সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA নিয়ে নরম সুর শোনা গেল। বিগত কয়েক মাস ধরে চলে আসা ধর্না, আন্দোলন, প্রতিবাদ কর্মসূচী এছাড়াও পেন ডাউন কর্মসূচী এরপর ১০ ই মার্চ এক দিনের কর্ম বিরতি। এই সকল কিছুর পরে দোলযাত্রার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া কিছুতেই সম্ভব নয়। কিন্তু সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি সেই বক্তব্যের উল্টো কথা বললেন। তার বক্তব্য – “ডিএ দিলে আমরা ভালোবেসে দেব, অবশ্যই দেব”। এই কথার মধ্যে দিয়ে তিনি আন্দোলনরত সকল কর্মীদের বার্তা দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
DA নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে নতুন জল্পনা।
নিজেদের বকেয়া DA আদায়ের দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দুই দিনের ধর্মঘট ও ১০ ই মার্চ কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল সরকারি কর্মীদের সংগঠন গুলির তরফে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এই আন্দোলনকে রুখতে অনেক কড়া সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এর পরেও এই আন্দোলন রুখতে পারা যায়নি। এই সকল ঘটনার পরেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের গলার সুর নরম হল।
আগামী ২১ শে মার্চ সুপ্রিম কোর্টে এই DA মামলার চূড়ান্ত দিন ঘোষণা করা হয়েছে। সেই শুনানির আগে এই মন্তব্য কে অনেকেই তাৎপর্য পূর্ণ হিসাবে ধরছে। তিনি আরও বলেছেন – আমরা আইনের ওপর নির্ভরশীল, আদালতের রায়কে সন্মান জানাই। আমরা কারোর অধিকার কারতে চাইনা। যখন বিরোধী দল নেত্রী ছিলাম দেখতাম, ১ তারিখে কেউ মাইনে পাচ্ছে না।
সময় মতো কেউ পেনশন পেতেন না, কিন্তু এখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে সকলকে সময় মতো মাইনে ও পেনশন দুই দিতে পারছি এত ধার থাকার পরেও। DA নিয়ে তিনি বলেছেন কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ আলাদা, কাজ আলাদা। সেই জন্য আপনারা যদি কেন্দ্রীয় হারে ভাতা চান সেটা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের রিজার্ভ ব্যাংক আছে, ট্যাঁকশাল আছে আমাদের সেটা নেই।
এছাড়াও DA নিয়ে তিনি বলেছেন GST র ফলে আমরা আর বেশি পরিমাণে ট্যাক্স পাইনা, বামফ্রন্ট আমলের এত ধার আমাদের চোকাতে হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ কমিয়ে দিচ্ছে। আর আমরা রাজ্যের সকল মানুষদের জন্য অনেক জনহিতকর প্রকল্প চালু করেছি সেটা আমরা কোনমতেই বন্ধ করে দিতে পারি না। ভরসা রাখুন আমরা ডিএ নিশ্চয়ই দেব একটু অপেক্ষা করুন।
সামনে পঞ্চায়েত ভোট এই ভোটে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী। তাদের কথা অনুসারে বকেয়া DA না মেটানো হলে আমরা পঞ্চায়েত ভোটে কাজ করব না। এই কারণে সরকারি কর্মীদের সাথে নিজেদের সম্পর্ক ঠিক করার পথে হাটতে চাইছে রাজ্য। এবার দেখার অপেক্ষা মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী স্কলারশিপ আবেদন করলেই মিলবে 36 হাজার টাকা – Pradhan Mantri Scholarship Yojana 2023.
DA নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। এই নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের খবর সবার আগে পাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ।