বর্তমানে দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষই চান তাদের রোজগার করা অর্থকে সঞ্চয় করতে (Insurance Policy). আর এই সঞ্চয়ের জন্য তারা কোনো কিছুতে বিনিয়োগ করাকেই বেশির ভাগ সময় প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এখন আর্থিক বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে অন্যতম একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে বীমা পলিসি গুলি (Life Insurance). বিশেষ করে করোনা মহামারীর সময় থেকে সাধারণ মানুষরা বীমা পলিসির (Life Insurance) মাধ্যমে বিশেষ ভাবে উপকৃত হয়েছেন।
Choose Insurance Policy As Per Your Age.
যে সমস্ত সংস্থা গুলি বিভিন্ন বীমা পলিসি (Insurance Policy) পরিচালনা করেন তাদের মাধ্যমে নানা ধরনের বীমা পরিকল্পনা কিনতে পারেন গ্রাহকরা। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় একটি বীমা পলিসি ক্রয় করার পর গ্রাহকদের মধ্যে নানা ধরনের উদাসীনতা কাজ করে। তাই সময়ের সাপেক্ষে বা বয়সের ভিত্তিতে বীমা পলিসি যে পরিবর্তন করা উচিত, সে কথা অনেকেই ভুলে যান।
কোন বয়সে জীবন বীমা করা উচিত?
তবে আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বীমা পলিসির (Insurance Policy) ক্ষেত্রেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা উচিত। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে যেহেতু মানুষের চাহিদা গুলিও ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে থাকে, তাই সেই অনুযায়ী সঠিক বীমা পরিকল্পনা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোন বয়সের মানুষের জন্য কোন্ বীমা পলিসি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সেই বিষয়টি আগে জেনে নেওয়া উচিত।
তরুণ প্রজন্মের জন্য বীমা পরিকল্পনা
সাধারণত তরুন বয়সে অর্থাৎ ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে একজন ব্যক্তি নিজে উপার্জন করা শুরু করেন। বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে, পেশাগত জীবন শুরু করার সাথে সাথে একটি বীমা (Insurance Policy 2024) পরিকল্পনাও এই সময় গ্রহণ করা উচিত। নিজের ক্যারিয়ারে উন্নতি করার পাশাপাশি এই সময় পরিবারের দায়িত্বও নিতে হয় তরুণ প্রজন্মকে।
সুতরাং এই সময় প্রথমেই একটি স্বাস্থ্য বীমা (Health Insurance) গ্রহণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এছাড়াও বর্তমানে অনেক মানুষ চাকরি ক্ষেত্রে যোগদান করার পরেই টু হুইলার (Two Wheeler Insurance) বা চার চাকা গাড়ি (Four Wheeler Insurance) ব্যবহার করা শুরু করেন। তাই এই সময় ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বীমাও (Accidental Insurance Policy) নিয়ে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২৫-৪০ বছর বয়সীদের বীমা পরিকল্পনা
সাধারণত এই বয়সে একজন ব্যক্তির জীবনে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। সাংসারিক দায়িত্ব বৃদ্ধি পায়। বিবাহ ও সন্তানদের দায়িত্ব এই সময় প্রধান হয়ে ওঠে। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই বয়সটিতে বীমার (Insurance Policy) প্রয়োজনীয়তা সব থেকে বেশি হয়। এই সময় ব্যক্তির উচিত পরিবারের সমস্ত মানুষকে স্বাস্থ্য বীমার অন্তর্ভুক্ত করা।
একটি দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনা গ্রহণ করলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকা যায়। এছাড়াও এই বয়সে কোনো ব্যক্তি যদি বাড়ি কিনে থাকেন বা লোন নিয়ে বাড়ি তৈরি করে থাকেন, সেক্ষেত্রে হোম লোন কভার (Home Loan) করার জন্য একটি বীমা পরিকল্পনা (Insurance Plan) গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী।
৪৫-৫৫ বছর বয়সীদের বীমা পরিকল্পনা
সাংসারিক জীবনে প্রবেশ করার পর ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে খরচের পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। হোম লোন, গাড়ি লোন ইত্যাদি আরো বিভিন্ন প্রয়োজনীয় লোন এর বোঝা এই সময় চেপে বসে। মূলত ৪৫ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে এই লোন গুলি পরিশোধ করতে হয়। তাই এই সময় আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি ঘটনা (Insurance Policy). এছাড়াও এই সময় সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা বিষয়ে চিন্তা করতে হয়।
ফলে এই সময় একটি বৃহৎ আয়ের পরিকল্পনা হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি বীমা পরিকল্পনা গুলি গ্রহণ করা উচিত। এই পরিস্থিতিতে টার্ম ইন্সুরেন্সগুলি চালিয়ে যাওয়া অত্যন্ত উপকারী। এখানে এই সময় কোনো পেনশন প্ল্যানের পরিকল্পনা করে রাখলেও ভবিষ্যতে আর্থিক সুরক্ষা পাওয়া যায়। পাশাপাশি এই বয়সটিতে মেডিকেল ইন্সুরেন্স (Medical Insurance Policy) করে রাখা বাঞ্ছনীয়।
SBI সেভিংস অ্যাকাউন্টের এই সুবিধা পান? 3 টি না জানা সুবিধা জানুন
এইভাবে ওপরে উল্লেখিত নির্দিষ্ট বয়স অনুসারে, বয়সের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বীমা পরিকল্পনা গুলি গ্রহণ করলে নিজের সারা জীবনের আর্থিক সুরক্ষা বজায় থাকে। যে কোনো জরুরীকালীন পরিস্থিতিতেও এই বীমা পরিকল্পনা গুলি আর্থিক নিরাপত্তা দেয়। ফলে ইন্সুরেন্স পলিসি (Insurance Policy) নিয়ে আর বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিক সময় সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত গ্রাহকদের।
Written by Sampriti Bose.