দুর্গাপুজোর সময় বাচ্চাদের জন্য Mamata Banerjee বা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তরফে এক দারুণ কথা ঘোষণা করা হল। মূলত এই বার্তাটি বাচ্চাদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। পুজোর চার থেকে পাঁচটি দিন পড়ু্য়াদের পড়াশোনার জন্য অভিভাবকদের কোনো চাপ না দেওয়ার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোট ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলো, নিজের খুশি মত থাকতে দিলে পুজো মিটে যাওয়ার পর তারা নিজেরাই দ্রুত সিলেবাসের পড়াশোনা শেষ করে নিতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।
West Bengal CM Mamata Banerjee’s Big Announcement.
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোতে ৮ থেকে ৮০ সকলের মনই আনন্দে ভরে ওঠে। তবে শিশুদের আনন্দ সবচেয়ে বেশি থাকে পুজোতে। কারণ এই সময় একদিকে যেমন স্কুল ছুটি থাকে তার উপর চারিদিকে উৎসবের আমেজ থাকায় তাদের খুশি দ্বিগুণ হয়ে যায়। তবে আজকাল শিশুদের খুশিতে বাঁধ সাধে অভিভাবকদের দেওয়া পড়াশোনার চাপ।
দুর্গাপুজোর সময় শিশুদের খেলাধুলায় বাধা দিয়ে রীতিমতো পড়তে বসার জন্য চাপ যে সৃষ্টি করে থাকেন অভিভাবকেরা, সে কথা অজানা নয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এর। তাই, এবার তিনি অভিভাবকদের উদ্দ্যেশ্যে জানিয়ে দিলেন পুজোর চারটে দিন ‘নো পড়াশোনা’। বিগত ১৫ অক্টোবর অর্থাৎ রবিবার কালীঘাটে নিজের বাড়িতে বসে ভার্চুয়ালি বহু দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই বছরে সেটি ছিল তাঁর দ্বিতীয় দফার পুজো উদ্বোধন প্রক্রিয়া। সেখানেই পুজোর আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলার সময় স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মজা করে তিনি বলেন, পুজোর চারটে দিন বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য চাপ দেওয়া যাবে না। এটা ওদের আনন্দ করার সময়, তাই এই সময় ওদের নো পড়াশোনা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) হালকা চালে কথাটি বললেও তার এই কথার গভীর তাৎপর্য বহন করে বলে মনে করছেন সমাজতত্ত্ববিদরা।
কারণ পুজোর সময় সত্যিই বেশ কিছু অভিভাবক আজকাল পড়াশোনার জন্য ছেলেমেয়েদের উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করেন। এই বিষয়টি আরও বেড়েছে শিক্ষাবর্ষ পাল্টে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর হয়ে যাওয়ার পর। এর ফলে, দুর্গাপুজোর ছুটি শেষ হওয়ার পর স্কুল খুললেই শুরু হয়ে যায় বার্ষিক পরীক্ষা। তাই অভিভাবকদের (Mamata Banerjee) একাংশ মনে করেন, পুজোর সময় চার থেকে পাঁচটা দিনও নষ্ট করা ঠিক নয়, বই থেকে দূরে থাকলে পড়াশোনা ভুলে যাবে পড়ু্য়ারা।
বর্তমানে মনস্তত্ত্ববিদ এবং শিক্ষাবিদদের একটা বড় অংশ দাবি করেন, দুর্গাপুজোর ষষ্ঠী থেকে দশমী ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া উচিত। এই পাঁচটা দিন তারা যদি মনের আনন্দে থাকে তবে সেটা আখেরে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ভাল প্রভাব ফেলবে। কারণ বাচ্চাদের মন ভাল থাকলে যে কোন (Mamata Banerjee) জিনিস দ্রুত তাদের মাথায় ঢোকে।
Lakshmir Bhandar – লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নয়া ঘোষণা, পুজোর আগে আনন্দিত সকলে।
আর দুর্গাপুজো এমন একটা সময় সকল বাঙালি তাতে মেতে উঠতে চায়। তাই এই সময় ছোট ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলো, ঠাকুর দেখে অর্থাৎ নিজের খুশি মত থাকতে দিলে পুজো মিটে যাওয়ার পর তারা দ্রুত সিলেবাসের পড়াশোনা করে নিতে সক্ষম হবে। বিশেষজ্ঞদের সেই মনোভাবই যেন এদিন অভিভাবকদের বুঝিয়ে দিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee). তবে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে মজার ছলে বলা ‘নো পড়াশোনা’ কথাটিতে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন রাজ্যের পড়ু্য়াদের একাংশ।
Pay Commission – পুজোর আগেই পশ্চিমবঙ্গের কর্মীদের বেতন ভাতা বাড়লো। ঘোষণা খোদ