হাইকোর্টের রায়ে ফের একবার স্থগিতাদেশ দেওয়া হলো রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment) প্রক্রিয়ায়। ৮৭ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাইকোর্টের (High Court) এমন রায়ে ফের বিপাকে পড়তে চলেছেন রাজ্যের অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী। আমরা এখনকার দিনে খবরের দিকে তাকালেই কোন না কোন দুর্নীতির খবর আমাদের সামনে ভেসে আসে।
87000 Teacher Recruitment Stoped by High Court.
আর এই সকল দুর্নীতির মধ্যে এখন শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) এক নতুন সংযোজন। আমরা পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক থেকে শুরু করে একেবারে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি লক্ষ্য করতে পারছি। আর আজকের এই খবরটি পশ্চিমবঙ্গের নয়। আমাদের পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারের। এই রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় স্থগিতাদেশ দিল পাটনা হাইকোর্ট (Patna High Court).
শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট
তবে, পশ্চিমবঙ্গের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি সুখবর হলো এই মামলাটি পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারের। জানা গিয়েছে বিহারে এই মুহুর্তে শিক্ষক নিয়োগে (Teacher Recruitment) প্রায় ৮৭,৭২২ শূন্যপদ রয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগেই সেই নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্ট। বিহারে শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় পর্যায়ে ৮৭৭২২ টি পদের জন্য শূন্যপদ ছিল। গত ১৫ মার্চ BPSC (Bihar Public Service Commission) পরীক্ষাও নেওয়া হয়। তবে সেই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ সামনে আসে।
৮৭০০০ শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ
পেপার ফাঁসের অভিযোগে গত ২০ মার্চ তৃতীয় পর্বের সেই শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (Teacher Recruitment Exam) বাতিল করে দেয় বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন। এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, অর্থনৈতিক অপরাধ ইউনিট সূত্রে যে খবর সামনে এসেছে তাতে ১৫ মার্চ যেই দুই শিফটে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করা হয়েছিল, সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগেই ফাঁস হয়ে যায়। এর জেরে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে পাটনা হাইকোর্টের কি নির্দেশ?
তবে বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তরফে এও জানানো হয়, আগামী ১০ থেকে ১২ জুনের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ প্রার্থী TRE ৩ তে আবেদন করেছিল। ওই দিকে সম্প্রতি স্কুলের অতিথি শিক্ষকের একাংশ পাটনা হাইকোর্টে ওয়েটেজের দাবি তুলে মামলা করেন (Teacher Recruitment Case). সেই নিয়ে সম্প্রতি বিরাট নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অতিথি শিক্ষকদের করা মামলায় আদালত জানিয়েছে, অনগ্রসর ও অত্যন্ত অনগ্রসর বিভাগের শিক্ষকরা ওয়েটেজ পান।
আপনার Aadhaar Card চালু আছে? ঠিক জানেন তো? নাহলে একবার দেখে নিন
প্রতি বছরের ভিত্তিতে তারা পাঁচ নম্বরের গুরুত্ব পায়। এবার অতিথি শিক্ষক এবং অনগ্রসর ও অত্যন্ত অনগ্রসর বিভাগের শিক্ষকরা উভয়েই একই ভাবে পাঠদানের কাজ করে থাকেন। তাই তাদেরও অবশ্যই ওয়েটেজ পাওয়া উচিত বলে সাফ জানিয়ে দেয় পাটনা হাইকোর্ট। তবে হাইকোর্টের রায়ে ৮৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment) প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ হয়ে যাওয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যতের বিষয়ে বড়ো প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়ে গেল।
Written by Sampriti Bose.