পুরনো এই 20 টাকার নোট ঘরে থাকলে সুবর্ণ সুযোগ, সঠিক জায়গায় বিক্রি করে লাখ টাকা রোজগার করুন।

ভারত স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭২ সালে RBI এর তরফে প্রথমবারের জন্য 20 টাকার নোট এর প্রচলন সমগ্র দেশে চালু করা হয়। কিন্তু এখন ২০১৭ সাল থেকে নতুন গান্ধীজীর ছবি দেওয়া নোট সার্কুলেশনে আছে। কিন্তু আজকে আমরা ১৯৭২ সালের থেকেও পুরনো নোট সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি। যেই নোট সঠিক জায়গায় বিক্রি করার মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা রোজগার করা সম্ভব।

20 টাকার নোট থাকলে এই খবর আপনার জানার উচিত।

চাকরিজীবী হোক বা ব্যবসায়ী সকলেই নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত থাকে। কিন্তু বর্তমানে রোজগার করা বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন কাজ গুলির মধ্যে অন্যতম। সেই জন্য নানান সময়ে ইন্টারনেট বা সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা 20 টাকার নোট বিক্রি করে লাখপতি হয়ে যান। এই কথা যারা বিশ্বাস করেন তাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি তাদের জন্য। ১০ ই নভেম্বর ২০১৬ থেকে ভারত সরকারের তরফে সম্পূর্ণ নতুন 20 টাকার নোট চালু করা হয়েছে।

Lakshmir Bhandar – লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নতুন নিয়ম ঘোষণা, অনিয়ম করলেই টাকা পাওয়া বন্ধ।

হ্যাঁ, এই কথাটি সঠিক যে পুরনো নোট ও কয়েন বিক্রি করে টাকা উপার্জন করা যায়, অনেকে এই পদ্ধতি অবলম্বন করেও টাকা রোজগার করেছেন। কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই সকলে প্রতারণা চক্রের জালিয়াতির শিকার হন। সমগ্র দেশে 20 টাকার নোট অনেক আছে, তাহলে কি সব নোট বিক্রি করে লাখপতি হওয়া সম্ভব? না নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যা, সাল ও ছবির নোট বিক্রি করা সম্ভব।

কোন ধরণের 20 টাকার নোট বিক্রি করা সম্ভবঃ-
১) ব্রিটিশ আমলের সময়কার 20 টাকার নোট থাকলে সেটা বিক্রি করা সম্ভব।
২) ১৯৪৩ সালে প্রিন্ট হওয়া নোট।
৩) নৌকোর ছবি দেওয়া নোট।

৪) হরিণ ও গান্ধীজীর বসে থাকা নোট বিক্রি যোগ্য।
৫) এছাড়াও সবচেয়ে বেশি ৭৮৬ লেখা 20 টাকার নোট চাহিদা সব সময় বেশি হয়। এই ধরণের নোট বিক্রি করে অনেকে ৫ লক্ষের বেশি টাকা রোজগার করেছেন।
৬) শুধু নোট নয় কয়েনও আপনি বিক্রি করতে পারবেন।

৭) ইংরেজ আমলের কয়েন বা কিছু মহাপুরুষের ছবি দেওয়া কয়েন ভালো দামে বিক্রি হয়।
৮) রাজনৈতিক কোন ব্যাক্তির ছবি দেওয়া কয়েনের গুরুত্বও অনেক।
কিভাবে বিক্রি করবেন এই নোট ও কয়েনঃ-
১) এই সকল নোট ও কয়েন অনলাইনের মাধ্যমেই বিক্রি করা সম্ভব।

২) কিছু বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখ করা হল।
৩) Olx, Quikr, E bay, Coinbazaar এছাড়াও সার্চ করলে আপনারা অনেক ওয়েবসাইট ও অ্যাপের খোঁজ পেয়ে যাবেন।
৪) এই সকল অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে রেজিস্টার করতে হবে।

৫) নিজের নাম, বয়স, মোবাইল নম্বর, ই মেল দিয়ে দিতে হবে।
৬) নিজের কাছে থাকা পুরনো নোট বা কয়েনের ছবি তুলে আপলোড করে দিতে হবে।
৭) সেই সংস্থা থেকে আপনাকে ফোন বা মেসেজ করে যোগাযোগ করা হবে।
পুরনো নোট ও কয়েন বিক্রির ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতাঃ-

১) বিক্রি করার আগে কেউ যদি টাকা দাবি করে তাহলে সেই ওয়েবসাইট বা অ্যাপের ওপর ভরসা করবেন না।
২) RBI এই ধরণের কোন কেনা বেচা করে না। কেউ আর বি আই এর নাম করে আপনাকে ঠকাতে পারে।

৩) সম্পূর্ণ সতর্ক হয়ে এই ধরণের নোট ও কয়েন বিক্রি করবেন।
৪) PB Tech News এর সদস্যরা এই ধরণের কোন বিষয়কে সমর্থন করে না।
৫) আমাদের কাজ জনগণকে এই সকল প্রতারণাচক্র সম্পর্কে সচেতন করা।

Gold Price – কলকাতায় আরও কমে গেল সোনার দাম, দাম বাড়ার আগে ঝটপট কিনে নিন।

আজকের এই আলোচনা সম্পর্কে নিজের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন, সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ।

Leave a Comment