কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন ঘোষণায় দারুণ খুশি হতে চলেছেন দেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষ। এখন থেকে e-Shram Card নামক নতুন এক জনকল্যাণমূলক পরিষেবার অধীনে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে পাবেন দেশের অসংখ্য বেকার যুবক যুবতী ও অস্থায়ী শ্রমিকরা। দেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কিছু স্কিম চালু করেছে। যাদের মধ্যে অন্যতম হলো ই-শ্রম কার্ড স্কিম (E Shram Card Scheme).
e-Shram Card Registration Process to Get 3000.
দেশের সমস্ত শ্রমিক শ্রেণী এই প্রকল্পের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। এই প্রকল্পের অধীনে, প্রতি মাসে সুবিধাভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। সুত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশের ২০ কোটি মানুষের নাম এই e-Shram Card নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং দেশের ২ কোটি শ্রমজীবী মানুষ ইতিমধ্যেই এই কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিষেবা গুলির সুবিধা পাচ্ছেন।
ই শ্রম কার্ড ২০২৪
এখন যেমন আধার কার্ড ছাড়া ব্যাংক বা পোস্ট অফিসের কোনো পরিষেবা চলবে না ঠিক তেমনি কেন্দ্র সরকার অসংগঠিত ক্ষেত্রে যে সমস্ত কর্মীরা কাজ করেন তাদের কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প গুলির সুবিধা বরাদ্দ রয়েছে ওই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে এই ই শ্রম কার্ডে (e-Shram Card) নাম লেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
ই-শ্রম কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা
1) আর্থিক সাহায্য – গ্রাহকেরা সরকারের কাছ থেকে মাসে ৩০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পেতে পারেন।
2) সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পের সুবিধা – গ্রাহকেরা বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পে অ্যাক্সেস পান।
3) আরও কাজের সুযোগ – এটি গ্রাহককে আরও কাজের সুযোগ খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে।
4) ১ বছরের জন্য প্রিমিয়াম মুকুব – গ্রাহককে ১ বছরের জন্য বীমা প্রিমিয়াম দিতে হবে না (e-Shram Card).
5) অভিবাসী কর্মীদের ট্র্যাকিং – সরকার আরও ভালো সহায়তা প্রদানের জন্য অভিবাসী শ্রমিকদের ট্র্যাক রাখতে পারে।
6) দুর্ঘটনা বীমা – গ্রাহক মারা গেলে বা দুর্ঘটনায় সম্পূর্ণরূপে অক্ষম হলে তিনি ২ লাখ টাকা পাবেন।
7) আংশিক অক্ষমতা বীমা – গ্রাহক যদি দুর্ঘটনায় আংশিকভাবে অক্ষম হন তবে তিনি ১ লাখ টাকা পাবেন।
8) জরুরী সহায়তা – জরুরী অবস্থা বা মহামারীর মতো জাতীয় সংকটের সময়, সরকার যোগ্য অসংগঠিত শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্য ডাটাবেস ব্যবহার করতে পারে।
ই-শ্রম কার্ডের যোগ্যতা
- অসংগঠিত ক্ষেত্রের যে কোনও কর্মী আবেদন করতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে অভিবাসী শ্রমিক, গিগ কর্মী, প্ল্যাটফর্ম কর্মী এবং MGNREGA প্রকল্পের অধীনে কাজ করা লোকেরা (e-Shram Card).
- শ্রমিকের বয়স ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- আবেদনকারী এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন EPFO বা এমপ্লয়িজ স্টেট ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন ESIC – এর সদস্য হলে চলবে না।
- শ্রমিকদের করদাতা হলে চলবে না।
ই-শ্রম কার্ড আবেদনের নথিপত্র
1) আধার কার্ড।
2) ব্যাঙ্ক পাসবুক।
3) রেশন কার্ড।
4) বিদ্যুৎ বিল।
5) মোবাইল নম্বর, যা আধারের সঙ্গে লিংক করা আছে।
ই-শ্রম কার্ড অনলাইন আবেদন
1) আবেদনকারীকে প্রথমে ই-শ্রম পোর্টালের (e-Shram Card Portal) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
2) এর হোম পেজে গিয়ে বিকল্পে ক্লিক করলে রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম খুলে যাবে। এই পেজে আবেদনকারীর আধার লিঙ্কড মোবাইল নাম্বার, ক্যাপচা কোড, ইপিএফও এবং ইএসআইসি মেম্বার স্ট্যাটাস নির্বাচন করতে হবে।
3) এখন আবেদনকারী মোবাইল নাম্বারে ওটিপি পাঠানোর জন্য সেন্ড ওটিপি বিকল্পে ক্লিক করতে হবে। এরপর, আবেদনকারীকে তার মোবাইল নাম্বারে পাঠানো ওটিপিটি লিখতে হবে।
4) এখন আবেদন ফর্মটিকে সম্পূর্ন পূরণ করতে হবে যেখানে আবেদনকারীকে নাম, ঠিকানা, বয়স, স্যালারি লিখতে হবে।
5) ফর্ম সম্পূর্ন পূরণ করার পর গ্রাহককে এর সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসও আপলোড করতে হবে।
6) এরপর সাবমিট বিকল্পে ক্লিক করলেই শ্রম কার্ড রেজিস্ট্রেশন (e-Shram Card Registration) প্রক্রিয়া সফলভাবে পাঠানো হয়ে গেছে বলে দেখানো হবে।
e-Shram Card Online Apply on CSC Center
1) সিএসসি তে যান – নিকটস্থ সিএসসি কেন্দ্র খুঁজে বের করে সেখানে যেতে হবে।
2) আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে – সিএসসি কর্মী থেকে ই-শ্রম কার্ডের আবেদন ফর্ম নিতে হবে এবং সেটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
3) ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে – প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি অর্থাৎ আধার কার্ড, আয়ের শংসাপত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পাস বুক সিএসসি কর্মীর কাছে জমা দিতে হবে।
4) কার্ড প্রাপ্তি – সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর পিএসসি থেকে ই-শ্রম কার্ডটি সংগ্রহ করুন।
Jio এবার লাইনে আসলো! BSNL গ্রাহক টানতেই 199 টাকার প্ল্যান ফিরিয়ে আনা হল
ই-শ্রম কার্ড স্ট্যাটাস চেক
1) যারা ই-শ্রম কার্ডের (e-Shram Card Status Check) সুবিধা নিচ্ছেন, তাঁরা স্কিমে ব্যালেন্সের বিশদ বিবরণ পরীক্ষা করতে প্রথমে তাদের স্কিমের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
2) এরপর তাদের সামনে একটি নতুন পেজ খুলবে, এখানে তারা মোবাইল নম্বর লিখে এবং “Search” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
3) এরপরেই ব্যক্তিগত বিবরণ সহ গ্রাহকের ব্যালেন্স নতুন পেজে দৃশ্যমান হবে। এভাবেই উক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে অতি দ্রুত ই শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন (e-Shram Card Apply) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা উচিত দেশের বেকার যুবক যুবতী ও অসংগঠিত শ্রমিকদের।
Written by Sampriti Bose.