Swasthya Sathi Card বা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে ছয় মাস আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের কর্মীরা। সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সব স্তরের পঞ্চায়েত কর্মীদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্মীদের জন্য এটি এক দারুণ সুখবর বলা যায়।
Swasthya Sathi Card Latest News In Starting Of The Year.
মূলত ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাজ্যের মানুষের চিকিৎসার সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের (Swasthya Sathi Card) শুভ সূচনা করেন। এই প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত অস্ত্রোপচারের জন্য কার্ড হোল্ডার ব্যক্তির নিজস্ব বা পরিবার পিছু সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে।
এখনো পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৪২ লক্ষ ৫৩ হাজার রাজ্যবাসী এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড (Swasthya Sathi Card) করিয়েছেন। তবে, রাজ্যের সকল নাগরিক স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে চিকিৎসা করানোর সুযোগ পেলেও বঞ্চিত হতেন রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের কর্মীরা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Swasthya Sathi Card) সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকায় অখুশি ছিলেন পঞ্চায়েত দফতরের কর্মীরা।
বিশেষ করে পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে স্থায়ী সরকারি কর্মীরা ছাড়াও বহু অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মী কাজ করেন। তাঁদের আর্থিক অবস্থা ততটা ভাল নয়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Swasthya Sathi Card) মাধ্যমে বছরে পরিবার কিছু ৫ লক্ষ টাকা চিকিৎসা খরচ পেলে তাঁরা অনেকটাই নিশ্চিন্ত হতে পারেন। মাস ছয়েক আগে তাদের এই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তারা জানান। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রতিশ্রুতি দেন, দ্রুত সব স্তরের পঞ্চায়েত কর্মীদেরও Swasthya Sathi Card আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি মতো রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সব স্তরের পঞ্চায়েত কর্মীদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Swasthya Sathi Card) আওতায় আনার সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। এর ফলে খুব দ্রুত পঞ্চায়েত দফতরের যে কর্মীরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধার বাইরে ছিলেন তাঁরাও এবার এই সুবিধার মধ্যে চলে আসবেন। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপে খুশী প্রাণী বন্ধু সহ পঞ্চায়েত দফতরে কর্মরত অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা।
পাশাপাশি, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের (Government Of West Bengal) এই সিদ্ধান্ত আগামী লোকসভা নির্বাচনে গ্রামাঞ্চলে শাসক দল তৃণমূলকে আরও খানিকটা সুবিধা করে দেবে। এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প (Swasthya Sathi Scheme) গোটা দেশের কাছে এক রকমের রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষের সঠিক চিকিৎসার সহায়ক হয়েছে।
গরিবরাও এখন অসুখ করলে নিশ্চিন্তে চিকিৎসা করাতে পারছেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে। তবে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের (WB Swasthya Sathi) অর্থ যাতে অপব্যবহার না হয় সেই কারণে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতালে অর্থোপেডিক অস্ত্রোপচার বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটলে সেক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া আছে।
পেট্রোল ডিজেলের দাম কমবে 10 টাকা পর্যন্ত, বছরের শুরুতে মোদী সরকারের বড় সিদ্ধান্ত।
সরকারি হাসপাতালে যদি অর্থোপেডিক অস্ত্রোপচারের পরিকাঠামো না থাকে সে ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালে অর্থোপেডিক অস্ত্রোপচার করা যাবে। সবমিলিয়ে, নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের কর্মীদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে Swasthya Sathi Card নিয়ে গৃহীত এই বিশেষ পদক্ষেপটি রাজনৈতিকভাবেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
Written by Sampriti Bose.
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের টাকা পাচ্ছেন তো? 2 মিনিটে ব্যালেন্স চেক করে নিন নিজের