পাসপোর্ট (Passport) হল আমাদের দেশের ভবিষ্যতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। বর্তমানে আধার কার্ড (Aadhaar Card) ও প্যান কার্ড (PAN Card) হল আমাদের দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু বিদেশে এই কোন নথির ১ টাকাও দাম নেই!! সেই খানে এই Passport এর মান্যতা আছে অনেক বেশি। পাসপোর্ট করানোর জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দেওয়ার দিন শেষ।
Passport Seva App New Apply Details.
এখন থেকে বাড়িতে বসে মাত্র ১৫০০ টাকা খরচ করেই বানিয়ে ফেলা যাবে পাসপোর্ট। সম্প্রতি এই বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। বর্তমানে অনেকেই চাকরি, ব্যবসা, পড়াশোনা কিংবা ভ্রমণ সহ ইত্যাদি কারণেই বিদেশে পাড়ি দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই বিদেশে যাওয়ার জন্য সবথেকে প্রয়োজনীয় হলো পাসপোর্ট। আর Passport বানানোর জন্য দেশের মানুষকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো।
সর্বোপরি, আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে (Passport Office) বেশ কয়েক ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। তবে, এখন থেকে আর পাসপোর্ট বানানোর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়াতে হবে না। মাত্র ১৫০০ টাকা খরচ করে বাড়ি বসেই বানিয়ে ফেলা যাবে পাসপোর্ট। কিন্তু এর জন্য অবশ্যই আবেদনকারীর কাছে একটি স্মার্ট ফোন থাকতে হবে। আর সেই স্মার্টফোনে এমপাসবুক সেবা অ্যাপটি (mPassport App) ইন্সটল করা থাকতে হবে।
Passport বানানোর নতুন পদ্ধতি
- প্রথমে এমপাসবুক সেবা (Passport Seva) অ্যাপটি ইন্সটল করে সেই অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এর জন্য নিউ ইউজার রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর অ্যাপের মূল পেজে ঢুকে নিজের স্থায়ী ঠিকানার নিকটতম পাসপোর্ট (Passport) অফিস নির্বাচন করতে হবে আবেদনকারীকে।
- আবেদনকারী যে রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা অর্থাৎ যেখানের ভোটার এবার সেখানকার পাসপোর্ট অফিস নির্বাচন করতে হবে।
- এবার নিজের নাম, জন্ম তারিখ, ইমেল আইডি সহ অন্যান্য বিষয় গুলি যথাযথভাবে উল্লেখ করতে হবে আবেদনকারীকে।
- এবার লগইন আইডি, পাসওয়ার্ড, অন্যান্য বিবরণ এবং ক্যাপচা কোড উল্লেখ করে সাবমিট অপশনে ক্লিক করতে হবে। এখানেই পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীর প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল।
- এবার Passport অফিস থেকে আবেদনকারীর ইমেলে একটি ভেরিফিকেশন লিঙ্ক পাঠানো হবে। আবেদনকারী এই ভেরিফিকেশন লিঙ্কে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে একটি নতুন ওয়েবপেজ রিডাইরেক্ট করে পৌঁছে যাবে। সেখানে ভেরিফিকেশনের জন্য লগইন আইডি যথাযথভাবে উল্লেখ করতে হবে আবেদনকারীকে।
- একাউন্ট ভেরিফাই হওয়ার পর অ্যাপটি সাময়িকভাবে বন্ধ করতে হবে।
- এবার আবার Passport অ্যাপে প্রবেশ করে লগইন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
- এবার এক্সিসটিং ইউজার অপশনে ক্লিক করতে হবে। এর জন্য লগইন আইডি, পাসওয়ার্ড এবং ক্যাপচা কোড দিতে হবে।
- সঠিকভাবে লগইনের পর অ্যাপ্লাই ফর ফ্রেস Passport অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্বাচন করতে হবে।
- এখানে পাসপোর্টের ধরন বেছে নিতে হবে। আবেদনকারীকে তার নিজের প্রয়োজন ও চাহিদা মত সেটি নির্বাচন করতে হবে।
- এবার নিজের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য যথাযথভাবে দিতে হবে। পারিবারিক বিবরণ দিতে হবে। পাশাপাশি, ঠিকানা সম্পর্কিত তথ্য বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হবে।
- জরুরি পরিস্থিতিতে কে আবেদনকারীকে সাহায্য করতে পারে তাঁর বিবরণ দিতে হবে।
- শেষে পাসপোর্ট ফি বাবদ ১৫০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট ঠিক করতে হবে।
- এবার নির্ধারিত দিনে পাসপোর্ট কেন্দ্রে যেতে হবে।
টাকা তোলার নিয়মে বড় পরিবর্তন করলো RBI. মাসে কত টাকা তুলতে পারবেন?
উল্লেখ্য, এরই মাঝে স্থানীয় থানায় আবেদনকারীর পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়া হবে। এই বিষয়টি পাসপোর্ট অফিস থেকে তাকে জানিয়েও দেওয়া হবে। তাই অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করলেই যে পুরো পাসপোর্ট তৈরি হয়ে গেল তা কিন্তু নয়। এর মধ্যবর্তী প্রক্রিয়াগুলিও আবেদনকারীকে যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে হবে, তবেই তিনি পাসপোর্ট পাবেন। তাই যাদের প্রয়োজন রয়েছে পাসপোর্ট এর তাদের আর দেরি না করে অতি দ্রুত উক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে এমপাসপোর্ট সেবা অ্যাপের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করা উচিত।
Written by Sampriti Bose.
ট্যাক্স বাঁচানোর বিরাট সুযোগ এই 3 টি কাজের মাধ্যমে! ক্লেম না করলেই লোকসান।