এবার রাজ্যের অবিবাহিত মেয়েদের জন্য এসে গেল বড় সুখবর (Rupashree Prakalpa). রাজ্যের অবিবাহিত মেয়েদের ২৫০০০ টাকা করে দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মূলত রূপশ্রী প্রকল্পের অধীনে এই বিশেষ সুবিধাটি পাওয়া যেতে চলেছে (Govt Scheme for Woman). রাজ্যের অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি এক দারুণ সুখবর বলা যায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে একের পর এক জনহিতকর প্রকল্প চালু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee).
Rupashree Prakalpa 2024
এই প্রকল্প গুলির মধ্যে রাজ্যের মহিলাদের জন্য চালু করা লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প গুলি বিশেষ জনপ্রিয়। তবে, এই প্রকল্প গুলি ছাড়াও ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল বিবাহ যোগ্য মেয়েদের আর্থিকভাবে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা অন্যতম আরেকটি জনপ্রিয় প্রকল্প হলো রূপশ্রী প্রকল্প (Rupashree Prakalpa). মেয়েদের পড়াশোনার পাশাপাশি বিয়ের খেয়ালও রাখা হল (Government of West Bengal).
Rupashree Prakalpa Benefits
পশ্চিমবঙ্গে অনেকে মেয়ের পরিবারই রয়েছেন, যারা হয়তো আর্থিক দুরবস্থার কারণে তাদের মেয়েদের বিবাহ সুসম্পন্ন করতে পারছেন না। মূলত সেই সমস্ত পরিবারকেই সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথমবার বিয়ের জন্য এককালীন ২৫০০০ টাকা অনুদান দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। এই সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জেনে নেওয়া উচিত।
রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদনের শর্ত
- আবেদনকারীর পারিবারিক আয় বছরে দেড় লক্ষ টাকার কম হতে হবে,
- এই Rupashree Prakalpa আবেদনের জন্য মেয়ের বয়স অবশ্যই ১৮ বছর হতে হবে।
- অবিবাহিতা মেয়ে প্রথম বিয়ের জন্যই কেবল মাত্র এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।
- আবেদনকারীকে জন্ম সূত্রে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে অথবা গত ৫ বছর বাংলায় বসবাস করতে হবে, অথবা তার বাবা মাকে এই রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- আবেদনকারীর নিজের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য।
রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদনের নথিপত্র
1) পারিবারিক আয়ের প্রমাণপত্র।
2) আবেদনকারীর বয়সের প্রমাণপত্র অর্থাৎ জন্মের শংসাপত্র বা ভোটার কার্ড বা প্যান কার্ড বা মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড বা আধার কার্ড বা সমতুল নথি, পাত্রের বয়সের প্রমাণপত্র।
3) আবেদনকারীর বৈবাহিক অবস্থার প্রমাণ হিসেবে স্বঘোষণা পত্র।
4) আবেদনকারীর রঙিন পাশপোর্ট সাইজ ফটো, পাত্রের রঙিন পাশপোর্ট সাইজ ফটো।
5) প্রস্তাবিত বিয়ের প্রমাণ পত্র।
6) ব্যাঙ্কের পাশ বইয়ের কপি অর্থাৎ IFSC Code, MICR Code ইত্যাদি প্রয়োজনীয় নথি।
লোকাল ট্রেনের সময় নিয়ে বড় খবর! গ্রাহকদের চিন্তা বাড়ল
উক্ত সকল শর্ত উপযুক্ত হলে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ পৌঁছে জেতে হবে স্থানীয় বিডিও বা এসডিও অথবা পুর কমিশনারের অফিসে। সেখানেই আবেদনপত্র জমা করতে হবে। বিয়ের ১ বা ২ মাস আগে এই আবেদন করা যাবে। টাকা মিলবে বিয়ের তারিখের কমপক্ষে চার বা পাঁচ দিন আগে। তাই বিয়ের মরশুমে যে সকল মানুষদের প্রয়োজন রয়েছে তাদের সমস্ত শর্তাবলী মেনে Rupashree Prakalpa-র জন্য আবেদন করা উচিত।
Written by Sampriti Bose