প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (WB Primary TET) নিয়ে CBI, ED এরপর এবারে রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) তরফে তদন্ত শুরু করা হবে। আর এই নিয়ে রীতিমত সমগ্র রাজ্যের শোরগোল পরে গেছে, কিন্তু কেন এই ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে? আসুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। ইতি মধ্যেই ১৬৫০০ শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (Primary Teacher Recruitment Scam Case) অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court Of India). প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি (WBBPE Chairman) মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) এই মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান।
WB Primary TET Big Update By Court.
এছাড়াও CBI কে এই WB Primary TET সম্পর্কিত একটি মামলায় FIR করার মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court). আর এই মামলাটি বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির (Justice Abhijit Ganguly) সিঙ্গেল বেঞ্চে ওঠে এবং এই বেঞ্চের তরফে এই সকল দুর্নীতিকে (TET Scam) চিন্তা ভাবনা করা দুর্নীতি বলে আখ্যায়িত করেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই শুনানিতেই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছে হাইকোর্টের অন্য কোন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি করা হবে (WB Primary TET). আগামী ১৫ ই সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি করা হবে এবং সেই দিন কেই জানতে পারা যাবে যে কোন বিচারপতি এই শুনানি শুনবেন। মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ইডি (ED) চার্জের ড্রাফ্ট জমা করলো। ইডির তরফে জানানো হয় যে আপাতত তদন্ত শেষ, কিন্তু নতুন কোন চার্জ আসলে ফের তদন্ত শুরু করা হবে।
WB Primary TET নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবারে পুলিশ তদন্ত করবে!!!
কিন্তু এবারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি (WB Primary TET Recruitment Scam) নিয়ে হলফনামা চাইল স্কুল শিক্ষা দফতর (WB School Education Department). কিন্তু এই ঘটনায় এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত দেখতে পাওয়া যাচ্ছে সেটা হল, এবারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের (Purba Medinipur District Police) তরফে এই মামলার তদন্ত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০০৯ সালে টেট পরীক্ষার নিয়োগ নিয়ে (TET 2009 Recruitment) একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, কিন্তু এই WB Primary TET এর নিয়োগ ২০১২ সালে প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়। এই নিয়োগ নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ ২৪ পরগণা (South 24 Parganas) জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান এর বেতন বন্ধের নির্দেশ দিলেন।
কিন্তু এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তার কর্ম জীবনের মধ্যেই মারা যান, কিন্তু তার পরিবারের কেউ ৫ বছরের মধ্যে চাকরি পায়নি। আর এই জন্য ফাইল আটকে রয়েছে কেন, এই জন্য এই বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এরই সঙ্গে ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত যেই সকল চেয়ারম্যানরা অবসর নিয়েছেন তাদেরও পেনশন (Pension) বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Abhijit Gangopadhyay – শিক্ষকদের 5000 টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন জাস্টিস গাঙ্গুলি।