গরমের ছুটির (Summer Vacation) পর স্কুল খুলে গেলেও রাজ্যের একাধিক স্কুলে রয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force). আর তাতেই পড়ুয়াদের পঠন পাঠনে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীদের থাকার বিকল্প ব্যবস্থা করতে বলল নবান্ন (Nabanna). রাজ্যের স্কুল (School) গুলোতে আর রাখা যাবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
Nabanna Directs how to Remove Central Force From School After Summer Vacation.
তীব্র দাবদাহ পরিস্থিতি ও লোকসভা নির্বাচনের জন্য এই বছর এগিয়ে আনা হয়েছিল গরমের ছুটি। তীব্র গরমে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর বেশ কিছুটা আগেই রাজ্যের সরকারি স্কুল গুলোতে ছুটি পড়ে গিয়েছিল। ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল সরকার অধীনস্থ সব স্তরের স্কুলে গরমের ছুটি। যা শেষে সোমবার থেকে ক্লাস রুমে ফিরেছে পড়ুয়ারা।
গরমের ছুটির স্কুল নিয়ে আপডেট
গরমের ছুটির মধ্যেই অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পঠন পাঠন কিছুটা চালিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল শহরের বেশ কিছু স্কুল। সবমিলিয়ে প্রায় দেড় মাস পর এবার নিয়মিত পঠন পাঠনের পরিবেশ ফিরে পেয়েছে ছাত্র ছাত্রী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা (School Teachers) সকলেই। কিন্তু দীর্ঘ বিরতি শেষে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) পর সোমবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল খুলে গেলেও বেশ কিছু স্কুলে এখনও পর্যন্ত পঠন পাঠন শুরু করা যায়নি।
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নবান্নের নির্দেশ
কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় সেখানে স্কুল খোলা সম্ভব হয়নি। মূলত ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতেই রাজ্যে নির্বাচনের পরও কয়েক সপ্তাহ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার কথা বলেছিল নির্বাচন কমিশন। জানিয়েছিল ৪ জুন ফল প্রকাশ পর্যন্ত আদর্শ আচরণবিধি মেনে চলতে হবে এবং সেই বিধির পরে আরও ১৫ দিন অর্থাৎ আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকা গুলোতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা (Soldier) থাকবেন। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন স্কুলেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এইদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) সূচি অনুযায়ী, ৯ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত গরমের ছুটি থাকে। এবারে তীব্র তাপপ্রবাহের (Heat Wave) কারণে ২২ এপ্রিল থেকে ৩ জুন পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ভোট মিটে যাওয়ার পর বাহিনী থাকার কারণে সেই ছুটি আরও সাত দিন বৃদ্ধি করা হয়। ফলে ১০ তারিখ থেকেই পুরোদমে পঠন পাঠন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা করা সম্ভব হচ্ছে না বাহিনী থাকার জন্য।
ফলে সরকারিভাবে সোমবার স্কুল খুললেও সঠিকভাবে পঠন পাঠন শুরু করতে যে আরও বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যাবে, তা আন্দাজ করেছে শিক্ষা মহলের একাংশ। এই পরিস্থিতির দিকে যাতে আদালত নজর দেয় তার জন্যই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী জিষ্ণু চৌধুরী ও অয়ন পোদ্দার। তাঁরা প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে এই বিষয়ে আদালতের হস্তাক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন।
বাড়ছে নুন্যতম বেতন! ফের ক্ষমতায় এসে বড় সিদ্ধান্তের পথে মোদী সরকার
আগামী বুধবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। তবে তার আগেই, মঙ্গলবার রাজ্য প্রশাসন এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে। বাহিনী রাখার বিকল্প ব্যবস্থা করতে বলেছে বিভিন্ন জেলাকে। আর এরপরেই নড়েচড়ে বসে নবান্ন। স্কুলে রাখা যাবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী, এই মর্মে বিভিন্ন জেলা শাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার এবং স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ নবান্নের।
Written by Sampriti Bose.