Indian Currency বা ভারতীয় মুদ্রা ৫০০ টাকার নোট (500 Rupees Note) নিয়ে ফের কিছুদিন ধরে একটি খবর আমাদের চারিপাশে ঘোরাফেরা করছে। এবার সামনে এলো নতুন তথ্য। এখন থেকে আর নোটের (Indian Currency) মধ্যে কালো রঙের দাগ দেখে দুশ্চিন্তা করতে হবে না দেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষকে। কারণ সম্প্রতি জানা গেল নোটের মধ্যে কালো রঙের দাগ থাকার কারণগুলি।
Check Real And Fake Indian Currency.
বর্তমানে দৈনন্দিন জীবন চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো মুদ্রা। মুদ্রা ছাড়া যেন সব কিছুই অচল। যে কোনো ছোট খাটো লেনদেন থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যবসা বাণিজ্য করার ক্ষেত্রেও মুদ্রা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। এক সময় প্রায় সমগ্র বিশ্বেই বিভিন্ন ধাতুর মুদ্রা যেমন রৌপ মুদ্রা, স্বর্ণ মুদ্রার প্রচলন ছিল। তবে আজ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই কাগজী মুদ্রার প্রচলন রয়েছে (Indian Currency).
বিভিন্ন দেশে মুদ্রার মূল্য থেকে শুরু করে মুদ্রার ধরন সব কিছুই এখন আলাদা হয়ে থাকে। পাশাপাশি, বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে মুদ্রার নামও বিভিন্ন হয়ে থাকে। ভারতের ক্ষেএে এই মুদ্রার নাম হলো রুপী (Indian Currency). বর্তমানে দুই ধরণের মুদ্রার প্রচলন রয়েছে। যেমন কয়েন এবং নোট। বাজারে ১ রুপি, ২ রুপি, ৫ রুপি, ১০ রুপি ইত্যাদি কয়েন যেমন পাওয়া যায়। তেমনই ১০ টাকা, ২০০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকার নোটের প্রচলন রয়েছে।
আর এই টাকার নোটের (Indian Currency) মধ্যেই অনেক সময় কালো ছোপ দেখতে পাওয়া যায়। আর এই কালো ছোপের জন্য অনেকেই সেই নোট গুলিকে অচল নোট বলে ভেবে নেয়। মূলত ভারতীয় নোটের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে। ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ২০০ টাকা কিংবা ৫০০ টাকার নোট দিয়ে লেনদেন করার সময় অনেকেই খেয়াল করেছেন নোটের দুই দিকে কিছু তির্যক রেখা বা লাইন থাকে।
মূলত নোটের দুই পাশে থাকা এই তির্যক রেখাকে ‘ব্লিড লাইন’ বলা হয়। কিন্তু কেন এই ব্লিড লাইন গুলি নোটে দেওয়া হয়, তা অনেকেই জানেন না। এই ব্লিড লাইন আসলে ব্রেইল পদ্ধতিতে বানানো। এই লাইন গুলি অন্ধ ব্যাক্তিদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই লাইন স্পর্শ করে যাতে অন্ধ ব্যাক্তিরা সহজেই নোটকে চিহ্নিত করতে পারে, সে জন্য এই বিশেষ পদ্ধতি বা রেখা ভারতীয় নোটে (Indian Currency) দেখতে পাওয়া যায়।
৫০০ টাকার জাল নোট কিভাবে চিনবেন?
কোন বছরে Indian Currency বা নোটটি ছাপানো হয়েছে সেই সম্পর্কে নোটে লেখা থাকে। অশোক স্তম্ভ আর স্বচ্ছ ভারতের একটি লোগো আপনারা দেখতে পেয়ে যাবেন। দেবনাগরী হরফে ৫০০ টাকা লেখা দেখা যায়। রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI) লোগো আর গভর্নরের হস্তাক্ষর দেখতে পাওয়া যায়। মূলত ভারতের পুরানো ১০০, ৫০০, ১০০০ টাকার নোট গুলিতেও ব্রেইল মার্ক দেওয়া থাকতো।
২০১৬ সালের পর ভারতের বাজারে যে নতুন নোট আনা হয়, সেখানে ব্লিড লাইন দেওয়া শুরু হয়েছে। ১০০ টাকার নোটে ৪টি লাইন, ২০০ টাকার নোটে ৪টি লাইনের মাঝে দুটি শূন্য, একই ভাবে ৫০০ টাকার নোটে ৫টি লাইন বর্তমান। অন্ধ ব্যাক্তি এই লাইন গুলি আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করে নোট সহজেই চিহ্নিত করতে পারে। পাশাপাশি, এই দাগ গুলো থেকে যেকোনো গ্রাহকই জাল নোট (Fake Indian Currency) শনাক্ত করতে পারবেন।
সরকারি কর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ। ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের বড় পদক্ষেপ।
তাই এখন থেকে আর কালো ছোপ যুক্ত নোটকে অচল নোট ভেবে ভুল করবেন না দেশের সাধারণ জনগণেরা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। আর ওপরে উল্লেখিত সকল জিনিস গুলি মনে রাখলে আপনারা খুবই সহজে শুধুমাত্র ৫০০ টাকা নয় ২০০ টাকা (200 Rupees Note), ১০০ টাকা (100 Rupees Note) এছাড়াও বাকি সকল নোট আসল না নকল সেই সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
Written by Sampriti Bose.