চলতি ডিসেম্বর মাসে Lakshmir Bhandar অধীনে ৫০০ টাকা প্রাপকরা অতিরিক্ত ১০০০ টাকা এবং ১০০০ টাকা প্রাপকরা অতিরিক্ত ২০০০ টাকা পেতে চলেছেন। পাশাপাশি, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের তালিকা থেকে বাদ যেতে চলেছেন রাজ্যের বেশ কিছু মহিলা। তবে বর্ষশেষে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে অতিরিক্ত টাকা পাবার ঘোষণায় অত্যন্ত খুশি হয়েছেন রাজ্যের মহিলারা।
Lakshmir Bhandar Scheme Update.
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর রাজ্যের মহিলাদের হাত খরচা বাবদ মাসিক ভাতা দেওয়ার জন্য Lakshmir Bhandar নামক নতুন প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) এই প্রকল্পের অধীনে সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা মাসিক ১০০০ টাকা করে পান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাংলায়।
এখন বাংলার এই প্রকল্পকে অনুসরণ করছে দেশের অন্যান্য রাজ্যও। গত সেপ্টেম্বর মাসে আয়োজিত দুয়ারে সরকার শিবিরে নতুন করে বাংলার যে সকল মহিলারা Lakshmir Bhandar প্রকল্পে আবেদন করেছিলেন তাঁরা নভেম্বর মাস থেকেই নিজেদের ব্যাংক একাউন্টে অনুদান পেতে শুরু করেছেন। এর ফলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অনুদান গ্রাহকের সংখ্যা ২ কোটির গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে, যেটা একটি মাইলফলক বলা যায়।
মূলত বেশ কয়েক মাস আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা যে একাউন্টে পাঠানো হয় তার ই কেওয়াইসি বা কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করার উপর জোর দিয়েছিল সরকার। এমনকি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বলে দেওয়া হয়েছিল যে নতুন করে কোনো জয়েন্ট একাউন্টে Lakshmir Bhandar টাকা পাঠানো হবে না। এর ফলে উপভোক্তাদের একটি অংশ একাউন্টে কেওয়াইসি না করায় এবং জয়েন্ট একাউন্ট নথি জমা দিয়ে থাকায় গত দুইমাস ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছিলেন না।
কিন্তু সম্প্রতি তাঁদের বেশিরভাগই একাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধান করে ফেলেছেন। সেপ্টেম্বর মাসে আয়োজিত দুয়ারে সরকার শিবিরে (Duare Sarkar Camp) এই সংক্রান্ত নথির আপডেট জমা দিয়ে দিয়েছিলেন তারা। ফলে ডিসেম্বর মাসের Lakshmir Bhandar অনুদানের সঙ্গে আগের দুই মাসের বকেয়া অর্থ সবার একাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আর এই কারনেই Lakshmir Bhandar অনুদান প্রাপকদের ব্যাংক একাউন্টে অতিরিক্ত ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা ঢুকতে চলেছে। তবে, তবে যে সকল মহিলারা কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারি দফতরে চাকরি করেন অথবা সরকারের স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা অর্থাৎ পুরসভা, পঞ্চায়েত, পরিবহণ নিগম ইত্যাদিতে নিযুক্ত বা সরকারি স্কুল অথবা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফের দুয়ারে সরকার শিবির বসছে রাজ্যজুড়ে। তাই রাজ্যের ২৫ বছর থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে যে সকল মহিলারা এখনো Lakshmir Bhandar প্রকল্পের জন্য আবেদন করেনি, তাদের অতি শীঘ্রই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করা উচিত। আর সব কিছু ঠিক থাকলে এই ক্যাম্পেই আপনারা আবেদন জানাতে পারবেন।
Written by Sampriti Bose.
42000 প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় রায় দিল আদালত। চাকরিপ্রার্থী ও