ওবিসি সার্টিফিকেটের পর ফের চাকরি বাতিলের রায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court). হাইকোর্টের এই নতুন রায়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাংলায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গুলোও এই রায়কে কেন্দ্র করে জড়িয়েছে বিতর্কে। লোকসভা ভোটের আবহে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate) বাতিলের নির্দেশে রীতি মতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে।
Calcutta High Court Order to Cancel a Recruitment.
২০১০ সালের পর থেকে অর্থাৎ ২০১১ সাল থেকে জারি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট অর্থাৎ অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court). যার ফলে রাজ্য জুড়ে বাতিল হচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) আমলের মোট ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট। যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য যে সুপ্রিম কোর্টে যাবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee).
পশ্চিমবঙ্গে ফের চাকরি বাতিল
তবে, এবার ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের পাশাপাশি চাকরি বাতিলেরও নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court). জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের (Jhargram) একটি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির (Group D) কর্মী সুতপা হাটই। ১৯৯৭ সালে তফশিলি জাতি সংরক্ষিত শিক্ষাকর্মীর পদে নিয়োগ করা হয় তাঁকে। দীর্ঘ ১৪ বছর চাকরিও করেছেন তিনি।
কলকাতা হাইকোর্ট কেন নিয়োগ বাতিল করলো?
২০২১ সালের মে মাস অবধি বেতনও পেয়েছেন। কিন্তু এবার Calcutta High Court রায়ের ফলে চিন্তার ভাঁজ সুতপার কপালে সেই রায়ের রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। এখনও এই নিয়ে চর্চা অব্যাহত। তবে এর মাঝেই এক শিক্ষাকর্মীর এসসি শংসাপত্র (SC Certificate) বিতর্কে বিরাট রায় দিল আদালত। ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জামবনি ব্লকের দুবড়া আদর্শ বিদ্যামন্দিরে শিক্ষাকর্মী পদে চাকরি পান সুতপা।
দুবড়া নিবাসী সুতপাকে তফশিলি জারির জন্য সংরক্ষিত আসনে নিয়োগ করা হয়েছিল। জাতিগত শংসাপত্রও দিয়েছিলেন তিনি। তবে, ২০১১ সালে একটি মহল অভিযোগ তুললে সুতপার জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে প্রশাসনিক মহলে অনুসন্ধান আরম্ভ হয় (Calcutta High Court). ওই বছরই তাঁর জাতিগত শংসাপত্র বাতিল করে ঝাড়গ্রামের তৎকালীন মহকুমা শাসক। এরপর জুন মাস থেকে বন্ধ হয়ে যায় সুতপার বেতন। বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির তরফ থেকে তাঁকে ধরিয়ে দেওয়া হয় নোটিশ।
চাকরি বাতিল নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কি?
তবে পাল্টা জবাব দেননি তিনি। বরং তাঁর জাতিগত শংসাপত্র বৈধ, এই দাবি করে হাই কোর্টের রিট পিটিশন করেন সুতপা। একাধিকবার শুনানি শেষে সুতপার বিপক্ষে রায় গেল। যদিও সুতপার দাবি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তাঁর কথায়, সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করবেন (Calcutta High Court). তিনি জানান, এখনও বিনা বেতনে বিদ্যালয়ে পরিষেবা দিচ্ছেন তিনি।
স্কুলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১১ সালের জুন মাস থেকে বেতন পাচ্ছেন না সুতপা। তবে বিষয়টি যেহেতু Calcutta High Court বিচারাধীন তাই তাঁকে বিদ্যালয়ে কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এই প্রসঙ্গে বলেন, তিনি কিছু জানেন না। অন্যদিকে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, হাইকোর্টের রায়ের প্রতিলিপি তিনি পেয়েছেন।
ফিক্সড ডিপোজিটে 9% সুদ পাবে গ্রাহকরা। কতদিন বিনিয়োগে এই সুদ পাবেন?
তবে সুতপার নিয়োগের বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) এক্তিয়ারভুক্ত। সেই কারণে এই বিষয়ে পর্ষদই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এখন সুতপার এই বিষয়ক মামলা কোন দিকে মোড় নেয় সেটিই দেখার বিষয়। Calcutta High Court এর এই রায় সম্পর্কে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
Written by Sampriti Bose.