সোনার গয়না কিনতে চায়না এমন মানুষ হয়তো আমাদের দেশে পাওয়া খুবই দুস্কর (Gold Bond). কিন্তু এখন সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে সকলের এই সোনার গয়না (Gold Jewellery) কেনার থেকে বেশি এখন Gold Bond বা গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগ করতে বেশি পছন্দ করছেন। আর এই কারণের জন্য এখন কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) তরফে এই বন্ড RBI (Reserve Bank Of India) এর মাধ্যমে জারি করে থাকে।
Buy Gold Bond Gold As An Investment.
দেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য এলো বিরাট সুখবর। এখন থেকে সোনার গয়না না কিনে গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগ (Gold Bond Investment) করে ১ বছরে টাকা ডবল করার সুযোগ পাবেন গ্রাহকেরা। বর্তমানে অনেকেই রয়েছেন যারা বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। আর সেই জন্য অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় তারা সোনা কিনে থাকেন। তোর সোনা কেনার থেকেও গোল বল কিনলে তাতে প্রচুর লাভ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই এই সুযোগে সার্বভৌম গোল্ড বন্ড কিনে রেখে দিচ্ছেন।
কারণ যখন দাম চড়া হবে এগুলি বিক্রয় করবেন তারা এবং ডবল লাভ পাবেন। তাছাড়া গহনার সোনা কেনার চেয়ে গোল্ড বন্ড কেন বেশি লাভজনক। আপনার নিকটবর্তী ব্যাংকের শাখাতে পেয়ে কিনে নিতে পারেন গোল্ড বন্ড। আর এই জিনিস সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত হয়তো অনেকেই জানেন না। কিন্তু সোনার গয়না কিনে ব্যাংকের লকারে ফেলে রাখার থেকে সকলের উচিত যে গোল্ড বন্ডে (SGB Gold Bond) যতটা বেশি পরিমাণে হোক তাদের বিনিয়োগ করা। যার মাধ্যমে আপনারা ভবিষ্যতে ভালো পরিমাণ টাকা রিটার্ন পাবেন।
মূলত সোনার গহনা বেশ কয়েক প্রকারের হয়। ২৪ ক্যারেট পাকা সোনা (24 Carat Gold Bond) গলিয়ে তার সাথে খাদ মিশিয়ে ২২ ক্যারেট করা হয়। এরপর সেটি গহনা তৈরির কাজে ব্যবহার হয়। গহনা করতে তাতে খাদ ও বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, এবং এতে সোনার পরিমান আরও কিছুটা কমে যায়। এছাড়া গহনা সোনায় ট্যাক্স এর সাথে জিএসটি ও যোগ হয়। এদিকে সোনার গহনায় মুজুরির জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়।
এরপর সেই সোনা কয়েক বছর পর বিক্রয় করতে গেলে খাদ টুকু বাদ যায়। কোনও কোনও দোকানে ৩০% পর্যন্ত ওজনে কম দেয়। এদিকে মুজুরির টাকা ও জিএসটি এর টাকা ও ফেরত পাওয়া যায় না। অর্থাৎ লস ই লস। কিন্তু গোল্ড বন্ড (Gold Bond) কিনলে এই সব ঝামেলা নেই। যে পরিমান সোনা কিনবেন সেই পরিমান সোনার সেই দিনের বাজার মূল্যে বিক্রয় করতে পারবেন। গোল্ড বন্ডের মধ্যে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI Gold Bond) আরবিআই সভেরিন গোল্ড বন্ড (Sovereign Gold Bond) ইস্যু করে।
অপরদিকে Gold Bond হল আরবিআই মারফত জারি করা একটি সম্পত্তির উদাহরণ। এটি পাকা সোনার বিকল্প হিসেবে কাজ করে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের অধীনস্থ ব্যাংক গুলি এক বছরে বেশ কয়েকবার এই Gold Bond ইস্যু করে। এই বন্ড ছাড়ার পর যে কোন গ্রাহক তা ক্রয় করতে পারেন ব্যাংকের কাছ থেকে অথবা কিনে বিক্রয় করতে পারেন বাজারে।
এই গোল্ড বন্ড গুলি ইস্যু হওয়ার সময় আরবিআই এর দাম বেঁধে দেয়। সেই দামের এক টাকাও বেশি বা কমে এই সম্পত্তি দেওয়া হয় না। অনেকেই পাকা সোনার চেয়ে এই গোল্ড বন্ড গুলি বেশি কিনে থাকেন। কারণ এতে লাভ বেশি। আর এর মাধ্যমে এতদিন অনেকেই ভালো পরিমাণ টাকা লাভ করেছে। Gold Bond সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া উচিত।
SGB Gold Bond Benefits
1) এই বন্ড কেবল ভারত সরকারের (Government Of India) পক্ষ থেকে রিজার্ভ ব্যাংক ইন্ডিয়া জারি করবে।
2) বন্ড গুলি আবাসিক ভারতীয় সত্ত্বা গুলিতে বিক্রির জন্য সীমাবদ্ধ থাকবে, যার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তি HUF, ট্রাস্ট, বিশ্ববিদ্যালয় এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠান।
3) KYC নিয়ম ভৌত সোনা কেনার মতো একই হবে। KYC নথি যেমন Voter ID Card, Aadhaar Card, PAN Card, Passport এর প্রয়োজন হবে।
এই Gold Bond গুলি গ্রাম হিসেবে পরিমাপ করা হয়ে থাকে। এই বন্ডের মেয়াদ হবে ৪ বছরের জন্য, ৫ তম, ৬ তম এবং ৭ তম বছরে প্রস্থান বিকল্প সহ, সুদের প্রদানের তারিখ গুলিতে প্রয়োগ করা হবে। ন্যূনতম অনুমোদন যোগ্য বিনিয়োগ হবে ১গ্রাম সোনা। সাবস্ক্রাইব করার সর্বোচ্চ সীমা হবে ব্যক্তির জন্য ৪ কেজি, HUF এর জন্য 4 কেজি এবং ট্রাস্ট এবং অনুরূপ সংস্থা গুলির জন্য 20 কেজি প্রতি অর্থ বছরে সময়ে সময়ে সরকার দ্বারা বিজ্ঞাপিত।
এই প্রভাবের জন্য একটি স্ব-ঘোষণা প্রাপ্ত করা হবে। বার্ষিক সিলিংয়ে সরকার কর্তৃক প্রাথমিক ইস্যু করার সময় বিভিন্ন স্তরের অধীনে সাবস্ক্রাইব করা SBI Gold Bond এবং সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে কেনা বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বিনিয়োগকারীদের বার্ষিক ২.৫০ শতাংশের সুদ দিতে হবে যা অর্ধবার্ষিকভাবে এই সুদ মেটানো যাবে। অনলাইনে আবেদনকারী বিনিয়োগকারীদের (Gold As An Investment) নাম মাত্র মূল্যের চেয়ে গ্রাম প্রতি ৫০ টাকা ছাড় এবং আবেদনের বিপরীতে ডিজিটাল মোডের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করা হয়।
যৌথ হোল্ডিং বা জয়েন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে, সর্বোচ্চ ৪ কেজি পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। এই বন্ড কিনতে হলে সর্বোচ্চ টাকা ২০০০০ পর্যন্ত ক্যাশ ব্যবহার করা যাবে। তবে ডিমান্ড ড্রাফ্ট বা চেক বা ইলেকট্রনিক ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে এই সীমা আরও অনেক বেশি। ১৮ বছরের নিচে বা নাবালকের নামে গোল্ড বন্ড কেনা যায়না। গোল্ড বন্ডের (SBI SGB Gold Bond) সুদ আয়কর আইন (Income Tax Rule) ১৯৬১ এর বিধান অনুসারে করযোগ্য হবে।
একজন ব্যক্তিকে এসজিবি রিডেম্পশনের উপর উদভূত মূলধন লাভ কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। Gold Bond হস্তান্তরের সময় যে কোনো ব্যক্তির উদভূত দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভের জন্য সূচক সুবিধা প্রদান করা হবে।গভর্নমেন্ট সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ২০০৬ এর অধীনে গোল্ড বন্ড গুলি ভারত সরকারের স্টক হিসাবে জারি করা হবে। বিনিয়োগকারীদের এর জন্য একটি হোল্ডিং সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
এই Gold Bond ডিম্যাট ফর্মে রূপান্তরের জন্য যোগ্য৷ IBJA দ্বারা প্রকাশিত পূর্ববর্তী ৩ কার্যদিবসের ৯৯৯ বিশুদ্ধতার সোনার সমাপ্তি মূল্যের সরল গড়ের উপর ভিত্তি করে রিডেম্পশন মূল্য ভারতীয় রুপিতে ধার্য হবে। এক্ষেত্রে ঋণের জন্য জামানত হিসাবে গোল্ড বন্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। লোন-টু-ভ্যালু অনুপাত রিজার্ভ ব্যাংক দ্বারা সময়ে সময়ে বাধ্যতামূলক সাধারণ সোনার ঋণের (Gold Loan) সমান সেট করতে হবে।
আধার কার্ড ব্যাংক লিংক আছে? বিরাট সুবিধা চালু করলো মোদী সরকার।
Gold Bond অধিকারাধিকারটি অনুমোদিত ব্যাংক গুলির দ্বারা ডিপোজিটরিতে চিহ্নিত করা হবে৷ এসম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য কোনো নিকটবর্তী ব্যাংকে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন সকলে। আর আপনারা কি এই বন্ডে বিনিয়োগ করতে চাইছেন? নিচে কমেন্ট করে জানাবেন অবশ্যই। এই সম্পর্কে আপনাদের কোন বক্তব্য থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
Written by Sampriti Bose.
দেশের 40 কোটি জনগণকে টাকা দেবে কেন্দ্র সরকার। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এইভাবে আবেদন করুন।