যখনই কোন ধরণের ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী মাসিক কিস্তিতে কেনার কথা আমরা চিন্তা করি, তখন সর্বপ্রথম Bajaj Finserv Emi Card এর কথা মাথায় আসে। ২০০৭ সালে প্রথম বারের জন্য এই ব্যবস্থা শুরু করা হয় বাজাজ গ্রুপের তরফে। বর্তমানে আমরা ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ছাড়া নিজেদের জীবন পরিকল্পনাই করতে পারিনা। মোবাইল, ফ্রিজ, মাইক্রভেন, ল্যাপটপ ইত্যাদি।
Bajaj Finserv Emi Card এর মাধ্যমে কেনাকাটা এখন আরও সহজ।
ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী দামি হওয়ার কারণে আমাদের পক্ষে একবারে টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব হয় না। সেই জন্য Bajaj Finserv Emi Card হল সর্বশ্রেষ্ঠ বিকল্প। এই কার্ডের মাধ্যমে ০% সুদে ন্যায্যমূল্যে যে কোন সামগ্রী ৩ – ২৪ মাসের কিস্তিতে আপনি কিনতে পারবেন। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এই কার্ডের আবেদন পদ্ধতি, যোগ্যতা, নথি ও সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করব।
Bajaj Finserv Emi Card এর সুবিধাঃ-
১) আমাদের দেশে বর্তমানে ৩২ লক্ষের বেশি এই কার্ড হোল্ডার রয়েছে।
২) ১০ লক্ষের বেশি সামগ্রী এই কার্ডের মাধ্যমে কেনা সম্ভব।
৩) ০% সুদে আপনারা যে কোন সামগ্রী কিনতে পারবেন।
৪) অনলাইনে কোন ধরণের ডাউনপেমেন্ট করতে হবে না। কিন্তু অফলাইনেই কেনাকাটা করলে কিছু পরিমাণ টাকা জমা করতে হবে।
৫) দেশের সকল স্থানে এই কার্ডের মাধ্যমে আপনারা কেনাকাটা করতে পারবেন।
৬) নিজের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাত্র পাঁচ মিনিটে এই কার্ড তৈরি করা সম্ভব।
Bajaj Finserv Emi Card এর আবেদনের যোগ্যতা ও নথিপত্রঃ-
১) সকল ভারতীয় নাগরিক এই কার্ডের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।
২) ২১ – ৩৫ বছরের মধ্যে বয়স হতে হবে।
৩) প্রতিমাসে নির্দিষ্ট রোজগার থাকতে হবে।
৪) ক্রেডিট স্কোর ৭২০ র বেশি হতে হবে।
৫) প্রথমে সর্বচ্চো ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে। এইটা সম্পূর্ণ আপনার ক্রেডিট স্কোরের ওপর নির্ভর করবে।
Bajaj Finserv Emi Card আবেদনের পদ্ধতিঃ-
১) www.bajajfinserv.in এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
২) অনলাইনে আবেদন করলে আপনাকে ৫৩০ টাকা খরচ করতে হবে।
৩) বছরে ১১৭ টাকা করে আপনাকে সুরক্ষা মূলধন দিতে হবে, কিন্তু বছরে একবার এই কার্ডের মাধ্যমে কিছু কিনলে কোন চার্জ লাগবে না।
৪) নিজের মোবাইল নম্বর লিখে ওটিপি অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৫) মোবাইলে যেই ওটিপি আসবে সেটা লিখে দিতে হবে।
৬) আপনাকে নিজের নাম, প্যান কার্ড নম্বর, জন্মের তারিখ, কি কাজ করেন, জেন্ডার সিলেক্ট করে নিতে হবে।
৭) আপনার সকল তথ্য যাচাই করে দেখিয়ে দেওয়া হবে আপনি কতো টাকার লিমিট পাবেন।
৮) আপনার আধার কার্ডে যেই ঠিকানা আছে সেই রকম ভাবে ঠিকানা লিখে দিতে হবে।
৯) এরপরে আপনাকে ৫৩০ টাকা ফি দিতে হবে।
১০) UPI, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে টাকা দিতে পারবেন।
১১) কার্ডটিকে আপনার ব্যাংকের অ্যাকাউণ্টের সাথে লিঙ্ক করাতে হবে।
১২) আপনাকে নিজের নাম, অ্যাকাউণ্ট নম্বর, IFSC কোড লিখে দিতে হবে।
১৩) ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে আপনাকে নিজের রেজিস্ট্রেশন পুরো করতে হবে।
১৪) এই সামান্য পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনার এই কার্ড তৈরি হয়ে যাবে।
Bajaj Finserv Emi Card পরিচালনা কিভাবে করবেনঃ-
১) গুগেল প্লে স্টোর থেকে বাজাজ অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে।
২) মোবাইল নাম্বার এবং ওটিপি লিখে দিতে হবে।
৩) নিজের জন্মের তারিখ বা প্যান কার্ড নাম্বার লিখে দিতে হবে।
৪) এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি নিজের মাসিক কিস্তির কার্ড দেখতে পারবেন।
৫) অনলাইনে কিছু কিনতে চাইলে এই অ্যাপ এর মাধ্যমে সেটা সম্ভব।
Airtel এর গ্রাহকরা পেয়ে যান মাত্র 5 টাকায় আনলিমিটেড কলিং, ইন্টারনেট সহ অন্যান্য দারুন সুবিধা।
এই নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ।