পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি বা Teacher Recruitment Scam নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হচ্ছে। আর এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকে শুরু করে সুপ্রিমকোর্ট (Supreme Court Of India) পর্যন্ত মামলা চলছে। আর এই প্রাথমিক টেট নিয়োগ (Primary TET Recruitment) নিয়ে অনেক বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলে বুঝতে পারা যাচ্ছে।
West Bengal Teacher Recruitment Scam.
এবার প্যানেল প্রকাশে দেরি হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টে জর্জরিত করা হল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে (WBBPE). হাইকোর্টে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল (Primary TET Recruitment Panel) প্রকাশের কোনও নিয়ম নেই। আর এই কথার পরেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা উষ্মাপ্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বহুদিন ধরেই রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Teacher Recruitment Scam) বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন।
গত ৩০ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানির দিন পর্ষদকে ভৎসনা করেছিল হাইকোর্ট। মূলত এই দিন, বোর্ড দাবি করেছিল যে দুটি ধাপে প্রকাশিত প্যানেলে অনিয়ম ছিল। যেখানে প্রার্থীদের ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেখানে অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন ৯৪ জন। বিচারপতি সিনহা ৯৪ জনকে বরখাস্তের (Teacher Recruitment Scam) আদেশ দেন। দেড় মাস সময় দেওয়া সত্ত্বেও প্যানেলের জন্য আরও সময় চায় পর্ষদ।
আর এই সময় চাওয়ার পরেই পর্ষদকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। শেষ পর্যন্ত পর্ষদকে সাত দিনের সময় দেন বিচারপতি সিনহা। ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্যানেল হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওই আদেশের পর গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর আবার শুনানি হয়। এই দিন পর্ষদ হাইকোর্টে একটি হলফনামা দাখিল করে দাবি করেছে যে ২০১৬ সালে যে নীতির অধীনে নিয়োগ প্রক্রিয়া (Teacher Recruitment Scam) পরিচালিত হয়েছিল তার অধীনে ওই প্যানেলটি প্রকাশ করা যাবে না।
শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল (Teacher Recruitment Scam) সবার সামনে প্রকাশের কোনো নিয়ম নেই বলে দাবি করেছে বোর্ড। বোর্ডের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে ইতিমধ্যেই একটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। আর এবার বিচারপতি সিনহা বোর্ডের ওই বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করে কড়া সুরে বলেন, তিনি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল দেখতে চান। নিয়মানুযায়ী যে প্যানেল করা হয়েছে তা দেখাতে হবে।
আর এই অধিকার আছে হাইকোর্টের। বিচারপতি সিনহা এদিন কাউকে আড়াল করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল (Teacher Recruitment Scam) প্রকাশ করা হচ্ছে কি না কিংবা প্যানেল প্রকাশ করা হলে অসুবিধা ঠিক কোথায় রয়েছে, সে বিষয়েও জানতে চান। এছাড়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) নির্দেশে একবার প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে যখন, আবার প্যানেল প্রকাশে সমস্যা কোথায়, তাও তিনি জানতে চান।
এমতাবস্থায়, রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে কলকাতা হাইকোর্টে তাদের প্যানেল (Teacher Recruitment Scam) প্রকাশ করতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এখনো এই নিয়ে কোন ধরণের স্পষ্টাস্পষ্টি কোন মন্তব্য করা হয়নি। এবারে দেখার অপেক্ষা যে এবারে এই নিয়ে ভবিষ্যতে কি নির্দেশ আসতে চলেছে সেই দিকে নজর সকলের। আর বর্তমান শিক্ষকেরা এই নিয়ে চরম চিন্তায়।
Written by Sampriti Bose.
রোজগার মেলায় আরও 51000 জনকে সরকারী চাকরি দেবে। পশ্চিমবঙ্গের প্রার্থীরা
