কিছু দিন আগে থেকেই রেশন দুর্নীতি (Ration Card Fraud) নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল সরকারের বিরুদ্ধে। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীও। দীর্ঘকালীন সময় ধরে এই বিষয়ে চলছে তদন্ত। তদন্ত ভার সামলাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED). তদন্তের স্বার্থে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal). বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে ইডিকে। সেখান থেকেই পাওয়া গেছে ভুয়ো রেশন কার্ডের (Fake Digital Ration Card) খবর।
10%-15% Ration Card Cancel on Every Ration Shop in West Bengal.
ইতিমধ্যেই প্রায় প্রতিটা রেশন দোকান থেকে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ করে ভুয়ো Ration Card বাতিল করা শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার এবং সেই তথ্যই সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। ইডির মতে, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় রয়েছে রেশন দুর্নীতির ঘটনা। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, কোনো ব্যক্তি যদি মারা যান অথবা জেলা ছেড়ে বাইরে কোথাও চলে যান, তাহলে সেই ব্যক্তির রেশন কার্ড হস্তগত করছিল স্থানীয় দুর্নীতি চক্র।
পশ্চিমবঙ্গে রেশন কার্ড বাতিল!
অনেক জায়গাতেই ভুয়ো ১ জন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে তার নাম, ঠিকানা, ছবি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে রেশন কার্ড। তদন্ত করতে গিয়ে সেই সমস্ত ভুয়ো রেশন কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে সরকার। রেশন বন্টন নিয়ে দুর্নীতি চক্র চালানোর যে অভিযোগ রাজ্য সরকারের উপর উঠেছিল তার উপর ভিত্তি করেই চলছে তদন্তের কাজ। যত গুলি ভুল Ration Card বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়েছে প্রত্যেকটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
বাতিল রেশন কার্ডের তালিকা!
এয়তাবস্থায় অনেকেই মনে করছেন, বাতিল করা Ration Card গুলির তালিকায় তার নাম রয়েছে। মূলত মিল থেকে রেশন বের করার সময় প্রয়োজন হয় রেশন কার্ডের। এলাকা ভিত্তিক যত গুলি রেশন কার্ড রয়েছে তার উপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট পরিমাণ রেশন পাঠানো হয় মিল থেকে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে মিল থেকে অতিরিক্ত রেশন বের করে নিয়ে আবারো প্যাকেট করে ফিরে যাচ্ছে মিল গুলিতে।
রেশন কার্ড নিয়ে কড়া পদক্ষেপ
যেই টুকু রেশন সাধারণের মধ্যে বন্টন করা হচ্ছে সেই টুকুতেও পুরনো আটা ময়দা মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। মূলত ভুয়ো রেশন কার্ড যারা তৈরি করে তারাই এই ধরনের রেশন দুর্নীতির সাথে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকে। গ্রাহকের নামের ভুয়ো Ration Card-টি ব্যবহার করে হয়তো রেশন তুলে নিচ্ছে কোনো দুর্নীতি গ্রস্থ মানুষ। গ্রাহক বা সরকার এই বিষয়ে কিছুই জানতে পারছেন না।
ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল!
এই সমস্ত কিছু আটকাতেই ভুয়ো রেশন কার্ড গুলি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ধান ও গম কল থেকে অতিরিক্ত রেশন বের করে নেওয়া বন্ধ করার জন্য এর থেকে ভালো কোনো পদক্ষেপ আর হতেই পারে না এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। যদিও এই রেশন দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু হবার আগে থেকেই ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল (West Bengal Digital Ration Card) করে দেওয়ার প্রক্রিয়া আরম্ভ করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার।
সেই জন্যই ইডি সরকারের কাছে এই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য জানতে চায়। ২০১২ সালের পর থেকে কত গুলি ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি করা হয়েছে এবং কত গুলি তার মধ্যে বাতিল করা সম্ভব হয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এখনো পর্যন্ত ভুয়ো Ration Card হিসেবে শনাক্ত হবার পর বাতিল হওয়ার রেশন কার্ডের সংখ্যা কিন্তু একেবারে কম নয়।
50000 টাকার ঋণ দিচ্ছে সরকার বিনা গ্যারান্টিতে! আবেদন করুন সহজ পদ্ধতিতে
ইডিকে পাঠানো তথ্য থেকে জানা গেছে, প্রায় প্রত্যেকটা রেশন দোকান থেকেই ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ভুয়ো রেশন কার্ড (Ration Card) উদ্ধার করা এবং বাতিল করা সম্ভব হয়েছে। তবে ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল করে আসলে রেশন গ্রাহকদের উপকারই করতে চাওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সম্পর্কে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।
Written by Sampriti Bose.