পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুত বিল (Electric Bill) সংক্রান্ত নয়া তথ্য। মূলত বিদ্যুতের বিল (Electricity Bill) নিয়ে রাজ্যবাসীর আশা পূরণের আশ্বাস পাওয়া গেলেও শেষ পর্যন্ত তা পূরণ হচ্ছে না অর্থাৎ আগের নিয়মেই আসবে বিদ্যুৎ বিল (Electric Bill) এমনটাই জানিয়ে দিলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ফলে হতাশ হতে চলেছেন রাজ্যের কয়েক কোটি বিদ্যুৎ গ্রাহক। ইতিমধ্যেই প্রতিটা বিলে অতিরিক্ত অর্থব্যয়ের আশঙ্কায় আতঙ্কিত হচ্ছেন তারা।
West Bengal WBSEDCL CESC Electric Bill Payment.
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সাধারণত দুটি সংস্থা বিদ্যুৎ পরিষেবা দিয়ে থাকে। মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদন করে অনেক সংস্থাই। কিন্তু সরবরাহ করার কাজটি একটি বেসরকারি ও একটি সরকারি সংস্থাই করে থাকে। কলকাতা ও তার সংলগ্ন জেলা গুলি শহরতলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেয় বেসরকারি CESC. এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজটিও ওই বেসরকারি সংস্থাই করে থাকে।
আর বাকি সারা রাজ্যে DVC, NTPC রাজ্য সরকার এমনকি CESC বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ করলেও তা সরবরাহ করার দায়িত্বে থাকে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ সরবরাহ নিগম (WBSEDCL Electric Bill). তবে, দুটি সংস্থার পরিষেবা নিয়ে প্রায়শই নানান অভিযোগ উঠে থাকে। তবে এদের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হল, বিদ্যুতের বিল দুই রকম ভাবে আসে। একদিকে সিইএসসি এলাকার গ্রাহকরা প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল (CESC Electric Bill) পান।
ফলে মাসের Electric Bill মাসে মিটিয়ে দেওয়াটাই সেখানকার রীতি। কিন্তু স্টেট ইলেকট্রিসিটি বা রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের এলাকার গ্রাহকদের কাছে প্রতি তিন মাস অন্তর বিদ্যুতের বিল যায়। এই সব এলাকায় তিন মাস অন্তর বিদ্যুত মিটারের রিডিং নেওয়া হয়। আর এই বিষয়টা নিয়েই মূল আপত্তি গ্রাহকদের। মূলত রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের অধীনস্থ গ্রাহকদের দাবি, তিন মাস অন্তর বিদ্যুতের বিল (WBSEDCL Electric Bill) হওয়ায় তাঁদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
কারণ তাতে একসঙ্গে অনেক বেশি ইউনিট উঠছে। অথচ মাসে মাসে বিদ্যুতের বিল (Electric Bill) দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলে এই অতিরিক্ত খরচ থেকে রেহাই পাওয়া যেত। এই বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকরা অনেকদিন ধরেই সরব হয়েছেন। তাঁরা এক সময় এই দাবিতে আন্দোলনও করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর নজরে আসলে পরীক্ষামূলকভাবে রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal) কিছু এলাকায় প্রতিমাসে বিদ্যুতের বিল দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছিল।
তাতে সকলে ভেবেছিল ধীরে ধীরে বাকি জায়গাতেও এই ব্যবস্থা চালু হবে। কিন্তু সম্প্রতি সাঁওতালডিহি বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পরিষ্কার জানিয়ে দেন, প্রতি তিন মাস অন্তর বিদ্যুতের বিল দেওয়ার যে রীতি প্রচলিত আছে সেটাই থাকবে। ফলে প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল (Electric Bill) আসার দাবি পূরণ হচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ মিটারের রিডিং (Electric Meter Riding) নেওয়ার সমস্যার কথা জানান তিনি।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ চান তিন মাস অন্তর বিল দিতে। যেহেতু বেশিরভাগ গ্রাহক গ্রামীণ এলাকায় থাকে তাই প্রতি মাসে তাঁদের পক্ষে বিদ্যুতের বিল (Electricity Bill) জমা দেওয়া কঠিন বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। যদিও গ্রাহকদের একটা বড় অংশ মন্ত্রীর এই দাবি মানতে রাজি নন। কীসের ভিত্তিতে মন্ত্রী বা সরকার এমন মন্তব্য করল সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
রান্নার গ্যাসের দাম নিয়ে মোদী সরকারের বড় পদক্ষেপ। পশ্চিমবঙ্গে নতুন দাম কার্যকর।
তবে সব মিলিয়ে একটা বিষয় পরিষ্কার, ইউনিট প্রতি খরচ বাঁচাতে প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল দেওয়ার যে দাবি তোলা হয়েছে তা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। এমতাবস্থায়, মন্ত্রীর বক্তব্যের পরেও রাজ্যের একাংশ মানুষের দাবি বিদ্যুত দপ্তরের তরফে মেনে নেওয়া হয় কিনা সেটি এখন দেখার বিষয়। আর প্রতিমাসে Electric Bill দেওয়া নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
Written by Sampriti Bose.
কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে মহিলারা পাবে 12 হাজার টাকা! পুরুষরা পাবে 6 হাজার।