রাজ্য সরকারের সকল জনহিতকর প্রকল্প গুলির মধ্যে Lakshmir Bhandar অন্যতম। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের সূচনা করেন। এর অন্তর্গত রাজ্যের ২৫ – ৬০ বছর বয়সি সকল মহিলাদের মাসিক আর্থিক সাহায্য করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু বাজেট ঘোষণা চলাকালীন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন।
Lakshmir Bhandar প্রকল্পের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখে নিন।
অর্থমন্ত্রীর কথা অনুসারে এখন থেকে Lakshmir Bhandar প্রকল্পের অধীনে ৬০ বছরের ওপরে সকল মহিলারাও টাকা পাবেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অন্তর্গত সকল সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা মাসে ৫০০ টাকা ও তফসিলি জাতির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পাবেন। কিন্তু এর পরে পুনরায় সকলকে বার্ধক্য ভাতার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হত।
এই নিয়মের পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে ২০২৩ সালের বাজেটে। এখন থেকে নতুন নিয়ম অনুসারে সকলের স্বয়ংক্রিয় ভাবে Lakshmir Bhandar প্রকল্প থেকে বার্ধক্য ভাতায় রূপান্তরিত হবে। যেই সকল মহিলারা এখন ৫০০ টাকা করে পাচ্ছেন তারা ১০০০ টাকা করে পাবেন। বিগত বছরেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে নবান্নর তরফে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল।
সেই নির্দেশে বলা হয়েছিল যে আধার কার্ড ছাড়াও সকলকে এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কিন্তু আধার কার্ডের সঙ্গে ব্যাংক অ্যাকাউণ্ট লিঙ্ক থাকা বাধ্যতামূলক। অনেক ভুয়ো লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন বাতিল করা হয়েছিল। প্রায় দুই কোটির কাছাকাছি মহিলারা এই Lakshmir Bhandar প্রকল্পের অধীনে টাকা পেয়ে থাকেন।
সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প আয়োজন করা হবে সমগ্র রাজ্য জুড়ে। এর ফলে আরও মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই জন্য সকলের উচিত আগের থেকে নিজেদের আধার কার্ড, ব্যাংকের অ্যাকাউণ্ট ছাড়াও আরও সকল নথি ঠিক করে গুছিয়ে রাখা। যাতে Lakshmir Bhandar প্রকল্পের অনুদান পেতে কোন সমস্যা না হয়।
এই নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ।