পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment) নিয়ে অনেক দিন ধরেই অনেক মামলা, অভিযোগ স্বজন পোষণ নিয়ে অনেক ঘটনাই আমাদের চোখে পড়েছে এবং এই সকল জিনিস একই চলে আসছে অনেক দিন ধরে। কিন্তু ফের একবার রাজ্যে প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিকস্তরে কয়েক হাজার বিশেষ শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। রাজ্যে ৮০ হাজার স্পেশাল শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এক বড়ো সুখবর।
New Teacher Recruitment Update.
মূলত, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে যে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের স্কুল রয়েছে সেখানে অন্তত একজন করে শিক্ষক নিয়োগের (Teacher Recruitment) পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal). আগামী ৫ বছরের মধ্যে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলেও জানানো হয়েছে। আর, এতে সমগ্র রাজ্য জুড়ে কম বেশি ৮০ হাজার স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগ হতে পারবেন।
সুত্রের খবর অনুযায়ী, প্রথমে ২৭১৫টি শূন্যপদের সংখ্যা তৈরী হয়। তবে পরবর্তীতে এই পদে মোট শুন্যপদের সংখ্যা হয় ৫২৯৮ টি। ইতিমধ্যেই এই স্পেশাল এডুকেটর (Teacher Recruitment) নিয়োগের বিষয়ে কলকাতা এবং জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদের চেয়ারম্যানদের কাছে যত শীঘ্র সম্ভব বিভিন্ন স্কুলের শূন্য পদের ‘রেজিস্টার অফ অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ পাঠানোর নির্দেশ চিঠি মারফত পৌঁছে গিয়েছে।
তবে, ওই ৫২৯৮ টি শুন্য পদ ছাড়াও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে বাড়তি শূন্য পদও থাকতে পারে বলে সুত্রের খবর। এখনো পর্যন্ত যত গুলি শূন্যপদ তৈরি হয়েছে তা সংরক্ষণের জন্য নিয়ম মেনে রোস্টার তৈরিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য অন্তত একটি করে স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগ (Teacher Recruitment) করা হবে।
বিগত ২৩ সেপ্টেম্বর, শনিবারে রাজ্যের যে শিক্ষানীতি প্রকাশিত হয় সেখানে এই স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে স্পেশাল এডুকেটরদের তরফ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। আর সেখানেও তিনি শিক্ষক নিয়োগের (Teacher Recruitment) বিষয়ে সকলকে আশ্বস্ত করেছিলেন। এবার মূলত সেই কথাতেই শিলমোহর দিতে চলা হচ্ছে সরকারিভাবে।
তাছাড়া সুপ্রিম কোর্টও রাজ্যকে এসব ব্যাপারে উন্নত পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা বলেছেন। তাই বলায় যায় পাঁচ বছরের মধ্যেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। স্পেশাল এডুকেটর শিক্ষক নিয়োগের (Teacher Recruitment) ক্ষেত্রে যারা আবেদন করবেন, তাদের বিষয়ে রাজ্য সরকারের (Govt Of West Bengal) তরফে কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশিকার বলা হয়েছে, যে সমস্ত প্রার্থীদের রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (আরসিআই) এর অনুমোদিত।
স্পেশাল বিএড বা স্পেশাল ডিএলএড কোর্স করা রয়েছে শুধুমাত্র তারাই এক্ষেত্রে আবেদনের যোগ্য। মূলত রাজ্যের এই ধরনের শিশুদের শিক্ষার পরিকাঠামো যাতে আরো উন্নত হয় সেই বিষয়ে চিন্তা করেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উৎসবের মরসুমে রাজ্যের এই নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের (Teacher Recruitment) ঘটনায় চাকরি প্রার্থীরা অত্যন্ত খুশি হয়েছেন।
Toto Service – রাজ্যে এবার পাকাপাকিভাবে টোটো চালানো নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি। এই নিয়ম না মানলে