ফের একবার বিপাকে পড়তে চলেছেন রাজ্যের অসংখ্য শিক্ষকরা (Teachers). ২৬ হাজারের পর এবার আরো বেশ কিছু শিক্ষকের চাকরি যেতে চলেছে। সম্প্রতি এমনই কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE). রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam Case) মামলায় একের পর এক তথ্য সামনে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার বিষয়ে সরব টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা।
West Bengal Teachers Now in Trouble.
এরপর, ২০২২ সালে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই আদালতে চলছে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে একাধিক মামলা। শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এখনও আন্দোলন চলছে। নিয়োগ দুর্নীতির জেরে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court). এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদও শিক্ষকদের (Primary Teachers) চাকরি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিল।
শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে টানাটানি!
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এক মারাত্মক অভিযোগ উঠে আসছে। স্কুল টিচার হয়েও বাড়িতে পড়ুয়াদের টিউশন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের। এবার সেই মর্মেই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হল পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে। সরকারের থেকে বেতন নেওয়ার পরেও বাড়িতে বসে টিউশন করিয়ে মোটা আয় করেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা (Teachers). এবার থেকে তা আর চলবে না।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের হুঁশিয়ারি
সরকারি নির্দেশ অমান্য করা টিউশন পড়ালে এবার আর চাকরি থাকবে না শিক্ষকদের। এমনটাই জানিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের জেলা অফিস। গত ১৮ জুলাই সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের তরফে একটি নোটিশ জারি করা হয়। সেখানে স্পষ্ট লেখা হয় যে, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে টিউশন করালে শিক্ষকদের (Teachers) চাকরি থাকবে না।
প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য নির্দেশিকা
১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যালয় পরিদর্শকদের তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশিকায় খুশি জাহির করেছে রাজ্যের গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে যে, সরকারের এই নির্দেশ পালন হলে বহু প্রাথমিক শিক্ষকেরই (Teachers) চাকরি যাবে। তবে, তাঁরা এও চান যে শুধু প্রাথমিকই নয়, মাধ্যমিক শিক্ষকদের জন্যও এই নিয়ম জারি হওয়া উচিৎ।
ফ্রিতে 300 ইউনিট বিদ্যুৎ দেওয়া হবে! মধ্যবিত্তের জন্য বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা
আসলে রাজ্যে এরম প্রচুর সংখ্যক ছেলে মেয়ে রয়েছে যারা শিক্ষিত হওয়ার জন্য গৃহ শিক্ষকতা করে রোজগার করছেন কিন্তু স্কুল শিক্ষকদের কাছে যদি ছেলে মেয়েরা প্রচুর পরিমাণে পড়তে শুরু করেন তাহলে তাদের কাছে স্টুডেন্ট সংখ্যা কমে যাবে এবং সবথেকে বড় কথা, স্কুল শিক্ষকরা (Teachers) সরকারের কাছ থেকে বেতন পেয়ে থাকে তাই গৃহ শিক্ষকতা করে যাদের সংসার চলছে।
Written by Sampriti Bose.