এবার বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প (Lakshmir Bhandar)? তবে, এর পিছনে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন ধরনের সরকারি প্রকল্প চালু করেছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Government of West Bengal). এই সকল প্রকল্পের (Govt Scheme) মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প রাজ্যের নাগরিকদের সরাসরি টাকা প্রদান করে থাকে।
West Bengal Lakshmir Bhandar Scheme News.
তবে, এই সকল প্রকল্পের মধ্য বিশেষ জনপ্রিয় হল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প (Lakshmir Bhandar). আগে এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়া হতো। তবে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে রাজ্যের মহিলাদের বড় উপহার দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প ২০২৪
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা বাড়ানো হয়। এখন Lakshmir Bhandar প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের ১২০০ টাকা করে দেওয়া হয়। বাংলার প্রায় ২ কোটির বেশি মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। রাজ্য সরকার এই প্রকল্পে বছরে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা খরচ করে। তবে, এই আর্থিক সহায়তা বাড়লে সরকারের ওপর বোঝা কিছুটা হলেও বাড়বে বলেই জানা যাচ্ছে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বন্ধ হবে?
রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকারের তরফে চালু করা এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি। কিন্তু এবার এই Lakshmir Bhandar বন্ধ হতে পারে বলে এমন এক খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর এই শুনে রীতিমত চিন্তায় রাজ্যের মহিলারা। মূলত লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। আর এরপর থেকেই কাঁথির অন্তর্গত খেজুরি বিধানসভাতে তৃণমূল কর্মীদের উপরে বিজেপির অত্যাচারের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে খেজুরিতে গিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। প্রতিনিধি দল আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলার পর এলাকায় তিনি একটি জনসভার আয়োজন করেন। আর সেখানেই কুনাল ঘোষ ক্ষুব্ধ হয়ে মন্তব্য করেন, যারা তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা করছেন তারাও Lakshmir Bhandar টাকা পান।
আর ঠিক এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে যারা তৃণমূল কর্মীদের উপরে অত্যাচার করছে বলে অভিযোগ উঠছে তাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা কেটে নেওয়া হবে কি না। এমতাবস্থায় যারা হামলার শিকার হচ্ছেন তারাই দাবি তুলছেন যে দরকারে তাদের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হোক, কিন্তু হামলাকারীরা যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা না পান। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে তাহলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে কি না।
PM কিষাণের 17 তম কিস্তির টাকা কৃষক বন্ধুদের একাউন্টে ঢুকেছে? এইভাবে চেক করে নিন
যদিও সরকারি তরফে এখন এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন যে এই কয়েকটা বিক্ষিপ্ত ঘটনার জন্য এই Lakshmir Bhandar বন্ধ করা হবে না। কিন্তু দেখার অপেক্ষা যে এই ঘটনা ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কোন ধরণের প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয় কিনা। এই সম্পর্কে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
Written by Sampriti Bose.