বর্তমান এই টেকনোলজির যুগে প্রায় সকলের মুখেই 5G কথাটি ঘুরছে। মোবাইল ডাটার বিপুল চাহিদার জন্য খুব শীঘ্রই আমাদের দেশে 5G পরিষেবা চালু হতে চলেছে। উপযুক্ত পরিবেশে 5G নেটওয়ার্কের স্পিড 4G -এর তুলনায় প্রায় ১০ গুন বেশী। ফলে স্বভাবতই স্পিড ও গুণমানের নিরিখে 4G -এর তুলনায় 5G অনেকটাই উন্নতমানের হওয়ায় বাজারে না আসতেই এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। সম্প্রতি ভারতে 5G -এর স্পেকট্রাম Auction হয়ে গিয়েছে। এয়ারটেল, জিও, Vi – দেশের এই তিনটি জনপ্রিয় টেলিকম সংস্থাই এই নিলামে অংশ নিয়েছিলো। কিছু রিপোর্ট অনুসারে, এবছর ২০২২ সালের শেষের দিকেই দেশের কিছু শহরে শুরু হয়ে যেতে পারে 5G পরিষেবা (5G network)। তাদের মধ্যে কলকাতারও নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই বিষয়ে আগাম ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন।
তবে আপনি কী জানেন আপনার নিজের ব্যবহার করা স্মার্টফোন 5G নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে কিনা? আপনার নিজের স্মার্টফোন 5G নেটওয়ার্ক সংযোগে সক্ষম হলে সহজেই হাইস্পীড ডাটা উপভোগ করতে পারবেন। মুহূর্তেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন নানারকম সিনেমা, মুভি, ওয়েব সিরিজ প্রভৃতি। আপনার ব্যবহৃত মোবাইল 5G সাপোর্ট করে কিনা তা জানার জন্য অতি সহজ একটি উপায় রয়েছে, যা আপনি বাড়িতে বসেই মাত্র ১ মিনিটে করতে পারবেন।
• আপনার মোবাইল 5G সাপোর্ট করে কিনা তা জানবেন কী করে?
(১) প্রথমে নিজের মোবাইলের Settings -এ যাবেন।
(২) এবার Wifi and Mobile Network অপশনে যাবেন।
(৩) তারপরে Sim And Network অপশনে যাবেন।
(৪) সেখানে Preferred Network Type -এ গিয়ে দেখবেন কী লেখা রয়েছে।
(৫) যদি 5G/4G/3G/2G লেখা থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার স্মার্টফোনটি 5G নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে।
(৬) কিন্ত Preferred Network Type -এ শুধু 4G/3G/2G লেখা থাকলে বুঝবেন যে আপনার স্মার্টফোনটি সর্বোচ্চ 4G নেটওয়ার্ক অবধি সাপোর্ট করে। 5G নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করবে না।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন কোম্পানির স্মার্টফোনের Settings এ উপরে উল্লেখিত অপশনগুলো সামান্য অন্যভাবেও লেখা থাকতে পারে। তাই সেটিংস এ গিয়ে বুঝে শুনে উপরে বর্ণিত পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার মোবাইলের 5G নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করার বিষয়টি যাচাই করে নেবেন।
টেকনোলজি সম্পর্কিত এই রকম আরও নানান গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং নীচের ডানদিকের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।