পেনশন স্কিমের নিয়মে আসতে চলেছে বড়ো পরিবর্তন। নতুন নিয়মে পেনশন স্কিমের (Employee Pension Scheme) ক্ষেত্রে সুবিধা অনেক বেশি বাড়তে চলেছে। দেশের বেসরকারি কর্মীদের জন্য এটি এক বড় সুখবর বলা যায়। বেশ কিছু কাল আগেই দেশের বেসরকারি কর্মীদের ভবিষ্যৎ জীবন সুরক্ষিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে চালু করা হয়েছিল এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (Employees Provident Fund Organisation or EPFO).
Employee Pension Scheme Rules Much Easier then Earlier for Employees Benefits.
যে কোনো বেসরকারি অফিসে কর্মরত কর্মীরা এই প্রভিডেন্ট ফান্ডটিতে বিনিয়োগ করতে পারতেন। নির্দিষ্ট সময়ের পর পেনশনের মতই টাকা ফেরত পাবার কথা এই স্কিম থেকে। কিন্তু সম্প্রতি Employee Pension Scheme নিয়মে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। দাবি করা হয়েছে নতুন নিয়মে আরো বেশি উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ। এমপ্লয়ি পেনশন স্কিমে (EPS Pension Scheme) ১ টি সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
পেনশন স্কিম নিয়ে বড় খবর
এই স্কিমে ন্যূনতম ১০ বছর বিনিয়োগ করা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু ১০ বছর সময় সীমা শেষ হওয়ার আগেই অনেকেই বিনিয়োগ করা বন্ধ করে দেয়। এই Employee Pension Scheme থেকে বেরিয়ে আসেন। ন্যূনতম ৬ মাসের মধ্যে স্কিমটি প্রত্যাহার করার প্রবণতা সব থেকে বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাই নতুন নিয়মে ৬ মাস বিনিয়োগের পরই টাকা তোলার সুযোগ দিচ্ছে EPFO.
EPFO Employee Pension Scheme Benefits
এমপ্লয়ি পেনশন স্কিমে ১০ বছর বিনিয়োগ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু যদি কেউ তার আগে বিনিয়োগ করা বন্ধ করে দিতে চান, স্কিমটি বন্ধ করে দিতে চান, তাহলে তার সুযোগ ছিল গ্রাহকদের কাছে। গ্রাহকরা চাইলেই সঞ্চিত অর্থ সম্পূর্ণ তুলে নিতে পারতেন। কিন্তু যদি কেউ Employee Pension Scheme তে নাম নথিভুক্ত করার ৬ মাসের মধ্যে বিনিয়োগ করা বন্ধ করে দিতে চান, তাহলে ইপিএস (EPS) থেকে কোন রকম সুযোগ সুবিধা পেতেন না গ্রাহকরা।
বেসরকারি কর্মীদের পেনশন স্কিম ২০২৪
যেই টুকু অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে সেই টুকুও তোলার কোন সুযোগই ছিল না। ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন গ্রাহকরা। তাই এই নিয়মটি বদল করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে সরকার। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই Employee Pension Scheme নিয়মে কিছু পরিবর্তন করা আবশ্যিক ছিল। নিয়মের এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে উপকৃত হতে পারে লক্ষাধিক মানুষ।
সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রতি বছর প্রায় ৭ লক্ষ গ্রাহকদের বিনিয়োগ করার ৬ মাসের মধ্যে স্কিমটি থেকে বেরিয়ে আসার প্রবণতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে যদি Employee Pension Scheme টি প্রত্যাহার করার পরও টাকা তুলে নেবার অনুমতি না দেওয়া হয়, তাহলে প্রতি বছর প্রায় ৭ লক্ষ গ্রাহক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ৬ মাসের মধ্যে স্কিমটি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও সঞ্চিত অর্থ তুলে নিতে পারবেন গ্রাহকরা।
এতে উপকৃত হবে বছরে প্রায় ৭ লক্ষ গ্রাহক। পেনশন স্কিমে আরো বেশ কিছু নিয়ম পরিবর্তন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে ইপিএস স্কিমের মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকার পরিমান নির্ধারণ করা হবে ২ টি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। একজন গ্রাহক Employee Pension Scheme কতদিনের জন্য বিনিয়োগ করছেন এবং তার অফিস থেকে কত টাকা Provident Fund এর জন্য কাটা হয়েছে, এই ২ টি বিষয়ের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হবে তার প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ।
এর ফলে ইপিএস স্কিম থেকে টাকা তোলা আরো অনেক সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাদের দাবি নতুন নিয়ম অনুযায়ী কাজ শুরু হলে ২৩ লক্ষ ইপিএস গ্রাহক উপকৃত হবেন। টাকা তোলা নিয়ে কোন রকম জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে না তাদেরকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৩ থেকে ২০২৪ অর্থবর্ষে প্রায় ৭ লক্ষ ইপিএস গ্রাহক টাকা তুলে নেবার জন্য আবেদন করেছিলেন।
বিনা পরিশ্রমে 19000 টাকা প্রতিমাসে! স্টেট ব্যাঙ্কের নতুন স্কিম
কিন্তু প্রত্যেকটি আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। কারণ, এরা কেউই ৬ মাসের বেশি বিনিয়োগ করেননি। ৬ মাসের কম বিনিয়োগে টাকা তোলার অনুমতি ছিল না এত দিন। কিন্তু এখন সে নিয়মে পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে আপাতত ১৪ ই জুনের মধ্যে ৫৮ বছর বয়সী প্রত্যেক Employee Pension Scheme সদস্যকে টাকা তুলে নেবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
Written by Sampriti Bose.