বর্তমানে দেশের প্রায় প্রতিটি রোজগেরে মানুষই তাদের রোজগার করা অর্থের কিছু টাকা সঞ্চয় (Mutual Fund) করে থাকেন। আবার কিছু কিছু ব্যক্তি ভবিষ্যতের সুরক্ষার্থে কোথায় বিনিয়োগ করলে ভালো টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে সেই নিয়ে দ্বন্দ্বে থাকেন। তবে, বর্তমানে অনেকেই নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Bank Account) খালি করে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করছে। যদিও মিউচুয়াল ফান্ডে ঝুঁকির ভয় থাকে, তবুও মানুষ এখন বেশি রিটার্ন পাওয়ার আশায় এখানে বিনিয়োগ করছে।
Mutual Fund SIP Investment Calculator.
কারণ, এখানে প্রতিমাসে অল্প পরিমাণ বিনিয়োগ করেও একটি বিরাট তহবিল তৈরি করতে পারেন গ্রাহকেরা। তবে, সবথেকে বড়ো সুখবর হলো, মিউচুয়াল ফান্ডে প্রতিমাসে ৫০০০ টাকার SIP করলে কোটিপতি হতে পারেন গ্রাহকেরা। তবে, তার জন্য যথেষ্ট সময় লাগবে। মূলত শেয়ার বাজারের (Share Market) সঙ্গে যুক্ত মিউচুয়াল ফান্ড কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ রিটার্ন দেয় না, এটি বাজার উঠানামার উপর নির্ভর করে।
মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করবেন?
তবে, বিনিয়োগকারী যদি একটি ভালো মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে দীর্ঘ মেয়াদে ১২ শতাংশ রিটার্নের আশা করতে পারেন। অতীতের রিটার্ন অনুযায়ী, অনেকেই এটি অনুমান করে। কিন্তু, এমনও কিছু মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে যে গুলি বার্ষিক ১৫ শতাংশ বা তারও বেশি রিটার্ন দিয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ডে বেশি রিটার্ন পাওয়ার জন্য ঝুঁকিও বেশি নিতে হবে গ্রাহকদের।
মিউচুয়াল ফান্ড সহি হ্যায়
বিনিয়োগকারী যদি কোনো Mutual Fund ১২ শতাংশ রিটার্ন পান, তাহলে মাসে ৫০০০ টাকার SIP করলে কোটিপতি হতে ২৬ বছর সময় লেগে যাবে। ২৬ বছরে গ্রাহকের জমা করা টাকার পরিমাণ হবে ১৫৬০০০০ টাকা এবং বার্ষিক ১২ শতাংশ রিটার্ন অনুযায়ী সুদ হবে ৯১৯৫৫৬০ টাকা অর্থাৎ ২৬ বছর পর মোট ১০৭৫৫৫৬০ টাকার মালিক হবেন গ্রাহকেরা।
মিউচুয়াল ফান্ড কিভাবে কাজ করে?
তবে, গ্রাহক যদি ১৫ শতাংশ রিটার্ন পান, তাহলে আরও কম সময়ে কোটিপতি হতে পারবেন। এক্ষেত্রে গ্রাহক যদি প্রতিমাসে ৫০০০ টাকার SIP করেন তাহলে ২২ বছরেই কোটিপতি হতে পারবেন। ২২ বছরের তার জমা করা অর্থের পরিমাণ হবে ১৩২০০০০ টাকা এবং বার্ষিক ১৫ শতাংশ রিটার্ন অনুযায়ী সুদ হবে ৯০৩৩২৯৫ টাকা অর্থাৎ গ্রাহক ২২ বছরেই ১০৩৫৩,৯৫ টাকার মালিক হবেন।
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের সুবিধা
এইভাবে তিনি Mutual Fund প্রতিমাসে অল্প পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেও কোটিপতি হতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে ঝুঁকির বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে বিনিয়োগকারীকে, নাহলে তিনি কোটিপতি হওয়ার জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হতেও পারেন। তাই বিনিয়োগ করার আগে ভালোভাবে গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করে নেওয়া উচিত বিনিয়োগকারীর।Written by Sampriti Bose.