এবার দেশবাসীর জন্য এসে গেল এক দারুণ ব্যবসার সুযোগ। এখন থেকে পেট্রোল পাম্পের ডিলারশিপ (Petrol Pump Dealership) নিয়ে ব্যবসা করে বিপুল অংকের উপার্জন করতে পারবেন দেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষ। দেশের আর পাঁচটা বড়ো ব্যবসার মধ্যে পেট্রোল পাম্পের ব্যবসা বরাবরই সকলের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে থেকেছে। বর্তমানে ভারতের মতো দেশে পেট্রোল পাম্প (Petrol Pump Dealership Business) চালু করা একটি অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক ক্ষেত্র।
How To Get Petrol Pump Dealership.
হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম (Hindusthan Petroleum), ভারত পেট্রোলিয়াম (Bharat Petroleum), ইন্ডিয়ান অয়েল (Indian Oil), এসার অয়েলের মতো নানা তেল সংস্থা পেট্রোল পাম্পের স্বত্ত্ব প্রদান করে আগ্রহীদের। পেট্রোল পাম্প (Petrol Pump) খোলার ক্ষেত্রে ডিলার নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ব্যবহার করে সংস্থা গুলি। এরপরের ধাপ হিসেবে নিলামে অংশ নেন আগামীর ডিলাররা।
Petrol Pump Dealership Apply Criteria
1) ডিলার হতে গেলে আবেদনকারীকে সর্বপ্রথম ভারতীয় হতে হবে।
2) প্রবাসীদের ক্ষেত্রে আবেদন করার ন্যূনতম ৬ মাস আগে থেকে ভারতে থাকতে হবে আবেদনকারীকে।
3) আবেদন করতে পারবেন ২১ থেকে ৫৫ বছর বয়সী নাগরিকরা।
4) তফসিলি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক হলেও জেনারেলের ক্ষেত্রে তা উচ্চ মাধ্যমিক।
5) গ্রামাঞ্চলে মাধ্যমিকের শংসাপত্র থাকলেও শহরাঞ্চলের আবেদনকারীকে স্নাতক, চ্যাটার্ড একাউন্টেট, সংস্থার সেক্রেটারি, হিসাব রক্ষক বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিপ্লোমাধারী হতেই হবে।
নিয়মানুযায়ী, Petrol Pump Dealership পেতে সর্বনিম্ন ১২ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন রয়েছে। সরকার অনুমোদিত যে কোনো উপায়ে গচ্ছিত অর্থই এক্ষেত্রে গ্রাহ্য হবে বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকরা। পেট্রোল পাম্প স্থাপনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল জমি নির্বাচন। নিজস্ব জমি না থাকলে অন্যের জমির শর্তাধীন মালিকানা এনওসি শংসাপত্রের মাধ্যমে নেওয়া আবশ্যক।
শহরাঞ্চলে ক্ষেত্রে যে কোনো মূল রাস্তা এবং গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে জাতীয় সড়কের থেকে দূরে জমি নির্বাচন প্রয়োজনীয়। মূলত Petrol Pump Dealership নিতে গেলে শহরাঞ্চলে আবেদনের খরচ ১০০০ টাকা ও গ্রামাঞ্চলে ১০০ টাকা। তফসিলি জাতিভুক্তরা এক্ষেত্রে ৫০% ছাড় পেয়ে থাকেন। মূলত ডিমান্ড ড্রাফটে মাধ্যমে এই অর্থ গ্রহণ করে তৈল সংস্থা।
সংস্থার থেকে জমি লিজ নিয়ে Petrol Pump Dealership খুলতে গেলে গ্রামাঞ্চলে ৫০ লক্ষ ও শহরাঞ্চলে ১.৫ কোটি টাকা ডিলারশিপ বাবদ দিতে হয়। লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ‘বি’/’ডিসি’ স্থানে মোটর স্পিরিটের জন্য ১৮ টাকা/কিলোলিটার ও হাইস্পিড ডিজেলের জন্য ১৬ টাকা/কিলোলিটার দিতে হয়, ‘এ’/’সিসি’ স্থানে মোটর স্পিরিট বাবদ ৪৮টাকা/কিলোলিটার ও হাই স্পিড ডিজেলে প্রতি কিলোলিটারে ৪১টাকা জমা দিতে হয়।
বর্তমানে তৈল মার্কেটিং সংস্থা ওরফে ওএমসি গুলি বিভিন্ন সংবাদপত্র ও নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেয়। সেই বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহীরা যোগাযোগ করেন সংস্থার সাথে। আবেদনকারীর সংখ্যা অধিক হলে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন চালায় সংস্থা গুলি। নির্বাচিতদের জিএসটি প্রদান ও নতুন কারেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য জিএসটিআইএন নম্বর নিতে হয় (Petrol Pump Dealership).
রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি পাবেন না গ্রাহকরা। অতি শীঘ্রই এই নথি জমা করুন।
মূলত Petrol Pump Dealership চয়নের ওয়েবসাইট থেকেও নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন আগামীর ডিলাররা। তাই আর দেরি না করে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের দ্রুত পেট্রোল পাম্পের ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা শুরু করার জন্য আবেদন করতে হবে। আর এই সম্পর্কে আপনারা আরও বিস্তারিত তথ্য জেনে নিয়ে তবেই আবেদন করবেন।
Written by Sampriti Bose.
আধার কার্ড গ্রাহকদের সুখবর। টাকার দরকার হলেই টাকা দিচ্ছে ব্যাংক। 5 মিনিটে ব্যাংক একাউন্টে ঢুকবে।