আপনি কী কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত? তাহলে এই খবরটি আপনার অনেক কাজে লাগবে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কৃষক সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য বহু নতুন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককেই ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের মাধ্যমে বছরে ৪,০০০–১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য করা হয়। এরই পাশাপাশি রয়েছে আরও একটি নতুন স্কিম, যার মাধ্যমে কৃষকদের বীমার টাকা দেওয়া হয়। যদি কৃষিকাজ করার সময় কোনোরকমভাবে ফসলের ক্ষতি হয়, তাহলে এবার থেকে আর চিন্তা করতে হবে না। নতুন এই বীমা প্রকল্পে আগে থেকে আবেদন করে রাখলে যদি আপনার ফসলের কোনোরকম ক্ষতি হয় তাহলে এই বীমা প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন (Bangla Shasya Bima)। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, এই প্রকল্পের খুঁটিনাটি সম্পর্কে।
• কী এই নতুন প্রকল্প?
প্রকল্পটির নাম হলো বাংলার শস্যবীমা (Bangla Shasya Bima); যদি কোনোরকম কারণে আপনার কৃষিজ ফসলের ক্ষতি হয়, তাহলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ হিসেবে বীমার টাকা পেয়ে যাবেন। কৃষকসমাজের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে এই জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এগ্রিকালচার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (AICIL) এর তরফ থেকে এই বীমা দেওয়া হয়। যেকোনো রকম ক্ষতির সম্মুখীন হলেই ৪৫ দিনের মধ্যে AICIL এর তরফ থেকে আপনাকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়া হবে।
• কারা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন?
রাজ্যের গ্রামে বা মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় থাকা যেকোনো চাষযোগ্য জমিতে ফসল উৎপাদন করতে চাইলে বাংলার শস্যবীমা যোজনায় আবেদন করতে পারবেন। নিজের নামে জমি থাকলে / অন্যের জমি চাষ করলে / ভাগচাষী প্রত্যেকেই আবেদন করতে পারবেন।
• কোন কোন ফসলের ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারবেন?
রাজ্যের কৃষকরা বর্তমানে ধান (Paddy) ও ভুট্টা (Maize) চাষে ক্ষতির সম্মুখীন হলে এই বীমা প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন। ধানের মধ্যে আউস ও আমন উভয়প্রকার ধানের জন্যই ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন।
• কোথায় আবেদন করতে হবে?
ধানের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে আর ভুট্টার জন্য ব্লকে গিয়ে এই প্রকল্পে আবেদন করতে হবে। দু’টো ফসলের জন্য ইন্স্যুরেন্স ইউনিট আলাদা রাখা হয়েছে।
• কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে?
(১) যদি চারার বীজবপন করতে গিয়ে ব্যর্থ হন কিংবা বীজ থেকে আশানুরূপ গাছ না জন্মালে আপনি বাংলার শস্যবীমা প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন। তবে শুধুমাত্র ধানচাষের ক্ষেত্রে এরকম পরিস্থিতির শিকার হলে ক্ষতিপূরণ পাবেন।
(২) চাষাবাদের মধ্যেকার কোনো সময়ে কোনোরকম বড়ো দুর্যোগ বা অন্যান্য কারণে ফসলের ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ পাবেন। ধানচাষের জন্য এরকম ক্ষেত্রে শস্যবীমা প্রকল্পে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
(৩) ফসল কাটার সময় ক্ষতির মুখোমুখি হলে ধান ও ভুট্টা উভয় ফসলের জন্যই বাংলার শস্যবীমা প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
আবেদন করুন টাটা ক্যাপিটাল পাঙ্খ স্কলারশিপে এবং পেয়ে যান বাৎসরিক ৫০,০০০ টাকা
• আবেদন করতে কী কী লাগবে?
(১) আধার কার্ডের কপি
(২) ভোটার কার্ডের কপি
(৩) আবেদনকারীর ব্যাংকের পাসবুকের প্রথম পাতার জেরক্স
(৪) যাদের নিজস্ব জমি রয়েছে তাদের জন্য জমির খতিয়ান / পাট্টা / দলিল / পরচা যেকোনো একটি নথি
(৫) যাদের নিজেদের জমি নেই, অন্যের জমিতে চাষ করেন এরকম কৃষকরা গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে ANNENEXURE VII ফরম্যাটের আকারে ল্যান্ড প্রসেশন সার্টিফিকেট নিতে হবে।
• আবেদন কীভাবে করবেন?
খারিফ মরসুম ২০২২ এর জন্য আবেদনপত্র নিয়ে তা ভালোকরে ফিল আপ করে তার সাথে উপরোক্ত নথিগুলো অ্যাটাচ করে সংশ্লিষ্ট সরকারি কার্যালয়ে জমা দিবেন।
• গুরুত্বপূর্ণ তারিখসমূহ :-
(১) শস্যবীমা প্রকল্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করার তারিখ – ধানের ক্ষেত্রে ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ এবং ভুট্টার ক্ষেত্রে ৩১ শে জুলাই, ২০২২
(২) যদি বীজবপনের সময়ই ব্যর্থ হন তাহলে ধানের ক্ষেত্রে ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ এর মধ্যে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে হবে। ভুট্টার ক্ষেত্রে কোনো শেষ তারিখ নেই।
(৩) যদি চাষাবাদ করার সময় মধ্যবর্তী সময়ে (Mid Session) ক্ষতির শিকার হন তাহলে ধানের জন্য ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ এর মধ্যে আবেদন করতে হবে।
সরকারি প্রকল্প সম্পর্কিত এইরকম আরও নানান গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং নীচের ডানদিকের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।