নতুন বছরের শুরুতেই বড়ো ধাক্কা Free Ration বা বিনামূল্যে রেশন গ্রাহকদের জন্য। দেশ তথা রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটে শামিল রেশন ডিলাররা। যার ফলে সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছেন দেশবাসীর সাথে সমগ্র রাজ্যবাসীও। বর্তমানে দেশ তথা রাজ্যের প্রায় প্রতিটা মানুষই রেশনের সুবিধা গ্রহণ করে থাকেন। প্রতিটা রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের তরফে সেই রাজ্যের রাজ্যবাসীরা উক্ত মাসে কতটা পরিমাণ রেশন (Free Ration Items) পাবেন কিংবা অতিরিক্ত রেশন পাবে কিনা সেটি একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়।
Free Ration Items Will Stopped.
সেই অনুযায়ী রেশন ডিলারের থেকে রেশন পেয়ে থাকেন গ্রাহকেরা। তবে এবার রেশন ডিলারদের (Ration Dealer) অভিযোগ, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত খাদ্য দফতর অনলাইনে যে রেশন সামগ্রী (Free Ration) ডিলারদের জন্য বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেছিল, আদতে তা দেওয়া হয়নি। এরূপ নানা দাবিতে দেশ তথা রাজ্য জুড়ে অনির্দিষ্টকাল রেশন ধর্মঘটের (Ration Strike) ডাক দেওয়া হয়েছে।
তার আঁচ পড়ল রাজ্যের পশ্চিম বর্ধমানেও। দুর্গাপুর ও আসানসোলের বেশির ভাগ রেশন দোকান (Free Ration) বন্ধ ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। এর ফলে, গ্রাহকেরা ভোগান্তির মুখে পড়তে চলেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি রেশন ডিলারদের সংগঠন ‘দুর্গাপুর সাবডিভিশন ইস্ট অ্যান্ড ওয়েস্ট ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ এর নেতৃত্বে সিটি সেন্টারে একটি রেশন দোকানের (Free Ration) সামনে জড়ো হন রেশন ডিলারেরা।
তারা ব্যানার হাতে দাবিদাওয়ার সমর্থনে স্লোগান দিতে থাকেন। রেশন ডিলারদের অভিযোগ, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত খাদ্য দফতর (Free Ration) অনলাইনে যে রেশন সামগ্রী ডিলারদের জন্য বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেছিল, তা আদতে দেওয়া হয়নি। অনেক কম সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। অথচ, ‘ই পস মেশিনে’ অনলাইনে যে পরিমাণ বরাদ্দের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই পরিমাণ সামগ্রীর তথ্য ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
ফলে, বাস্তব ও যন্ত্রের তথ্যে ফারাক থেকে যায়। সেই ঘাটতি রেশন ডিলারদের (Free Ration) ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। খাদ্য দফতরে বার বার লিখিত ভাবে জানানোর পরেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি তাঁদের। এই প্রসঙ্গে রেশন ডিলারদের রাজ্য স্তরের সংগঠন ‘অল বেঙ্গল ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তনয়কুমার মণ্ডল বলেন।
কমিশনের হার বাড়ানো এবং ন্যূনতম মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকা রোজগার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হচ্ছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বর, ৪৭ মাসের কুইন্টাল পিছু ১৬ টাকা হারে বকেয়া রয়েছে। সেই টাকা (Free Ration) মিটিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তারা। সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ রেশন ডিলার এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
আসানসোল মহকুমার রেশন ডিলারেরাও এ দিন দোকান বন্ধ রেখে খাদ্য দফতরে স্মারকলিপি দেন। ‘আসানসোল সাবডিভিশনাল ফেয়ার প্রাইস শপ ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক মহেশকুমার শর্মা জানিয়েছেন, কমিশন বৃদ্ধি সহ নানা দাবিতে তাঁরা বহু দিন ধরে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু সরকারের (Free Ration) হেলদোল নেই।
মহেশ জানিয়েছেন, আসানসোল, বার্নপুর ও কুলটির ৭৪ জন রেশন ডিলার খাদ্য সরবরাহ করেননি। জেলা খাদ্য নিয়ামক অমিত গঙ্গোপাধ্যায়ের অবশ্য জানিয়েছেন, বেশির ভাগ দোকানই খোলা ছিল। ধর্মঘট হয়েছে বলে তার জানা নেই। অপরদিকে তনয় জানিয়েছেন, করোনা অতিমারির (Free Ration) সময়ও গ্রাহকদের কথা ভেবে রেশন বণ্টন ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছিল। তাই এই বারেও কোনও সমস্যা হবে না।
এখন তার দোকান বন্ধ আছে। তবে দরকার হলে সারা মাসের সামগ্রী একেবারে গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন তিনি। তবে তনয় বাবুর মতন করে ভাবতে চাইছেন না সমস্ত রেশন ডিলাররা (Free Ration) তাদের মধ্যে অনেকেই এই আন্দোলনকে জারি রাখতে চাইছেন। এমতাবস্থায় রেশন গ্রাহকদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Written by Sampriti Bose.