এবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (Primary TET Scam) নিয়ে বড়ো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলো কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) প্রাথমিকে নিয়োগের মামলায় ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রের তথ্য উদ্ধার করতে অন্য সংস্থার হাতে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকার ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকেই সমস্ত খরচ বহন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের এমন নির্দেশে ফের বিপাকে পড়তে চলেছে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal).
WBBPE Primary TET Scam News in Calcutta High Court.
বিগত দুই বছর ধরে দুর্নীতিতে (Primary TET Scam) জেরবার হয়ে উঠেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, পুর নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার থেকে বালি পাচার, সবেতেই নাম জড়িয়েছে শাসক দলের হেভিওয়েট নেতাদের। শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির জেরে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী, নেতা সহ শিক্ষা দপ্তরের বহু আধিকারিক।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা
বঙ্গে একাধিক দুর্নীতির এই আবহেই শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (Primary TET Scam) নতুন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে, এই মামলা শুনানির জন্য উঠলে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, সিবিআই সার্ভারের মূল তথ্য উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এবার অন্য সংস্থা নিয়োগ করা হোক। এই নির্দেশ নির্দেশ দিয়ে এই দিন বিচারপতি বলেন।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ
প্রয়োজন হলে দেশের তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির কোনো সংস্থা, উইপ্রো কিংবা টিসিএস এর মতো সংস্থারও সাহায্য নিতে পারে সিবিআই। শুধু তাই নয়, সিবিআই কে বিচারপতির নির্দেশ, বিশেষ প্রয়োজনে সার্ভারের মূল তথ্য উদ্ধার করতে বিশ্বের যে কোনও সংস্থাকে নিয়োগ করা হোক। এই Primary TET Scam মামলার আগের শুনানিতে প্রাথমিকের নিয়োগে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইকে আসল সার্ভার বা হার্ড ডিস্কের তথ্য জমা করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
Primary TET Scam Case Update by CBI
উত্তরপত্র স্ক্যান করার পর কোথায়, কোন হার্ড ডিস্কে রাখা হয়েছিল সেই নিয়ে বিস্তারিত জবাব তলব করেন জাস্টিস মান্থা। এই দিন সিবিআই আদালতে জানায়, তারা ওই তথ্য জমা দিতে পারছে না। এরপরই ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রের তথ্য উদ্ধার করতে অন্য সংস্থার হাতে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি আরও বলেন এই মামলায় ওএমআর শিটের (OMR Sheet) তথ্য খুঁজে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি
তা উদ্ধার করতে যে খরচ হবে, তা বহন করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Secondary Education) এবং রাজ্য সরকার। ২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষায় অরিজিনাল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। আগেই কলকাতা হাইকোর্টে এই কথা জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary TET Scam). তবে ডিজিটাইজড কপি রয়েছে বলে আদালতে দাবি করে পর্ষদ। বলা হয়েছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি কোম্পানি উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেছিল।
‘ট্রেনে টিকিট না কাটলে কপালে শনি নাচছে’! পূর্ব রেলের তরফে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ
তারাই ওএমআর শিটের স্ক্যান কপি রেখেছিল। প্রথমে এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly). পরে বিচারপতি মান্থা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন (Primary TET Scam). তবে আদালতে সিবিআই রিপোর্ট জমা করলেও তাতে সন্তুষ্ট হয়নি হাইকোর্ট। এমতাবস্থায়, কলকাতা হাইকোর্টে নয়া নির্দেশ কতটা কার্যকরী হয় সেটিই দেখার বিষয়।
Written by Sampriti Bose.