গ্রীষ্মের তীব্র দাবদায় ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে এসির (Air Conditioner) ব্যবহার। তবে এই এসির (AC) ব্যবহারের ফলে দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎ ঘাটতি। তাই বিদ্যুৎ ঘাটতি দূর করতে এবার নতুন পদক্ষেপ নিল সিইএসসি (CESC). বর্তমানে বৈশাখ মাস জুড়ে চলছে গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া। তবে এবারে বাংলা নববর্ষ পড়ার আগেই অর্থাৎ চৈত্র মাসের শেষ থেকেই পড়েছে জাঁকিয়ে গরম। সঙ্গে চলছে তাপপ্রবাহ।
Inform CESC If Air Conditioner Installed In Your Home.
আর এই অবস্থায় গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই Air Conditioner বসাচ্ছেন গ্রাহকেরা। কিন্তু, এই এসি বসানোর সময় গ্রাহকেরা কোনরকম অনুমতি নিচ্ছেন না রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফে। ফলস্বরূপ দেখা যাচ্ছে, বিদ্যুৎ ঘাটতি। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে তাপপ্রবাহের (Heatwave) সময় বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। যার প্রভাব পড়েছিল সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষদের উপর।
আর এই বিদ্যুৎ সমস্যার প্রধান কারণ হলো বিদ্যুৎ দপ্তরে না জানিয়ে লাগাতার Air Conditioner যথেচ্ছ ব্যবহার। যার ফলে ওভারলোড হয়ে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা তৈরি হয়। বহু জায়গায় বিদ্যুৎ ফল্টের কারণে থাকে না বেশ কয়েক ঘন্টা কারেন্ট। যার জন্য পথ অবরোধ, বিক্ষোভে শামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে, এই বছর সেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা সমস্যা যাতে চলতি বছরে না তৈরি হয়।
তার জন্য গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে আর্জি জানালেন সিইএসসি। গত বছরের সমস্যা এড়াতে গ্রাহকরা যদি এসি লাগাতে চান তাহলে তার আবেদন পত্র বিদ্যুৎ দপ্তরে রাজ্য জানানোর অনুরোধ জানিয়েছেন সিইএসসি। সম্প্রতি সিইএসসি এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশীষ ব্যানার্জি আর্জি জানিয়েছেন গ্রাহকদের। তিনি গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, কোনো গ্রাহক যদি তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে Air Conditioner লাগাতে চান তাহলে অবশ্যই সেই বিষয়ে জানো বিদ্যুৎ দপ্তরে আবেদন জমা দেন।
যার ফলে কোথাও বাড়তি লোডের দরকার হলে তারা বিদ্যুতের প্রকৃত চাহিদা বুঝে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ব্যবস্থা করবে। তবে, ২০২৩ সালে যে হারে বিদ্যুৎ চাহিদা দেখা গিয়েছিল তার তুলনায় চলতি বছরে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই কম (Air Conditioner) রয়েছে। গত বছর ১৬ জুন সিইএসসি সিস্টেমে রেকর্ড করেছিল বিদ্যুৎ সরবরাহ। সেই সময় চাহিদা পৌঁছে ছিল ২৬০৬ মেগাওয়াটে।
তার তুলনায় গত মঙ্গলবার পর্যন্ত সিইএসসির চাহিদা কম ছিল। সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ২২৯৯ মেগাওয়াট। অপরদিকে এসি লাগানোর আবেদনপত্রেও পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে। গত বছরে এই সময় পর্যন্ত Air Conditioner লাগানোর আবেদন পত্র জমা পড়েছিল ১১০৫০ টি। নতুন বছরের এই একই সময়কালে আবেদন পত্র জমা পড়েছে ১৫৬৮৩ টি। তবে এই অনুরোধ করার পাশাপাশি স্কাডা ব্যবস্থা চালু করেছে সিইএসসি।
যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সংবহন এবং বন্টন ব্যবস্থার তৎক্ষণাত পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে ভারতে মহারাষ্ট্রের পর সিইএসসি (Air Conditioner) দ্বারা স্কাডা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি সেই স্কাডা ব্যবস্থায় আরও অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্য যুক্ত করে নতুন সংস্করণ চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে খুব সহজেই পুরনো তথ্য বিশ্লেষণ করে সঠিক লোডের পূর্বাভাস জানা যাবে।
রান্নার গ্যাসের দাম একধাক্কায় কমলো। নতুন দাম শুনে খুশি সকলে।
যার ফলে কোথাও বিদ্যুৎ সরবরাহে ফল্ট হলেই স্কাডা ব্যবস্থার মাধ্যমে ২ মিনিটে আবার চালু হবে বিদ্যুৎ সরবরাহ। এই স্কাডা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেকটাই কম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই জন্যই Air Conditioner ব্যবহারকারীদের অনেকটাই সুবিধা হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সম্পর্কে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
Written by Sampriti Bose.