রাজ্যের মহিলাদের জন্য এসে গেল অত্যন্ত সুখবর। ফের একবার লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) নিয়ে বড়ো ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee). পাশাপাশি, বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার বিষয়েও বড় আপডেট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক জনহিতকর প্রকল্প (Government of West Bengal) চালু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Latest News Update for West Bengal Lakshmir Bhandar Scheme.
তবে তার মধ্যে বেশিরভাগ প্রকল্পই রাজ্যের মহিলাদের জন্য। এই সকল প্রকল্প গুলির (Government Scheme) দ্বারা প্রচুর পরিমাণে সহায়তা পেয়ে থাকেন রাজ্যের অসংখ্য মহিলারা। এরপর ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়ে রাজ্যে টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরই তিনি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে কাজটি করেন তা হল বাংলার মা বোনেদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প (Lakshmir Bhandar) চালু করা।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প
বস্তুত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) প্রতিশ্রুতির উপর ভর করেই তৃতীয়বার বিপুল সাফল্য নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মসনদে ফিরেছেন, এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। বর্তমানে রাজ্যের ২ কোটিরও বেশি মহিলা প্রতি মাসে এই প্রকল্পে সরকারের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান পাচ্ছেন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবার টাকা বাড়বে?
তবে সম্প্রতি সেই টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের ১২০০ টাকা করে দেবার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, ২১ শে জুলাই এর মঞ্চ থেকে এক দারুণ আপডেট দেওয়া হলো মা বোনদের সবচেয়ে প্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) নিয়ে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য
তৃণমূলের শহিদ সমাবেশকে ঘিরে রবিবার সকাল থেকেই লোকে লোকারণ্য ছিল ধর্মতলা চত্বর। আর সেই শত শত লোকের ভিড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক দারুণ ঘোষণা করেন। এই দিন মঞ্চে তিনি জানান, লক্ষ্মীর ভান্ডার যেমন চলছে, তেমনই চলবে। এই মুহুর্তে বেশ কয়েকটি লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদন পরে (Lakshmir Bhandar New Apply) আছে। তবে চিন্তা নেই। পুজোর পরে তারা পেয়ে যাবেন। ডিসেম্বর থেকেই সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য আবেদন নিয়ে কাজ শুরু করবে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী ও রুপশ্রী প্রকল্পের জন্য সরকার ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে। পাশাপাশি কিছু বিধবা ভাতাও পড়ে আছে। পুজোর আগেই সেই গুলোর রিভিউও করে নেওয়া হবে। এছাড়াও তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত Lakshmir Bhandar ২ কোটিরও বেশি মহিলাকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রাজ্য সরকার ৪৩ লক্ষ বাড়ি, এই ১২ বছরে করে দিয়েছে।
800 টাকা করে পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়ারা! এই স্কলারশিপে আবেদন করুন
কিন্তু ১১ লক্ষ লোকের বাড়ি এখনও তালিকা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পড়ে আছে। তাঁরা করে দেয়নি। কিন্তু রাজ্য সরকার করবে। ওই ১১ লক্ষ মানুষের বাড়ি তৈরি জন্য মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। সবমিলিয়ে, মুখ্যমন্ত্রীর এরূপ ঘোষনায় অত্যন্ত খুশি হয়েছেন রাজ্যের অসংখ্য সাধারণ মানুষ। এবারে দেখার অপেক্ষা যে আগামীদিনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা নিয়ে আর কি সুখবর ঘোষণা করা হয়।
Written by Sampriti Bose.