3000 টাকা দেওয়া হবে! E Shram Card নিয়ে মাসের শুরুতেই সরকারের বড় সিদ্ধান্ত

দেশের অসংখ্য অস্থায়ী ব্যক্তিদের জন্য বড়ো ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় সরকার। E Shram Card প্রকল্পের অধীনে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে পাবেন দেশের অসংখ্য বেকার যুবক যুবতী ও অস্থায়ী শ্রমিকরা‌। অনলাইন কিংবা অফলাইনের মাধ্যমে করা যাবে আবেদন। দেশের অসংখ্য বেকার যুবক যুবতীদের জন্য এটি এক অত্যন্ত সুখবর বলা যায়।

E Shram Card Online Apply 2024.

বর্তমানে ভারতে বিভিন্ন অসংগঠিত ক্ষেত্রে প্রায় ৪০ কোটিরও বেশি মানুষ কাজ করেন। দৈনিক পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজ করা এই সব মানুষরা এক দিন কাজে অনুপস্থিত থাকলেই তাদের সংসারে আর্থিক অনটন দেখা দেয় । এই রকম নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্র সরকার E Shram Card ব্যবস্থা করেছে। দেশের ২০ কোটি মানুষের নাম এই ই শ্রম কার্ডে নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং দেশের ২ কোটি শ্রমজীবী মানুষ ইতিমধ্যেই এই কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিষেবা গুলির সুবিধা পাচ্ছেন।

ই শ্রম কার্ড 2024 রেজিস্ট্রেশন

এখন যেমন আধার কার্ড ছাড়া ব্যাংক বা পোস্ট অফিসের কোনো পরিষেবা চলবে না ঠিক তেমনি কেন্দ্র সরকার অসংগঠিত ক্ষেত্রে যে সমস্ত কর্মীরা কাজ করেন অর্থাৎ কৃষক, শ্রমিক, লেবার, টোটো, অটো চালক, ড্রাইভার, কন্ডাকটর, নির্মাণ কর্মী, প্রাইভেট টিচার, আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, রিকশা চালক, রাস্তার বিক্রেতা, মিড ডে মিল খাবার শ্রমিক।

ই শ্রম কার্ডের জন্য নিবন্ধন করুন

হেড লোডারস, ইট ভাটা শ্রমিক, মুচি, রাগ বাছাইকারী, গৃহ কর্মী, ওয়াশার পুরুষ, গৃহ ভিত্তিক কর্মী, নিজস্ব হিসাব কর্মী, কৃষি শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, বিড়ি শ্রমিক, তাঁত শ্রমিক, চামড়া শ্রমিক, অডিও ভিজ্যুয়াল শ্রমিক বা অনুরূপ অন্যান্য পেশায় যুক্ত শ্রমিক থেকে শুরু করে প্রায় সমস্ত অসংগঠিত শ্রমিকেরা এখানে E Shram Card আবেদন করতে পারবেন।

E Shram Card এর সুবিধা কারা পাবে?

1) অসংগঠিত ক্ষেত্রে যারা কাজ করেন, তারা ই শ্রম কার্ডে নাম লেখাতে পারবেন।
2) আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে।
3) সরকারি কোন পেনশন স্কিমের সুবিধা পাচ্ছেন এমন ব্যক্তিরা এই কার্ডে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না।

E Shram Card অনলাইন আবেদন ডকুমেন্ট

  • আবেদনকারীর নিজস্ব আধার কার্ড।
  • আবেদনকারীর নিজস্ব নামে থাকা ব্যাংক একাউন্টের কপি।
  • আবেদনকারীর নিজস্ব মোবাইল নম্বর।

ই শ্রম কার্ডের সুবিধা কারা পাবেন?

1) অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করা E Shram Card থাকা কর্মীরা, ষাট বছর বয়সের পর মাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন পেতে পারেন।
2) কর্মরত অবস্থায় কোনো অ্যাক্সিডেন্টের ফলে যদি ব্যক্তিটির অঙ্গহানি হয় বা পঙ্গু হয়ে যান, সেক্ষেত্রে তার পরিবার এক লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান পেতে পারবেন।
3) যদি ই শ্রম কার্ডে নাম নথিভুক্ত থাকা ব্যক্তিটি হঠাৎ মারা যান তবে তার পরিবার দু লক্ষ টাকার বীমার সাহায্য পাবেন।

ই শ্রম কার্ড সুবিধা

E Shram Card নাম নথিভুক্ত থাকলে তবেই একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের (Social Security Scheme) সুবিধা উপভোগ করতে পারবে ওই কর্মীরা। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বিমা, আয়ুষ্মান ভারত (PM-JAY), কৃষকদের সাহায্য ইত্যাদি পেতে গেলেও ই শ্রম কার্ডে নাম নথিভুক্ত করতে হবে।

ই-শ্রম কার্ড অনলাইনে আবেদন

1) আবেদনকারীকে প্রথমে E Shram Card Portal অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
2) এর হোম পেজে গিয়ে বিকল্পে ক্লিক করলে রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম খুলে যাবে। এই পেজে আবেদনকারীর আধার লিঙ্কড মোবাইল নাম্বার, ক্যাপচা কোড, ইপিএফও এবং ইএসআইসি মেম্বার স্ট্যাটাস নির্বাচন করুন।
3) এখন আবেদনকারী মোবাইল নাম্বারে ওটিপি পাঠানোর জন্য সেন্ড ওটিপি বিকল্পে ক্লিক করতে হবে। এরপর, আবেদনকারীকে তার মোবাইল নাম্বারে পাঠানো ওটিপিটি লিখতে হবে।

Lakshmir Bhandar (লক্ষ্মীর ভাণ্ডার)

4) এখন আবেদন ফর্মটিকে সম্পূর্ন পূরণ করতে হবে যেখানে আবেদনকারীকে নাম, ঠিকানা, বয়স, স্যালারি লিখতে হবে।
5) ফর্ম সম্পূর্ন পূরণ করার পর গ্রাহককে এর সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসও আপলোড করতে হবে।
6) এরপর সাবমিট বিকল্পে ক্লিক করলেই শ্রম কার্ড রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সফলভাবে পাঠানো হয়ে গেছে বলে দেখানো হবে।

জুলাই মাসে রেশনে চমক। কোন কার্ডে কত কিলো রেশন সামগ্রী পাবেন?

ই শ্রম কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা অফলাইন আবেদন

1) নিকটস্থ CSC কেন্দ্র খুঁজে বের করে সেখানে যেতে হবে।
2) সিএসসি কর্মী থেকে E Shram Card আবেদন ফর্ম নিতে হবে এবং সেটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
3) প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি অর্থাৎ আধার কার্ড, আয়ের শংসা পত্র, ব্যাংক একাউন্ট পাস বুক সিএসসি কর্মীর কাছে জমা দিতে হবে।
4) সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর পিএসসি থেকে E Shram Card টি সংগ্রহ করুন।
Written by Sampriti Bose.

Leave a Comment