রাজ্যের অসংখ্য কৃষকদের জন্য এসে গেল এক দারুণ খবর (Bangla Shasya Bima). এখন থেকে কৃষকরা একটি বিমা করলেই তাদের প্রিমিয়াম দেবে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি মালদহ জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে এই প্রচার কর্মসূচি উপলক্ষে কৃষি দফতরের উদ্যোগে একটি ট্যাবলোর উদ্বোধন করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্পে ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ যথেষ্ট উন্নত হলেও ভারতবর্ষ মূলত কৃষিপ্রধান দেশ (Farmers).
Bangla Shasya Bima Online Apply Benefits.
আর ভারতবর্ষের (India) মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) বসবাসকারী কৃষকদের সংখ্যা নিতান্তই কম নয়। কিন্তু, সারা দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ, পোকা মাকড়ের উপদ্রবের ফলে কৃষকদের (WB Farmers) ফসলের ক্ষতি হয়। আর এর ফলে আর্থিক ক্ষতি হয় কৃষকদের। কিন্তু এবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের (Krishak Bandhu) আর দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই (Bangla Shasya Bima).
কারণ চাষ করার পর প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা অন্য কোন কারণে ফসল নষ্ট হলে বিমা থাকলে সহজে ক্ষতিপূরণ পাবেন কৃষকেরা। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চালু করা হয়েছে বিশেষ বিমা। খারিফ মরশুমের শস্য বিমায় আবেদন শুরু হয়েছে। মালদহ (Malda) জেলার প্রতিটি ব্লকের কৃষকদের এই বিষয়ে সচেতন করতে এবার বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করল জেলা কৃষি দফতর (Bangla Shasya Bima).
মালদহ জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে এই প্রচার কর্মসূচি উপলক্ষে কৃষি দফতরের উদ্যোগে একটি ট্যাবলোর উদ্বোধন করা হয়। বাংলা শস্য বিমা সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ মানুষকে ও কৃষকদের (Bangla Shasya Bima) সচেতন করতে গোটা জেলা ঘুরবে এই ট্যাবলো। মালদহ জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক দিবানাথ মজুমদার বলেন, খারিফ মরশুমের শস্য বিমার জন্য আবেদন জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তন্তু জাতীয় ফসলের জন্য এই বিমা করা হচ্ছে। তিন বছর আগে এই বিমা চালু ছিল। মাঝে বন্ধ করা হয়েছিল। পুনরায় সেই Bangla Shasya Bima 2024 চালু করা হলো। বাংলার শস্য বিমায় নাম নথিভুক্ত করতে হলে কৃষকদের (Indian Farmers) জমির দলিল সহ কিছু নথি প্রয়োজন। তবেই নাম নথিভুক্ত করা যায়। বন্যা, খরা সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে প্রতি বছর বহু কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হন।
এই Bangla Shasya Bima করা থাকলে সে ক্ষেত্রে কৃষকরা সহজেই ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন। মালদহ জেলার কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে প্রযুক্তি নির্ভর বিমা প্রকল্প (Bangla Shasya Bima Scheme) চালু হয়েছে। প্রিমিয়ামের পুরো খরচ রাজ্য সরকারের দেয়। বেসরকারি বিমা সংস্থা ও কৃষি দফতরের যৌথ উদ্যোগে চলতি মরশুম থেকে প্রযুক্তি নির্ভর বিমা প্রকল্প (Insurance Scheme) চালু করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের গুরুত্ব আরও বাড়লো। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বড় ঘোষণা রাজ্যবাসীর জন্য।
কৃষকেরা Bangla Shasya Bima করবার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বিমা কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন অথবা কৃষি দফতরের সহায়তায় দরখাস্ত পূরণ করেও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শস্য বিমা করতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে শীঘ্রই এই বিমার সুবিধা গ্রহণ করতে আবেদন করা উচিত বাংলার কৃষকদের। এই সম্পর্কে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।
Written by Sampriti Bose.
কেন্দ্র সরকারের এই কার্ড করলেই 5 লক্ষ টাকার সুবিধা পাবেন। নতুন আবেদন কিভাবে করবেন?