High Speed Internet বা উচ্চ গতির ইন্টারনেট এর যুগে আমরা অনেকদিন আগেই পদার্পণ করেছি। আর বর্তমান সময়ে এই ইন্টারনেট ছাড়া আমরা কোন কাজই করতে পারব না। পশ্চিমবঙ্গের স্কুল গুলির ক্ষেত্রে এবার বড়ো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য শিক্ষা দফতর (WB Education Department). অনলাইনে পড়াশোনার (Online Education) ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা পেতে চলেছে বড়ো সুযোগ। এবার থেকে রাজ্যের সব স্কুলে পাওয়া যাবে হাই স্পীড ইন্টারনেট পরিষেবা।
High Speed Internet In All West Bengal Schools.
নতুন বছরে রাজ্যের প্রায় প্রতিটা স্কুলেই শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ (Academic Year 2024). এখন অফলাইনেই ক্লাস হচ্ছে সর্বত্র। তবে, করোনাকালীন (Corona Virus) সময়ে যখন রাজ্যের স্কুল, কলেজ বন্ধ ছিল তখন একমাত্র ভরসা ছিল অনলাইন ক্লাস অর্থাৎ ইন্টারনেটের (High Speed Internet) মাধ্যমেই চলেছে পড়াশোনা। তবে অতিমারি পরিস্থিতি কেটে গিয়ে স্কুলে পঠন পাঠন প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখনও স্কুলের বহু কাজের একমাত্র উপায় হলো ইন্টারনেট (High Speed Internet).
কিন্তু বহু ক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয় গুলিতে ইন্টারনেট চলে না ঠিক ভাবে। নিম্নমানের ইন্টারনেট স্পীডে (Internet Speed) স্কুলের বহুকাজে সমস্যা তৈরি হয় পড়ুয়াদের। বর্তমানে বাংলা শিক্ষা পোর্টালের (Bangla Shiksha Portal) মাধ্যমে স্কুল গুলি নিয়ন্ত্রিত হয়। শিক্ষা দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, পড়ুয়াদের নম্বর এই পোর্টালে আপলোড করতে হয়। আর তার জন্য প্রয়োজন ইন্টারনেট (High Speed Internet).
কিন্তু অনেক সময় নেটের সমস্যার জন্য খুব ধীর গতিতে কাজ সম্পন্ন হয় বলে অভিযোগ ওঠে প্রায়শই। এমতাবস্থায় স্কুল গুলির ইন্টারনেট পরিষেবাকে (High Speed Internet) উন্নত করতে নয়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে শিক্ষা দপ্তর (Education Department). মূলত সমস্ত পরিস্থিতি মাথায় রেখে এবার হাই স্পীড ইন্টারনেট পরিষেবা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই ওয়েবেলকে (WEBEL) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাওয়া নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী দুই মাসের মধ্যেই ইন্টারনেট কানেকশন লাগানোর কাজ শেষ করতে হবে। জানা গিয়েছে যে এই নেট কানেকশন গুলো ৩৯ মাসের জন্য থাকবে। ওয়েবেল প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক সব বিদ্যালয়ে হাই স্পীড ইন্টারনেটের (High Speed Internet) কানেকশন বসাবে। রাজ্যের প্রতিটা স্কুলের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে গৃহীত এই নয়া পদক্ষেপটির ফলে পড়ুয়াদের পাশাপাশি স্কুলের সকল শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারীদেরও সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Written by Sampriti Bose.