বেকার যুবক যুবতীদের জন্য এসে গেল অত্যন্ত সুখবর। এবার থেকে বাড়িতে বসেই নিজস্ব Bank CSP বা গ্রাহক সেবা কেন্দ্র খুলে মাসে ২৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন সকলে। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই হতে চলেছে বাস্তব (Grahak Seva Kendra). তবে, এই ব্যাংক মিত্র (CSC Bank Mitra) খুলতে গেলে অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে বিশেষ কিছু পদ্ধতি। বর্তমানে দেশে চাকরির অবস্থা বিশেষ কিছু ভালো নয়। এমতাবস্থায় দেশে অনেকই বেকার যুবক যুবতী রয়েছেন (Bank Mitra CSP).
SBI PNB Indusind Bank CSP Online Business Idea.
এই বেকার যুবক যুবতীদের মধ্যে অনেকেই চান ভালো একটি সরকারি বা বেসরকারি চাকরি করতে। সেই কারণে বেশ কিছু সময় ধরে সরকারি চাকরি পরীক্ষাও দিয়ে চলেছেন তারা কিন্তু এদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কোনো বারেই সফলভাবে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারছেন না। আবার, অনেকেই বিভিন্ন বড় বড় বেসরকারি কোম্পানিতে নিজেদের বায়োডাটা জমা করার পরেও চাকরি পাচ্ছেন না (Bank CSP Open Online).
কিভাবে একটি গ্রাহক সেবা কেন্দ্র খুলবেন?
তবে, এই বেকার যুবক যুবতীদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ব্যবসা (Bank CSP Business) করতে চান। আবার অনেকে আছে যারা চাকরির পাশাপাশিও নিজেদের রোজগার বাড়াতে ব্যবসা করতে চান। কিন্তু এরা কেউই কি নিয়ে ব্যবসা করলে ভালো ইনকাম সম্ভব সেটা বুঝতে পারছেন না। এমতাবস্থায় এই সকল মানুষের জন্য এসে গেছে বড়ো সুযোগ। এখন থেকে বাড়িতে বসেই ব্যাংকের শাখা বা সিএসপি খুলে প্রচুর টাকা ইনকাম (Bank CSP Income Idea) করতে পারবেন সকলে।
Bank CSP CSC Digital Seva Kendra
এই Bank CSP এর সম্পূর্ণ নাম হলো ‘Customer Service Point’ যার অর্থ ‘Grahak Seva Kendra’. এই Bank CSP কে মিনি ব্যাংকও বলা হয়ে থাকে। এখানে কোনো অথরাইজ ব্যাংকের বিভিন্ন কাজ যেমন টাকা জমা, টাকা তোলা, ব্যাংক একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করা, পাস বুক আপডেট পাস বুক, পাস বুক প্রিন্ট, চেক জমা ইত্যাদির মতোই কাজ হয়ে থাকে।
গ্রাহক সেবা কেন্দ্র ফ্রাঞ্চাইজির সুযোগ
প্রায় সকলেই তাদের বাড়ির কাছাকাছি কোনো না কোনো জায়গায় অবশ্যই কোনো Bank CSP দেখেছেন। মূলত সেই সিএসপি গুলি এসবিআই, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক এর বেশি হয়ে থাকে। এই ব্যাংক গুলি ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন SBI Bank CSP হয় এবং সেখানে টাকা লেন দেন সহ ব্যাংকের মতোই যাবতীয় কাজ কর্ম হয়ে থাকে। এক কথায় ব্যাংকের বিভিন্ন ব্রাঞ্চে যে সমস্ত কাজ গুলি করা হয় সে গুলির প্রায় সবই সিএসপি তে হয়ে থাকে।
এতে করে মেইন ব্রাঞ্চ গুলির কাজের চাপ অনেকটা কম হয়। তবে, কম পক্ষে ২১ একুশ বছর বয়স হলে তবেই নির্দিষ্ট কোনো Bank CSP নেওয়ার জন্য আবেদন করা যেতে পারে। আর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোটি কোটি মানুষ এই Bank CSP বা গ্রাহক সেবা কেন্দ্র খোলার মাধ্যমে রোজগার করছেন এবং এর মাধ্যমে আম জনতার খুবই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Bank CSP Open Qualification Documents Criteria
সিএসপি (Bank CSP) নেওয়ার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই উচ্চ মাধ্যমিক পাস হতে হবে এবং কম্পিউটার চালানো জানতে হবে। ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাংক একাউন্ট ডিটেলস, জায়গার কাগজ পত্র বা দলিল, ভাড়ার ঘর হলে তার রশিদ, পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট। এই সকল নথিপত্র ছাড়া আপনারা এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন না।
Inportant Thinks for Open a Bank CSP
- ২০০ থেকে ২৫০ বর্গফুটের স্থায়ী ঘর, এক্ষেত্রে উল্লেখ্য ভাড়ার ঘর অথবা নিজের ঘর হলেই হবেল।
- কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ।
- ইন্টারনেট কানেকশন।
- প্রিন্টার।
- ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার।
- পাস বুক প্রিন্টার।
Bank CSP Income Details in India 2024
Bank CSP থেকে মূলত কমিশনের ভিত্তিতে ইনকাম হয়। সরকারি চাকরির মত মাসিক বেতনের সিস্টেম এখানে নেই। এটা অনেকের কাছে খারাপ দিক মনে হতে পারে। কিন্তু যদি ঠিকঠাক কাজ হয় তাহলে চাকরি মতোই বা তার থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব। মূলত সিএসপি এর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি নির্দিষ্ট ব্যাংকের হয়ে যত বেশি পরিমাণ কাজ করবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
ব্যাংকের কাজ মূলত টাকা লেনদেন অর্থাৎ টাকা জমা টাকা তোলা। এছাড়া ব্যালেন্স চেক, নতুন একাউন্ট বানিয়ে দেওয়া, ব্যাংকে এফডি অর্থাৎ ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) করা ইত্যাদি। আপনারা এই সকল কিছুর মাধ্যমে ভালো পরিমাণ কমিশন আয় করার মাধ্যমে Bank CSP থেকে রোজগার করতে পারবেন।
Bank CSP Commission Details
সিএসপিতে টাকা তোলা এবং টাকা জমা করার ক্ষেত্রে ০.০৪% থেকে ০.০৬% হারে কমিশন পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি সারা দিনে সিএসপিতে ১ লক্ষ টাকার লেনদেন করেন তাহলে মোটামুটি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম হবে। অন্য দিকে তিনি যদি সারা দিনে সিএসপিতে ২ লক্ষ টাকার লেনদেন করেন তাহলে মোটামুটি ১০০০ টাকা ইনকাম হবে। এক কথায় যত বেশি টাকার লেনদেন হবে তত বেশি ইনকাম।
কোনো ব্যক্তি যদি তার মতো করে হিসাব করতে পারেন তাহলে কতো টাকা লেনদেন হলে কতো টাকা ইনকাম সম্ভব। তবে, টাকা লেনদেনের ভিত্তিতে ইনকামের পাশাপাশি নতুন ব্যাংক একাউন্ট খোলা, ইন্সুরেন্স পলিসি, ফিক্সড ডিপোজিট, চেক ডিপোজিট, ব্যাংক পাস বুক আপডেট ইত্যাদির কাজের জন্য ব্যাংক থেকে আলাদা করে কমিশন (Bank CSP) পাওয়া যায়।
How Much is The Cost to Open a Bank CSP
সিএসপি খুলতে হলে আবেদনকারীকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই রেজিস্ট্রেশনের খরচ মোটামুটি ৫০০০ টাকা থেকে ৭০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া কম্পিউটার বা ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার, পাস বুক প্রিন্টার, ইন্টারনেট সেটাপ ইত্যাদির জন্য এককালীন টাকা খরচ করতে হয়। এই জিনিস পত্র গুলির খরচ হিসাব সাপেক্ষ।
Bank CSP Apply Process
কোনো নির্দিষ্ট ব্যাংক থেকে সরাসরি ওই ব্যাংকের সিএসপি পাওয়া যায় না। সিএসপি নেওয়ার জন্য কোনো একটি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হয়। মূলত এই নিয়মেই আমাদের দেশে সিএসপি প্রদান করা হয়ে থাকে। সিএসপি নেওয়ার জন্য অবশ্যই জানতে হবে কোনো নির্দিষ্ট ব্যাংকের সিএসপি কোন কোম্পানি প্রদান করে থাকে। এটি জানার সহজতম উপায় হল, কোনো ব্যাংকে গিয়ে সেই ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে সিএসপি প্রোভাইডার কোম্পানির সম্পর্কে জেনে নেওয়া। তারপর সেই কোম্পানির কাছে সিএসপি এর জন্য আবেদন করতে হবে।
Bank CSP Apply Online Process
১. সিএসপি নেওয়ার জন্য অফলাইন এবং অনলাইন দুই ভাবেই আবেদন করা যায়। তবে, অফলাইনের মাধ্যমে সিএসপি নেওয়াই বেশি ভালো। কেননা অনলাইনে অনেক সময় প্রতারণা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অফলাইনে আবেদন করলে সম্পূর্ণ প্রসেসটি আবেদনকারী যাচাই করতে পারবেন।
২. অফলাইনের ক্ষেত্রে আবেদনকারী যে ব্যাংকের সিএসপি নিতে চান সেটি স্টেট ব্যাংক হতে পারে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক হতে পারে বা অন্য কোনো ব্যাংক হতে পারে। সেই নির্দিষ্ট ব্যাংকের ব্রাঞ্চে গিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি তার বাড়ির কাছাকাছি ব্রাঞ্চে যেতে পারেন বা সেই ব্যাংকের মেইন ব্রাঞ্চ অফিসে ও যোগাযোগ করতে পারেন।
৩. ব্রাঞ্চের ম্যানেজারকে সিএসপি নেওয়ার কারণ জানাতে হবে। ম্যানেজারকে তাকে বোঝাতে হবে সিএসপি নিলে তাদের কাজে তিনি কিভাবে সাহায্য করবেন, তাদের কাজের চাপ কতটা কমবে ইত্যাদি সম্পর্কে। সর্বোপরি ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সঙ্গে তার সম্পর্কটা ভালো করতে হবে তাহলে খুব সহজেই তিনি সিএসপি এর জন্য এপ্রুভাল পেয়ে যাবেন।
৪. ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলার সময় অবশ্যই জানতে হবে সেই ব্যাংকের সিএসপি ঠিক কোন্ কোম্পানি দিয়ে থাকে। সেই কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তিনি সিএসপি নেওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন।
৫. এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করা খুবই কঠিন ব্যাপার, কিন্তু তা না। আবেদনকারীকে শুধু কোম্পানির নাম জানতে হবে তারপর অনলাইনের মাধ্যমে সেই কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করার ডিটেলস অর্থাৎ মোবাইল নম্বর, ইমেইল ইত্যাদি পেয়ে যাবেন। তাতে করেই তিনি তাদের সঙ্গে সিএসপি নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে পারবেন।
Which Company is Provide Bank CSP?
- Reliance Payment Solution Limited.
- AISECT Limited.
- Alankit Limited.
- Easy Bill Private Limited.
- CSE e Governance.
- Unique Social Equality.
- Pay Point India Pvt. Ltd.
তবে, যদি আবেদনকারী খুব সহজেই কোনো ব্যাংকের সিএসপি প্রদানকারী কোম্পানির নাম জানতে চান তাহলে তিনি একটি কাজ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ধরা যাক, তিনি যদি স্টেট ব্যাংকের সিএসপি নিতে চান তাহলে তাকে তার বাড়ি থেকে দূরে থাকা কোনো সিএসপিতে গিয়ে ওই সিএসপির কর্তার সাথে কথা বলতে হবে। সে কোন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে সিএসপি নিয়েছিল তা জেনে নিতে হবে।
প্রতিমাসে 12000 টাকা একাউন্টে! LIC Saral Pension যোজনায় এখনই আবেদন করুন
সে যদি এই সম্পর্কিত কোন তথ্য না দিতে চাই তাতেও কোনো সমস্যা নেই। তাকে সেই সিএসপির ঘরের কোনো এক দেওয়ালে টাঙানো নির্দিষ্ট কোম্পানির সার্টিফিকেটটির ছবি তুলে বা সার্টিফিকেটে থাকা কোম্পানির নাম কি তা দেখে নিতে হবে। আর এভাবেই সেই Bank CSP দেওয়া কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি নিজের সিএসপি চালু করতে পারেন।
Written by Sampriti Bose.