বর্তমানে আমাদের দেশে যে কোন গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক লেনদেনের জন্য Pan Card এর ব্যবহার অনিবার্য। ১৯৭২ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের আইন সংশোধনের মাধ্যমে এই প্যান কার্ডের প্রচলন চালু হয়। আধার কার্ডের পরে এই সরকারী নথিকে নাগরিকদের দ্বিতীয় পরিচয় পত্র হিসাবে গণ্য করা হয়ে থাকে। ১৮ বছর বয়সের পরে সকলেই এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
Pan Card বানানো এখন খুবই সহজ, দেখে নিন পদ্ধতি সম্পর্কে।
বর্তমানে এক সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে দেশের প্রায় ৪৪ কোটি মানুষের প্যান কার্ড আছে। কিন্তু বর্তমানে যে কোন আর্থিক, সামাজিক, চাকরি, ব্যবসার ক্ষেত্রে এই নথির প্রয়োজন অবশ্যম্ভাবী। আজকের প্রতিবেদনে আমরা Pan Card – Permanent Account Number এ ঘরে বসে আবেদনের পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি।
Post Payment Id – বাড়িতে বিনামূল্যে পোস্ট অফিস ও আধার সেবা কেন্দ্র খুলে সম্মান জনক রোজগার করুন।
Pan Card আবেদনের পদ্ধতিঃ-
১) সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমে আপনাকে আবেদন করতে হবে।
২) www.onlineservices.nsdl.com এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
৩) New Pan Form 49 A এই অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৪) ক্যাটাগরিতে গিয়ে Individual অপশন সিলেক্ট করে নিতে হবে।
৫) অনলাইন ফর্মে নিজের নাম, জন্মের তারিখ, ই মেল আইডি ও মোবাইল নম্বর দিয়ে দিতে হবে।
৬) শর্তাবলি অপশনে ক্লিক করে দিতে হবে এবং ক্যাপচা কোড লিখে সাবমিটে ক্লিক করতে হবে।
৭) এরপরে একটি টোকেন নম্বর আসবে, সেটা আপনাকে কপি করে রেখে দিতে হবে ও Continue অপশনে ক্লিক করে দিতে হবে।
৮) সাবমিট স্ক্যান ইমেজ অপশনে ক্লিক করে নিতে হবে।
৯) PVC Pan Card সিলেক্ট করে নিতে হবে।
১০) নিজের আধার কার্ডের শেষের চারটি সংখ্যা লিখে দিতে হবে।
১১) আধার কার্ডে আপনার নাম যেভাবে লেখা আছে সেই ভাবে নিজের নাম লিখে দিতে হবে।
১২) নিচের দিকের অপশনে আপনাকে মাতা ও পিতার নাম লিখে দিতে হবে। কার নাম Pan Card থাকবে সেটা সিলেক্ট করতে হবে। Next অপশনে ক্লিক করে দেবেন।
১৩) ইনকামের উৎস লিখে দিতে হবে।
১৪) আপনার সম্পূর্ণ ঠিকানা লিখে দিতে হবে।
১৫) আরও একবার মোবাইল নম্বর ও ই মেল লিখে দিতে হবে ও নেক্সট অপশন সিলেক্ট করতে হবে।
১৬) রাজ্য ও শহরের নাম লিখে দিতে হবে।
১৭) নিজের ঠিকানা, পরিচয় ও জন্মের প্রমানপত্রের সফট কপি আপলোড করতে হবে। যদি আপনার কাছে আধার কার্ড থাকে তাহলে সকল স্থানে আপনাকে আধার কার্ড আপলোড করাই শ্রেয়।
১৮) এরপর আপনি নিজের জন্য নাকি অন্য কারোর জন্য এই প্যান কার্ডের আবেদন করছেন সেটা সিলেক্ট করতে হবে। আবেদনের স্থান ও তারিখ লিখে দিতে হবে।
১৯) নিজের বর্তমানের ফটো ও সই স্ক্যান করে আপলোড করে দিতে হবে। ৮০ কেবির মধ্যে সাইজ হতে হবে। নইলে আবেদন বাতিল করা হবে।
২০) ঠিকানা, পরিচয় ও জন্মের প্রমানপত্র আপলোড করে দিতে হবে, মনে রাখতে হবে এই সাইজ ৩০০ কেবির মধ্যে থাকতে হবে। সাবমিট অপশনে ক্লিক করে এগিয়ে যেতে হবে।
২১) Proceed অপশনে ক্লিক করে সিলেক্ট করে নিতে হবে, I Agree অপশন সিলেক্ট করে নিতে হবে।
২২) আপনার দেওয়া মোবাইল নম্বরে ওটিপি পাঠানো হবে, ভেরিফাই করে নিতে হবে।
২৩) আধার কার্ড অপশনে ক্লিক করে ভেরিফাই করতে হবে।
২৪) আপনাকে এর জন্য ১০৬.৯০ টাকা খরচ করতে হবে। জেনে রাখা ভালো সময় অনুসারে খরচ বাড়তে বা কমতে পারে।
এই সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনারা নিজের প্যান কার্ড এর জন্য মাত্র কিছু মুহূর্তের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন।
এবার রেশন কার্ড ছাড়াই মিলবে BPL কার্ডের মতো রেশন সামগ্রী, ভোটের আগে বিরাট ঘোষণা।
আবেদনের ১ মাসের মধ্যে আপনার ঠিকানাতে প্যান কার্ড পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই ধরণের আরও খবর সবার আগে পাওয়ার জন্য সঙ্গে থাকুন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। ধন্যবাদ।