হোয়াটসঅ্যাপ থাকলেই ফোন হ্যাক করা সম্ভব, হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে নতুন দাবি টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতার।

আপনি কি প্রয়োজনের খাতির হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন? আপনি কি জানেন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আপনার সম্পূর্ণ ফোনটি হ্যাক করা যেতে পারে? যদি না জেনে থাকেন তবে এই খবরটি আপনার জন্য। ইতিপূর্বে বারংবার হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি দিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছিলো বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে। তবে এবারে হোয়াটসঅ্যাপকে নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর দাবি করা হলো টেলিগ্রামের পক্ষ থেকে। আর এই দাবি করেছেন স্বয়ং টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভ। তবে অনেকেই এখনও জানেন না সর্বসমক্ষে ঠিক কি দাবি করেছেন পাভেল দুরভ, অন্যদিকে টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতার এই দাবি নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে কি বলা হয়েছে। আর তাই আজ আমরা এই পোস্টে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করতে চলেছি।

চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক হোয়াটসঅ্যাপ সম্পর্কিত ঠিক কি দাবি করেছেন টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভ ?
হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে দুরভের মন্তব্য প্রকাশ এই প্রথম নয়। ইতিপূর্বেও তিনি হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন গলদ নিয়ে বারংবার মন্তব্য করেছেন। এর আগে ২০১৯ সালে পাভেল দুরভ নেটিজেনদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন যে, তারা যেনো হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা বন্ধ করেন। এর পাশাপাশি তিনি আরো জানিয়েছিলেন, নিজেদের সমস্ত তথ্য গোপন রাখতে হোয়াটসঅ্যাপ ডিলিট করা অবশ্য প্রয়োজনীয়। এমনকী ২০২১ সালে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন নীতি নিয়েও সরব হতে দেখা গিয়েছিলো টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতাকে। সেই সময় তিনি দাবি করেছিলেন যে, হোয়াটসঅ্যাপে নতুন নিয়মের ফলে হোয়াটসঅ্যাপের সমস্ত তথ্য ফেসবুকের হাতে চলে যাবে যার কারণে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীকে।

তবে এবারে আর কোনো আবেদন নয় টেলিগ্রামের একটি পোস্টের মাধ্যমে পাভেল দূরভ দাবি জানিয়েছেন, বিগত সপ্তাহে হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকেই নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কথা জানানো হয়েছিলো নেটিজেনদের। আর এরূপ নিরাপত্তাহীনতার আবহে তিনি সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পরামর্শ দিয়েছেন তারা যাতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার না করেন। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন যে, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে একটি ভাইরাস ভিডিও পাঠিয়ে কিংবা ভিডিও চ্যাটে কথা বলে যেকোনো ব্যক্তি আপনার ফোনকে হ্যাক করে নিতে পারেন। তিনি দাবি জানিয়েছেন যে, ঠিক একইরকম সমস্যার সম্মুখীন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের হতে হয়েছিলো ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সালেও। এমনকী ২০১৭ সালে যখন হোয়াটসঅ্যাপের কোনরকম এনক্রিপশন ছিলো না তখনও এইরূপ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিলো। এমনকী তিনি এও দাবি করেছেন যে, হোয়াটসঅ্যাপ রীতিমতো একটি নজরদারি এক হিসেবে কাজ করছে বিগত ১৩ বছর ধরে।

কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে DA সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো, কতো শতাংশ বৃদ্ধি পাবে ডিএ জেনে নিন

যদিও নেটিজেনদের একাংশের মতে কেবলমাত্র টেলিগ্রামের প্রচারের কারণেই পাভেল দুরভ হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এরূপ মন্তব্য করেছেন। তবে এ বিষয়ে পাভেল দুরভ জানিয়েছেন যে, টেলিগ্রামের প্রায় ৭০০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। এর পাশাপাশি প্রতিদিন নতুন করে প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষ টেলিগ্রাম ডাউনলোড করছেন। তিনি কেবলমাত্র সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সতর্কতার খাতিরেই এই মন্তব্য করেছেন এবং সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে, তারা মেসেজ করার জন্য যেকোনো অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা মোটেই নিরাপদ নয়।

ইতিপূর্বে হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে নানান রকম বিতর্ক হলে হোয়াটসঅ্যাপের কর্তৃপক্ষের তরফে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের এ সম্পর্কে সমস্ত বিস্তারিত তথ্য জানাতে দেখা গিয়েছিলো। এমনকী তাদের প্রাইভেসি পলিসিতেও খানিকটা বদল আনা হয়েছিলো। তবে বর্তমানে টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতার এই চাঞ্চল্যকর দাবি নিয়ে কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হয়নি হোয়াটসঅ্যাপের কর্তৃপক্ষের তরফে।

Leave a Comment