ট্রেড লাইসেন্স (Trade License) ছাড়া অবৈধ বলে ঘোষিত হবে যে কোন দোকান। তবে, এখন থেকে সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই Trade License বানাতে পারবেন পশ্চিমবঙ্গের অসংখ্য ব্যবসায়ীরা। এর জন্য মেনে চলতে হবে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ। পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের যদি কোনো দোকান বা প্রতিষ্ঠান থাকে বা তিনি যদি কোনো ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন।
Trade License Online Apply Process In West Bengal.
সেটা যে ধরনের বড়ো বা ছোট দোকান বা প্রতিষ্ঠান হোক না কেন, যেমন মুদির দোকান, অনলাইন সাইবার ক্যাফ, কাপড়ের দোকান, স্বর্ণের দোকান, বা হার্ডওয়ার দোকান, ইত্যাদি। যদি তিনি বৈধভাবে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করতে চান তাহলে অবশ্যই তার দোকানের প্রয়োজন একটি Trade License. আমাদের দেশে অর্থাৎ ভারতবর্ষে এই ট্রেড লাইসেন্স ৪০ বছর আগে চালু করা হয়েছিল।
এই Trade License মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকে নির্দিষ্ট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করা হয় যেটা রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত করা হয়। মূলত ট্রেড কথার অর্থ ব্যবসা এবং লাইসেন্স কথার অর্থ অনুমতি, অর্থাৎ ব্যবসা করার জন্য অনুমতি যে পত্রের মাধ্যমে দেওয়া হয় তাকে Trade License বলে। ব্যবসায়ী ব্যক্তিদের ব্যবসার জন্য একটি খুব দরকারি নথি হল ট্রেড লাইসেন্স।
Trade License ছাড়া যে কোন ব্যবস্থা বা প্রতিষ্ঠান চালানো সম্পন্ন অবৈধ। এই ট্রেড লাইসেন্স উদ্যোক্তাদের আবেদনের ভিত্তিতে প্রদান করা হয়, যা কোনভাবেই হস্তান্তর যোগ্য নয়। প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ট্রেড লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। আর এই সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে আপনারা জেনে নিন, তাহলে ভবিষ্যতে সুবিধা হতে চলেছে।
Trade License Benefits In West Bengal
1) ব্যবসায়ী যদি তার দোকানের নামে কারেন্ট ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান সেক্ষেত্রে তার Trade License দেখিয়ে তিনি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন।
2) এছাড়াও কেউ যদি তার দোকানের জন্য লোন নিতে চান তবে সেই ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে তিনি লোন নিতে পারবেন।
3) যদি ব্যবসায়ীর কাছে ট্রেড লাইসেন্স না থাকে তবে অনেক সমস্যায় সম্মুখীন হতে পারেন তিনি।
4) এছাড়া অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে তাই যাদের ব্যবস্থা রয়েছে তাদের একটি Trade License থাকা বাধ্যতামূলক।
Trade License Apply Important Documents
1) ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড, জব কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, এগুলির মধ্যে যেকোনো একটি প্রয়োজন।
2) আবেদনকারীর একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর।
3) জায়গার খতিয়ান কপি, ভাড়া রশিদ অথবা চুক্তিপত্রের কপি।
আগে Trade License পাওয়ার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যেতে হতো। তবে এখন বাড়িতে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স আবেদন করতে পারবেন। এখন গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে না গিয়েও খুব সহজেই মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই অনলাইনের মাধ্যমে Trade License এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, ট্রেড লাইসেন্সের ক্যাটাগরি অনুযায়ী ট্রেড লাইসেন্সের ফি ও বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
Trade License Apply Fees
1) Not Paying Professional tax এর ক্ষেত্রে 150 টাকা।
2) Telephone Booth Cyber Cafe Or Xerox Center etc এর ক্ষেত্রে 450 টাকা।
3) Paying Professinal Tax Except Trades Of Special Nature এর ক্ষেত্রে 750 টাকা।
4) Capital Invesment Exceeding Rs 500000 এর ক্ষেত্রে 1500 টাকা।
Trade License Online Apply Process
1) ট্রেড লাইসেন্স আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনাকে অফিসিয়াল এই wwwprdeodb.wb.gov.in এর ওয়েবসাইটের হোমপেজে আসতে হবে। কিংবা www.prdeodb.wb.gov.in/onlineTradeapplication.php এই লিংকে ক্লিক করে সরাসরি আবেদন পেজে যেতে পারেন। আবার যদি কেউ মোবাইলের মাধ্যমে আবেদন করতে চাইছেন তাহলে অবশ্যই ডেস্কটপ মুট অন করে নিতে হবে তাকে।
2) এরপর বাঁদিকে সিটিজেন কর্নারে থাকা নিউ টেড রেজিস্ট্রেশন তে ক্লিক করতে হবে। এবং পরবর্তী পেজে Trade and O.N.C New অপশনে ক্লিক করতে হবে।
3) এরপর আবেদনকারীর সামনে Trade License এর Application for Trade N.O.C আবেদন ফর্ম খুলে আসবে।
4) এরপর Details of Process Trade সেকশনে প্রথমে তিনি তার District, Block, Gram Panchayat, সিলেক্ট করতে হবে। এরপর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানের নাম ও ক্যাটাগরি Name of Trade and Select Trade Type সিলেক্ট করতে হবে। এবং এর পরে আবেদনকারীর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ ঠিকানা বিবরণ যেমন village, Samsad, Para, Post Office, Police Station, Pin Code, Mauja No, Dag No, Khatian No, সঠিকভাবে দিতে হবে।
5) এরপর Applicant Details সেকশনে আবেদনকারীর নাম বাবার নাম Identify Proof, Identity Card No, Type of Ownership, Category, Mobile No, সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
6) এরপর Address of Applicant সেকশনে আবেদনকারীর দেওয়া ঠিকানা যদি একই হয় তবে Same As Above এই অপশনে ক্লিক করতে হবে আর যদি আলাদা হয় তাহলে সেই পেজের নিচে দেওয়া জায়গায় আপনার ঠিকানা বিবরণ লিখতে হবে।
7) এরপর Organise Details সেকশনে সঠিক তথ্য লিখতে হবে যেমন দোকানে কতজন কর্মী রয়েছে, last year কত টাকা ইনভেস্ট করেছেন এবং কত টাকা লাভ হয়েছে, এবং Category of Fees সিলেট করুন, যদি Not Paying Professional tax সিলেক্ট করেন তবে 150 টাকা ফ্রি দিতে হবে, তিন বছরের জন্য।
8) এরপর রয়েছে Document Upload সেকশন, ID Proof Upload করতে হবে এখানে যেটা উপরে সিলেট করেছেন এবং Land Record আপলোড করতে হবে। দুটো ডকুমেন্টসই PDF আকারে 16 KB এর নিচে হতে হবে। এরপর ক্যাপচার সঠিকভাবে বসিয়ে নিচে I Agree অপশন এ টিক চিহ্ন দিয়ে Submit ক্লিক করতে হবে।
9) এরপর Acknowledgement Number পাওয়া যাবে যেটিকে ডাউনলোড করে রাখতে হবে। এবং এরপর Payment অপসনে ক্লিক করে ফ্রি পেমেন্ট করতে হবে। পেমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আবেদনকারী তার Trade License টি ডাউনলোড করতে পারবেন। যার ভেলিডিটি তিন বছরের জন্য বৈধ।
10) যদি কোন কারণবশত আবেদনকারীর অ্যাপ্লিকেশনটি Panding বা Failed হয়ে যায় তাহলে তিনি Trade N.O.C Status অপশনে ক্লিক করে এবং Acknowledgement Number লিখে পুনরায় পেমেন্ট সম্পূর্ণ করতে পারবেন। পেমেন্ট সম্পূর্ণ হয়ে গেলি তিনি ট্রেড লাইসেন্সটি ডাউনলোড করতে পারবেন।
বিনা পরিশ্রমে 1 লাখ টাকা রোজগার করুন AI এর মাধ্যমে। মোবাইল থাকলেই হবে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে Trade License রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার পুরো প্রক্রিয়াটি প্রায় 5 7 দিন সময় নেয়। অনুমোদনের পর সার্টিফিকেট অনলাইনে ডাউনলোড করা যাবে। ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ সাধারণত এক বছর থাকে। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে পরিচালিত যেকোনো বাণিজ্য বা ব্যবসা কার্যকলাপের জন্য একটি Trade License প্রয়োজন হয় ৷ তাই পশ্চিমবঙ্গে যে সকল ব্যবসায়ী ব্যবসা করতে ইচ্ছুক বা যাদের দোকান রয়েছে তাদের অতি দ্রুত উক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা উচিত।
Written by Sampriti Bose.
গরমকালের নতুন ব্যবসার আইডিয়া। এখন শুরু করুন, সারা বছর চলবে।