প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে (WBBPE TET) ফের অনিয়মের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জাস্টিস অভিজিৎ গাঙ্গুলির (Justice Abhijit Ganguly) তরফে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে (WBBPE) রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিলেন। কিন্তু কি অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, আসুন বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক। NCTE (National Council For Teacher Education) এই তৈরি করা গাইডলাইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, কোন ধরণের প্রশিক্ষণ ছাড়াই ৫ হাজারের কাছাকাছি শিক্ষক ও শিক্ষিকারা চাকরি করছেন বলে এবারে অভিযোগ।
WBBPE TET Scam Update By Calcutta High Court.
কলকাতা হাইকোর্টে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীরা অভিযোগ করেন যে তাদের সকল ধরণের প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও তারা নিয়োগে (WBBPE TET) চাকরি পাননি। কিন্তু এমন ৫ হাজার জন শিক্ষক আছেন যারা কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন এবং রাজ্য সরকারের তরফে এই সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের বেতন (Salary) দেওয়া হচ্ছে।
NCTE এর গাইডলাইন অনুসারে সকল শিক্ষকদের ৬ মাসের ব্রিজ কোর্স করেননি। মামলাকারীদের আইনজীবীর এই সকল সওয়াল শোনার পরে বিচারপতি গাঙ্গুলির তরফে WBBPE (West Bengal Board Of Primary Education) বা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই (WBBPE TET) সকল রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন। ২০২০ সালে প্রায় ১৬৫০০ শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
এই 5000 WBBPE TET শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হতে পারে?
সেখানে D.El.Ed পরীক্ষার্থীরা ছাড়া B.Ed ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারবেন, আর এর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার B.Ed উত্তীর্ণদের নিয়োগ করে পর্ষদ। কিন্তু এই সকল চাকরিপ্রার্থীরা ৬ মাসের ব্রিজ কোর্স করেননি বলেই মূল অভিযোগ করা হচ্ছে। এবারে পর্ষদের রিপোর্ট গ্রহণ যোগ্য মনে না হলে এই সকল চাকরি (WBBPE TET) বাতিলও করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৮ ই আগস্টের মধ্যে আদালতে এই রিপোর্ট পেশ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই WBBPE TET মামলার পরবর্তী শুনানির দিন এখনো পর্যন্ত ধার্য করা হয়নি। পর্ষদের তরফে এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হলে তারপর এই তারিখ জানানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সম্পর্কে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন, সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য, ধন্যবাদ।
Electricity Bill – রাজ্যে ইলেকট্রিক বিল বাড়ানো হবে, বড় খবর প্রকাশিত হল।