta High Court – আগামী দুই মাসের মধ্যে চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে, কড়া নির্দেশ দিলো হাইকোর্ট।
কিন্তু এখন একটাই প্রশ্ন উঠছে যে Primary Teacher Cancel List এর ফলে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন এর ওপরে ঠিক কি প্রভাব পরতে চলেছে? এই সিদ্ধান্তের জন্য মূলত সকল পড়ুয়াদের পড়াশোনা প্রভাবিত হবে। এখন দেখার অপেক্ষা যে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মাধ্যমিক পাশের পর এই 5 টি বিষয় নিয়ে পড়লে চাকরি পাওয়া অতি সহজ।