আধার কার্ডের ক্ষেত্রে ভারত সরকারের নয়া সংযোজন নীল আধার কার্ড বা Blue Aadhaar Card. বর্তমানে আধার কার্ড না থাকলে একাধিক সরকারী সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয় দেশের সাধারণ জনগণকে। কারন বর্তমানে সরকারি প্রকল্পের ভর্তুকি থেকে শুরু করে সরকারী ও বেসরকারি পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্ত কিছুই আধার নম্বরের মাধ্যমে দেওয়া হয়। তাই আধার কার্ড করার ব্যাপারে একাধিক পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই গৃহীত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
Blue Aadhaar Card Apply Process Online.
তবে, সম্প্রতি নতুন Blue Aadhaar Card নিয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার Government Of India. বর্তমানে দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি অপ্রাপ্তবয়স্ক বা বাচ্চাদের জন্যও আধার কার্ড বানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সর্বপ্রথম তৈরি করা হয় এই কার্ড। এর নীল রঙের নকশাও প্রস্তুত করা হয়েছিল তখনই। আগে যখন Blue Aadhaar Card প্রথম চালু হয়েছিল তখন শিশুদের জন্য এই কার্ড করানোর ব্যবস্থা ছিল না। তাই তখন শিশুদের কোন কাজেই দরকার পড়তো না এই কার্ড।
কিন্তু এখন থেকে কোনো বাচ্চার যদি নিজস্ব একটি বাল্য আধার কার্ড বা Blue Aadhaar Card না থাকে তবে তাকে স্কুলে ভর্তি করার সময়ে বিপাকে পড়তে হবে। এক্ষেত্রে শিশুদের জন্য বাড়িতে বসেই আধার কার্ড আবেদন করা যেতে পারে। দেশের সকল মাতা পিতাদের উচিত যে তাদের বাচ্চাদের এই Blue Aadhaar Card করে নেওয়া। বাল্য আধার কার্ডের আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় নথি হল।
- শিশুর জন্ম প্রমাণপত্র বা বার্থ সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- শিশুর বাবা ও মায়ের আধার কার্ড বা অন্য কোনও বৈধ সরকারি আইডি প্রুফ যেমন – প্যান কার্ড, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
- শিশুর অভিভাবকের অ্যাড্রেস প্রুফ হিসাবে – বিদ্যুৎ বিল, জলের বিল বা টেলিফোন বিল থাকতে হবে।
- সর্বোপরি বাচ্চাটির একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি থাকতে হবে। Blue Aadhaar Card এর আবেদন করার পদ্ধতি।
1) Blue Aadhaar Card আবেদন করার জন্য প্রথমেই UIDAI এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে www.uidai.gov.in এ যেতে হবে।
2) এখানে ‘আধার কার্ড রেজিস্ট্রেশন লিঙ্ক’ লেখা বিকল্প নজরে পড়বে, এতে ক্লিক করতে হবে।
3) এবার সন্তানের নাম, পিতা-মাতার নাম সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চাওয়া হবে, এগুলি এন্টার করতে হবে।
4) এই সাথে আধার এনরোলমেন্ট ফর্মও পূরণ করতে হবে। এখানে শিশুর ঠিকানা, এলাকা, জেলা/শহর, রাজ্য ইত্যাদি তথ্য জানতে চাওয়া হবে।
5) এরপর ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ লেখা বাটনে ক্লিক করতে হবে এবং Blue Aadhaar Card তৈরির জন্য সময়সূচী নির্বাচন করতে হবে। এক্ষেত্রে নিকটবর্তী এনরোলমেন্ট সেন্টারকেও বেছে নেওয়ার বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে।
অনলাইনে আবেদনের কাজ এখানেই শেষ। এবার নির্দিষ্ট তারিখে নির্বাচিত এনরোলমেন্ট সেন্টারে যেতে হবে।এনরোলমেন্ট সেন্টারে যাওয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ।
- সেন্টারে গিয়ে, উপরে উল্লেখিত জরুরি ডকুমেন্ট গুলি জমা দিতে হবে। একই সাথে একটি রেফারেন্স নম্বরও নিজের সাথে বহন করতে হবে।
- এরপর, প্রদত্ত সমস্ত নথিপত্র এনরোলমেন্ট সেন্টারে ভ্যারিফাই করে দেখা হবে।
- আবেদনকারীর বয়স ৫ বছরের কম হলে শুধুমাত্র তার ছবি নেওয়া হবে। আর ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের বায়োমেট্রিক ডেটা নেওয়া হবে।
- উল্লেখিত যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে, আবেদনকারীর অভিভাবককে একটি একনলেজমেন্ট নম্বর দেওয়া হবে। এই নম্বর ব্যবহার করে Blue Aadhaar Card অ্যাপ্লিকেশনের স্ট্যাটাস জানতে পারবেন।
Lakshmir Bhandar – লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা এখনো ঢোকেনি নভেম্বরে? আসল কারণ জেনে নিন।
পরিশেষে, আবেদন করার ৬০ দিন পর নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে এসএমএস পাঠানো হবে। আর এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়ার ৯০ দিনের মধ্যে বাল আধার কার্ড আপনার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ভারত সরকারের নয়া পদক্ষেপে বাড়ি বসেই বাল বা ব্লু আধার কার্ডের আবেদন করার সুবিধা থাকায় উপরে উল্লেখিত পদক্ষেপ গুলি অনুযায়ী সকল অভিভাবকদের তাদের শিশুর জন্য Blue Aadhaar Card তৈরি করে নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Written by সম্প্রীতি বোস।