সাধারণ মানুষের চিকিৎসা নিয়ে যাতে দুর্নীতি না হয় সেই জন্য Swasthya Sathi বা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) এর তরফে। সরকারের অধীনস্থ স্বাস্থ্য দফতর এর (WB Health Department) তরফে পরিস্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বছরে ১০ বারের বেশী যদি কোন বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে এই কার্ড নিয়ে অনিয়ম ধরা পরে তাহলে চিরতরে সেই কার্ড বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং আর সেই কার্ডের মাধ্যমে কোন প্রকারের চিকিৎসা করানো সম্ভব হবে না।
Swasthya Sathi Card Big Update By Government Of West Bengal.
আর এই কাজটি সম্পূর্ণভাবে স্বয়ংক্রিয় (Automatic) ভাবে হবে বলে জানানো হয়েছে আবঙ্গেই জন্য Swasthya Sathi সফটওয়্যার এ পরিবর্তন কড়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে (Notice) জানানো হয়েছে। কোন চিকিৎসকও (Doctor) যদি এই কাজ করেন তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এই সকল কিছু করার প্রয়োজনীয়তা কি ছিল? এই সম্পর্কে স্বাস্থ্য ভবন সুত্রে জানতে পাওয়া যাচ্ছে।
অনেক সময় ধরে বেসরকারি হাসপাতাল (Private Hospital) এ যেই সকল রোগীরা চিকিৎসা করাতে যাচ্ছিলেন, তাদের সঙ্গে অনিয়ম কড়া হচ্ছিলো এবং ভুল বিল বানিয়ে টাকা লুট হচ্ছিলো। এই সকল কথা কানে আসতেই Swasthya Sathi কার্ড নিয়ে এই কড়া অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা ভিত্তিক সকল দলকে সক্রিয়ভাবে নিজেদের কাজ করতে বলা হয়েছে।
Swasthya Sathi কার্ড নিয়ে এই মুহূর্তের জরুরি আপডেট।
এই সকল অনিয়ম রোখার জন্য সরকারি ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে যার মাধ্যমে তারা Swasthya Sathi Card এর সকল প্রকারের অনিয়ম রুখতে পারেন। এই জন্য আগানি ১৮ ই আগস্ট ২০২৩ থেকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করা হবে। আরও জানানো হয়েছে যে কোন হাসপাতাল যদি অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে বিল বানায় তাহলে তাদের শাস্তির মুখে পরতে হবে। আর এই নিয়মের ফলে রাজ্যের কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হতে চলেছেন।
রাজ্যের সকল নাগরিকদের উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই Swasthya Sathi কার্ডের সূচনা করা হয়েছিল। ৩০ শে ডিসেম্বর ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের শুভ সূচনা করেন। এই কার্ডের মাধ্যমে পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে চিকিৎসার জন্য খরচা দেওয়া হবে। একটি কার্ডেই পরিবারের সকলেই চিকিৎসার খরচ পাবেন। বর্তমানে এক সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে Swasthya Sathi প্রকল্পে রাজ্যের ২ কোটি ৩০ লক্ষ পরিবার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং প্রতিদিন অন্তর এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পরিবারের সবচেয়ে বয়স জ্যেষ্ঠ মহিলার নামে এই কার্ড তৈরি করতে হবে, এই নিয়মটি বাধ্যতামূলক। রাজ্য ও ভিন রাজ্য মিলিয়ে ২,২০০ র বেশি হসপিটালে এই চিকিৎসা পরিষেবা আপনারা পাবেন। রাজ্যের ৯০% নাগরিক এই প্রকল্পের অধীনে অন্তর্ভুক্ত, পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের জীবন কল্যাণময় করে তোলার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে যেই গুলি হল।
স্বাস্থ্য সাথী, খাদ্য সাথী (Khadya Sathi), লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar), কন্যাশ্রী (Kanyashree), রুপশ্রী (Rupashree), বিধভা ভাতা (Widow Pension), কিষান ক্রেডিট কার্ড (Kisan Credit Card), স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড (Student Credit Card) এই সকল প্রকল্প চালু করা হয়েছে। Swasthya Sathi নিয়ে এই নিয়ম কতটা উপকারী বলে আপনাদের মনে হচ্ছে? নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পছন্দ হলে সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য, ধন্যবাদ।
Laxmi Bhandar – লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সবাই 1 হাজার টাকা পাবে? নবান্নের সিদ্ধান্ত দেখুন।