ETF Fund: এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে বিনিয়োগ পদ্ধতি। প্রকারভেদ, সুদ বিস্তারিত একনজরে

বর্তমানে সময়ে অনেক ধরণের বিনিয়োগ স্কিম শুরু হয়েছে, তার মধ্যে ETF Fund বা এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (Exchange Traded Fund) হল অন্যতম। আর আমাদের মধ্যে অনেকেই এখনো পর্যন্ত ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit), মান্থলি ইনকাম স্কিম (Monthly Income Scheme) সম্পর্কে জানেন আর এই স্কিম গুলিতেই বিনিয়োগ (Investment Scheme) করতে পছন্দ করেন কম সুদ পেলেও।

ETF Fund Investment

বর্তমানে দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষই শেয়ার মার্কেটের বিষয়ে অবগত। অনেকেই শেয়ার কিনে থাকেন আবার কেউ কেউ বিনিয়োগ করে থাকেন এতে। কোনো ব্যক্তি যদি শেয়ার বাজারে রুচি রাখেন তাহলে অবশ্যই ETF Fund-র সম্পর্কে তিনি শুনে থাকবেন। মিউচুয়াল ফান্ড ও ইনডেক্স ফান্ডের মতই ETF হলো একটি ফান্ড। এই ETF-র সম্পূর্ণ অর্থ হলো Exchange Traded Fund অর্থাৎ এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড।

ETF Fund বিনিয়োগ পদ্ধতি

ETF হলো শেয়ার বাজারে মিউচুয়াল ফান্ডের মতই একটি ফান্ড। ETF এ বিনিয়োগের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি একটি ডাইভার্সিফাইড পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারবেন। এই ETF এ বিনিয়োগের মাধ্যমে তিনি স্টক, বন্ড এবং অন্যান্য বিনিয়োগ সংযুক্তভাবে করতে পারবেন।

ETF-র প্রকারভেদ

1) ইক্যুইটি ETF – এই ETF সরাসরি শেয়ার বাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত, এই ফান্ডের মাধ্যমে শেয়ার বাজারের বিভিন্ন কোম্পানি গুলিতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। ‌
2) সেক্টর ও ইন্ডাস্ট্রি ETF – কোনো নির্দিষ্ট সেক্টর বা নির্দিষ্ট কোন প্রকারের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে থাকে। উদাহরণ সহ – প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সেবা ইত্যাদি।

3) বন্ড ETF – এর মাধ্যমে সরকারি বন্ড, ইন্ডাস্ট্রিয়াল, কর্পোরেট এবং মিউনিসিপাল বন্ড বিনিয়োগ করে।
4) ডিভিডেন্ড ETF – যে সমস্ত শেয়ার গুলি ডিভিডেন্টের সুবিধা প্রদান করে সেই সমস্ত শেয়ার গুলি নিয়ে ডিভিডেন্ড ETF গঠিত। এক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত আয়ের সুবিধা পেয়ে যাবেন।

5) ইন্টারন্যাশনাল ETF Fund – এক্ষেত্রে বিদেশের স্টক মার্কেট বা বন্ডে বিনিয়োগ করে থাকে। তাই যারা বাইরের মার্কেটে বিনিয়োগ করতে চাই এবং কম ঝুঁকিতে বিনিয়োগ করতে চাই তাদের জন্য এই ফান্ড সর্বত্তম। তাহলে এখানে বিনিয়োগ সম্পর্কে আরও তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

এই ETF এ বিনিয়োগ করার জন্য প্রথমেই গ্রাহককে একটি ব্রোকারেজ একাউন্ট ওপেন করতে হবে। এরপর, শেয়ার কেনাবেচার মতই আপনি ETF ও ক্রয় করতে পারবেন। শেয়ার ক্রয় করার আগে যেই রকম নিখুঁত রিসার্চ করা প্রয়োজন সে রকম ETF কেনার ক্ষেত্রেও প্রথমে রিসার্চ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, গ্রাহক যত ভালো রিসার্চ করে ভিডিও করবেন সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে রিটার্নের পরিমাণও বেশি হবে। ETF Fund এও গ্রাহকেরা ট্রেড করতে পারবেন, সেক্ষেত্রে ঝুঁকির পরিমাণ খানিকটা কম থাকে।

ETF এ বিনিয়োগের সুবিধা

1) ETF পরিচালনা করার জন্য যে ফি প্রয়োজন তা মিউচুয়াল ফান্ড বা ইনডেক্স ফান্ডের তুলনায় অনেক কম।
2) কিছু কিছু বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ETF Fund এ ট্যাক্সে ছাড়া পাওয়া যায়।
3) ETF এ বিনিয়োগের মাধ্যমে একাধিক কোম্পানিতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন ফলে ঝুঁকির পরিমাণ অনেকটা কমে যাবে।

ফ্রিতে 5 লাখ টাকার স্বাস্থ্য বীমা কিভাবে পাবেন?

4) কিছু ETF নিয়মিত ডিফিডেন্ট প্রদান করে ফলে নিয়মিত আয়ের সুযোগ পাবেন।
5) শেয়ার ক্রয় বিক্রয়ের মতোই ETF Fund ক্রয় বিক্রয় খুব সহজেই করতে পারবেন।
6) দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়াদের ক্ষেত্রে স্বল্প ঝুঁকিতে খুব ভালো রিটার্ন পাওয়া যায়।
Written by Sampriti Bose