সরকারের তরফে নতুন সরকারি প্রকল্প (New Govt Scheme) নিয়ে আসা হয়েছে দেশের সকল গরিব ও মধ্যবিত্ত নাগরিকদের হিত সাধনের জন্য। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে অনেক ধরণের জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে। চলতি বছরের ১৫ ই আগস্ট এই রকমই এক প্রকল্পের ঘোষণা কড়া হয়েছিল।দেশের ১৮টি পেশার সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের জন্য বিশেষ পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্প (PM Vishwakarma Yojana) এর ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi).
New Govt Scheme Gives You 15 Thousand Rupees.
নিজের ৭৩ তম জন্মদিনে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন দেশের বিশ্বকর্মা অর্থাৎ রাজমিস্ত্রি, ছুতোর, ধোপা, কামার, কুমোড় সহ ঐতিহ্যগত কারিগরদের জন্য এই বিশেষ প্রকল্পের (New Govt Scheme) সূচনা করেন তিনি। মূলত দেশের খেটে খাওয়া মানুষদের সুবিধার্থেই কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) তরফে এই বিশেষ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা প্রকল্পের আবেদন জানালে প্রথমেই পাওয়া যাবে ১৫ হাজার টাকা। এই ১৫ হাজার টাকার ভাউচার দেওয়া হবে বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক টুলকিট বা ছোট ছোট যন্ত্র কিনতে। পাশাপাশি এই ঐতিহ্যগত কারিগরদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এবং তাঁরা যাতে আধুনিক প্রযুক্তি পেশার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন তার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণও দেবে কেন্দ্র।
আর সেই প্রশিক্ষণে অংশ নিলে দৈনিক ৫০০ টাকা করে ভাতাও পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পের (New Govt Scheme) পুরো নাম প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান যোজনা বা পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা। ওই প্রকল্পের অধীনে ছুতোর, রাজমিস্ত্রি, স্যাকরা, মুচি সহ মূলত ওবিসি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যগত শিল্পী কারিগরদের জন্য পাঁচ দিনের এক প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হবে। নতুন এই যোজনা অনুযায়ী ২ লাখ টাকা ঋণের পাশাপাশি শিল্পীদের ১৫০০০ টাকা দেবে মোদী সরকার।
পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার (New Govt Scheme) বেশ কিছু সুবিধাজনক দিক রয়েছে। বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান যোজনার অধীনে ঐতিহ্যগত কারিগরদের জীবন যাপনের মান উন্নয়ন ও পেশার বিস্তারের জন্য অত্যন্ত অল্প সুদে প্রথম দফায় ১ লক্ষ টাকা ও দ্বিতীয় দফায় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। মাত্র ৫ শতাংশ সুদে এই ঋণের ব্যবস্থা হবে। এর জন্য কোনও কিছু বন্ধক রাখতে হবে না। প্রথম দফায় প্রাপ্ত ঋণ শোধের মেয়াদ হবে ১৮ মাস এবং দ্বিতীয় দফায় প্রাপ্ত ঋণ শোধের মেয়াদ হবে ৩০ মাস।
ঐতিহ্যগত কারিগরদের বর্তমান ব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সুযোগ (New Govt Scheme) করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি তাঁদের উৎপাদিত দ্রব্য দেশ ও বিদেশের বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা, ব্র্যান্ডিংয়ের ব্যবস্থা ইত্যাদিতে সহায়তা করবে সরকার। প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেওয়া কারিগরদের মানপত্র এবং বিশ্বকর্মা পরিচয় পত্র দেবে সরকার।
বৃত্তি হিসাবে প্রশিক্ষণের সময় প্রতিদিন ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। অগ্রিম টুল কিট কেনার জন্য ১৫০০০ টাকা দেওয়া হবে শিল্পীদের। প্রাপ্ত ঋণের অর্থ যদি ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে কারিগররা শোধ করেন সেক্ষেত্রে লেনদেন পিছু ১ টাকা করে ইনসেনটিভ দেওয়া হবে। সকল শ্রমজীবী মানুষেরাই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের (New Govt Scheme) সুবিধা পাবেন না। যে সকল ব্যক্তিরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিশ্বকর্মা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন তারা হলেন।
মাছের জাল প্রস্তুতকারক, দর্জি, ধোপা, মালা প্রস্তুতকারক, নাপিত, পুতুল এবং খেলনা প্রস্তুতকারক, ঝুড়ি/ মাদুর প্রস্তুতকারক, রাজমিস্ত্রি, মুচি বা জুতোর কারিগর, মূর্তিকার, স্টোন কার্ভার, কুমার, স্বর্ণকার, হাতুড়ি এবং টুল কিট প্রস্তুতকারক, কামার, নৌকা নির্মাতা, কাঠমিস্ত্রি। তবে, পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্প (New Govt Scheme) এর ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে।
শ্রমিকদের জন্য সরকার এই প্রকল্পের (New Govt Scheme) অধীনে পাঁচ বছরের এফওয়াই২৪ থেকে ২৮ মেয়াদের জন্য ১৩০০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পের অধীনে সর্বনিম্ন বয়স রাখা হয়েছে ১৮ বছর। পরিবারের মাত্র একজন সদস্য এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। কারিগরেরা তাদের বাড়ির নিকটস্থ কমন সার্ভিস সেন্টার এ গিয়ে বায়োমেট্রিক পরিচয় যাচাই পদ্ধতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনায় নিজের নাম নথিভুক্ত করবেন।
এর জন্য কোনও অর্থ লাগবে না অর্থাৎ গোটা বিষয়টি বিনামূল্যে হবে। তবে, আবেদন করার সময় আবেদনকারীদের একটি স্বঘোষণা ফর্মও দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, এই বিশ্বকর্মা প্রকল্পের হাত ধরে সমাজের (New Govt Scheme) ঐতিহ্যগত প্রান্তিক কারিগরেরা বিপুল ভাবে লাভবান হতে চলেছেন। আগামী চার বছর এর জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।
JIO Recharge – JIO র সস্তার প্ল্যান, 2GB ডেটা সঙ্গে বিনামূল্যে Disney+Hotstar, সীমিত সময়ের অফার।
উল্লেখ্য, এই বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান যোজনার কথা ২০২৩ সালের বাজেট পেশ করতে গিয়েই ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তবে তা কার্যকর করার কথা স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করায় এই প্রকল্পের (New Govt Scheme) গুরুত্ব অনেকখানি বেড়ে যায়। পরবর্তীকালে, সম্প্রতি বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ঘোষণা করা এই নতুন প্রকল্পের দ্বারা কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের সুবিধার পাশাপাশি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর পরিকল্পনাও করেছে বলে মনে করছেন বুদ্ধিজীবীদের একাংশ।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীরা এই কাজ না করলে বন্ধ সরকারি সার্ভিস। রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশিকা